এক নজরে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’ রোববার মধ্যরাতে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
জেনে নেয়া যাক ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’ সম্পর্কিত নানান তথ্য :
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ পদ্ধতি অনুসারে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘রিমল’। আরবিতে যার অর্থ বালি। ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’-এর নামকরণ করেছে ওমান।
চলতি প্রাক-বর্ষা মৌসুমে উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়। যেটি শনিবার রাত নাগাদ আরও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’ আরও ঘনীভূত হয়ে রোববার মধ্যরাতের মধ্যে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্রের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৫ মিটার পর্যন্ত বাড়বে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূলীয় জেলা- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালী ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পোস্টগুলোকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমল রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করবে।
এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে। এর মধ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধসের ঝুঁকি বেশি। এ জন্য রোববার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় আট লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে