Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo
author image

আনু মুহাম্মদ

  • অর্থনীতিবিদ
  • শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ থেকে

লেখক: অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

নির্বাচন কমিশনকে সংস্কারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে
নির্বাচন কমিশনকে সংস্কারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নির্বাচন কমিশনকে সংস্কারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে

সম্প্রতি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে। আগের সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলেছিল। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। কোনো ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকতা বজায় ছিল না। জনসাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছিল না। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সরকার পরিবর্তনের যে পদ্ধতি তা ধ্বংস করে দেয়া হয়। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের যে প্রক্রিয়া বহাল থাকলে বিতাড়িত সরকারের এই পরিণতি হতো না।

মানবিক উন্নয়ন না করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখিয়ে টিকে থাকা যায় না
মানবিক উন্নয়ন না করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখিয়ে টিকে থাকা যায় না

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪

মানবিক উন্নয়ন না করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখিয়ে টিকে থাকা যায় না

সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা সংস্কারের লক্ষ্যে সম্প্রতি দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন প্রত্যক্ষ করি, এটা কোনো তাৎক্ষণিক ঘটনার ফলশ্রুতি নয়। বরং বলা যেতে পারে, বহুদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত। সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশ গ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। এক পর্যায়ে তাতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।

মূল্য বৃদ্ধি না করে জ্বালানির বিকল্প সমাধান খোঁজার সুযোগ ছিল
মূল্য বৃদ্ধি না করে জ্বালানির বিকল্প সমাধান খোঁজার সুযোগ ছিল

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ

রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

মূল্য বৃদ্ধি না করে জ্বালানির বিকল্প সমাধান খোঁজার সুযোগ ছিল

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে যে ধরনের সংকট এবং চাপের মধ্যে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না; কিন্তু ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে করোনার পর থেকেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর পর থেকে অন্য সবক্ষেত্রের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে এলেও স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হয়নি।

মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে

ব্যাংক

সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অনেক দিন ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছিল; কিন্তু অধিকাংশ দেশই তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে সৃষ্ট উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হলেও বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি সাধন করতে পারেনি। অনেক দিন ধরেই মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটের কাছাকাছি ওঠানামা করছে। কোনো কোনো সময় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা খুব একটা উল্লেখযোগ্য নয়। আমাদের এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মূল্যস্ফীতির হিসাবটি সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা অনুমান করা যাচ্ছে না। যে সরকারি সংস্থা দেশের সব তথ্য উপাত্তের প্রধান উৎস, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরিসংখ্যান যদি সঠিক না হয় তাহলে দেশের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে না আর সেই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে তা কখনোই সঠিক হতে পারে না; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে-পরিসংখ্যান প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে এত বেশি প্রভাব এবং নির্দেশ দেয়া হয় যে সংস্থাটির পক্ষে তা উপেক্ষা করে সঠিকভাবে কাজ করা হয়ে উঠে না। বিভিন্ন নমুনা থেকে বোঝা যায় যে, বোঝাপড়াটা হচ্ছে এমন যে, পরিসংখ্যান প্রণয়নের সময় সরকারর উন্নয়নকে ফলাও করে দেখাতে হবে, সরকারের ব্যর্থতাগুলোকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।

আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক কেন পুঁজিবাদী দেশের স্বার্থে কাজ করে?
আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক কেন পুঁজিবাদী দেশের স্বার্থে কাজ করে?

এমএফএস

শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক কেন পুঁজিবাদী দেশের স্বার্থে কাজ করে?

গত শতাব্দীতে ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। সেই সময় বিশ্ব অর্থনীতি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। ১৯৪৩-৪৪ সালের মধ্যে মোটামুটি বুঝা যায়, বিশ্বযুদ্ধ শেষ হতে চলেছে। যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন মিত্র শক্তি যুদ্ধে জয়লাভ করতে যাচ্ছে, এটাও পরিষ্কার হয়ে যায়। জার্মানি, জাপান যুদ্ধে পরাজিত হবে এটা ক্রমেই পরিষ্কার হচ্ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্ব ব্যবস্থা কীভাবে চলবে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, তা নিশ্চিত করার জন্যই মূলত বিশ্বব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়।