Views Bangladesh Logo
author image

ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী

  • সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • থেকে

ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রদূত
চীন বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে কার স্বার্থে
চীন বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে কার স্বার্থে

চীন বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে কার স্বার্থে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস একটি প্রতিনিধি দলসহ চার দিনের সফরে আগামী ২৬ মার্চ চীন যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফর। তাই এই সফর ঘিরে বিশ্লেষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের অবসানের পর পরিবর্তিত পরিপ্রেক্ষিতে এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তাই পর্যবেক্ষক মহল ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য চীন সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং নিরাপত্তা বিধান করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে কয়েকটি আশু দায়িত্ব নির্ধারণ করতে হবে
অন্তর্বর্তী সরকারকে কয়েকটি আশু দায়িত্ব নির্ধারণ করতে হবে

অন্তর্বর্তী সরকারকে কয়েকটি আশু দায়িত্ব নির্ধারণ করতে হবে

ইউরোপের মধ্যযুগকে বলা হতো অন্ধকার যুগ। কারণ তখনকার যাজক-শাসক শ্রেণির সীমাহীন শোষণ, নির্যাতন, অত্যাচার, অনাচারে মানুষের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ ও দুঃখ-কষ্ট। অবশেষে পঞ্চদশ শতাব্দীতে (১৪৫৩ সালে) রেনেসাঁসের সূত্রপাত এবং তারই ধারাবাহিকতায় রিফরমেশন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষ মুক্তির সন্ধান লাভ করে। শেষ হয় অন্ধকার যুগের, সূত্রপাত হয় আধুনিক যুগের। রেনেসাঁস ঘোষণা করে মানুষের মুক্তি। নিজস্ব শক্তিতে বলিয়ান, কর্মঠ, যুক্তিঋদ্ধ বিপ্লবের পর বিপ্লবের ভেতর দিয়ে ইউরোপের সমাজ ও সভ্যতাকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কেন কমিশন গঠন করা হয়নি!
শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কেন কমিশন গঠন করা হয়নি!

শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কেন কমিশন গঠন করা হয়নি!

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনের জন্য কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। কমিটিগুলো ইতোমধ্যেই তাদের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। অতীতে বেশ কয়েকটি কমিশন শিক্ষা খাতের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন দাখিল করলেও কোনো সরকারই সেই শিক্ষা কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করেনি। ফলে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে না। আমরা উচ্চ শিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তুলছি; কিন্তু তারা কতটা সুশিক্ষিত এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না হলে কোনো দিনই জাতি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যে জনশক্তি গড়ে তুলছে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে মোটেও সক্ষম নয়।