Views Bangladesh Logo
author image

সৌমিত্র দস্তিদার

  • ভারতীয় প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ও লেখক

  • থেকে

সৌমিত্র দস্তিদার: ভারতীয় প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ও লেখক।
যে আন্দোলন মমতার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে
যে আন্দোলন মমতার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে

যে আন্দোলন মমতার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে

গত ১৪ আগস্ট, ভারতের স্বাধীনতার ঠিক আগের মুহূর্তে কলকাতা যেভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছিল, তা প্রৌঢ় বয়সেও কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। ডাক ছিল, ‘রাত দখল’ কর মেয়েরা। তা যে এভাবে ঝড় হয়ে আছড়ে পড়বে, শুধু কলকাতা নয়, সারা ভারতের অলিগলি, চেনা-অচেনা শহর, মফস্বলে, তা কল্পনা করিনি। আমি যেখানে থাকি, তার কাছাকাছি এক সমাবেশে হাজির হবার পর পরই জনপ্লাবণ ভাসিয়ে নিয়ে গেল। আমার পায়ের ব্যথায় কাবু স্ত্রী ও তার এক বন্ধু সামনে এগিয়ে গেল। আজ তো অর্ধেক আকাশের আহ্বান। ফলে তারাই সামনের সারিতে।

পৃথিবীর গভীর অসুখের সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চলে যাওয়া দুঃখের
পৃথিবীর গভীর অসুখের সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চলে যাওয়া দুঃখের

পৃথিবীর গভীর অসুখের সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চলে যাওয়া দুঃখের

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে আমার সামনাসামনি কথা হয়েছে মোটে দুবার। প্রথমবার, ২০০৬ সালে। তখন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেছে। সেই প্রথম বামফ্রন্ট লড়ছে একদা প্রমদ দাশগুপ্তের ভাবশিষ্য, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) অবিসংবাদিত নেতা জ্যোতি বসু একটানা মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর, বয়সের কারণে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের ব্যাটন, পার্টির নির্দেশে হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এটা পশ্চিমবঙ্গের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনাকাল। বলা যেতে পারে এক রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে বাম মহলের বড় রর অংশ ঈষৎ দোলাচলে তাদের নতুন ক্যাপ্টেনের পারফরম্যান্স নিয়ে।

নরেন্দ্র মোদি শিবিরে ভাটার সুর
নরেন্দ্র মোদি শিবিরে ভাটার সুর

নরেন্দ্র মোদি শিবিরে ভাটার সুর

গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল এবারের ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ৪৭ দিনের নির্বাচনি কর্মকাণ্ড শেষে আজ ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে এনডিএ জোট ২৮৯, ইনডিয়া জোট ২৩৫ ও অন্যান্য ১৯টি আসন পেয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ জানা যাবে চূড়ান্ত ফল। তখন জানা যাবে বিজেপি নাকি কংগ্রেস, এনডিএ নাকি ইন্ডিয়া জোট লোকসভা নির্বাচনে কারা বিজয়ী হয়ে নতুন সরকারের দায়িত্ব নিচ্ছেন। লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য দরকার অন্তত ২৭২টি আসন। এবারের নির্বাচনে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন, সংরক্ষণ ও নাগরিকত্ব আইন, বিরোধীদের গ্রেপ্তারের মতো অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগের কেন্দ্রে আছেন নরেন্দ্র মোদি নিজেই।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বনাম বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বনাম বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বনাম বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি

আমরা যারা শ্রীমতী ইন্দিরা ও তার ছেলে রাজীব গান্ধীকে চোখের সামনে খুন হতে দেখেছি, তাদের কাছে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনৈতিক সত্তার পাশাপাশি অন্য এক চেহারা দেখতে পাই। রাহুল গান্ধীর চর্চা না হয় আজ থাক। অন্য কোনোদিন না হয় বিস্তারে রাজীব সোনিয়ার ছেলেকে নিয়ে কথা হবে। আজ শুধুই পাতাজুড়ে থাক প্রিয়াঙ্কা।

লোকসভা নির্বাচনে কদর্য হয়ে উঠছে রাজনীতির ভাষা
লোকসভা নির্বাচনে কদর্য হয়ে উঠছে রাজনীতির ভাষা

লোকসভা নির্বাচনে কদর্য হয়ে উঠছে রাজনীতির ভাষা

এবারের লোকসভা ভোটে আমাদের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ যে ভাষায় কথা বলছেন, তা শুধু অশ্লীল, অশোভন নয়, অত্যন্ত কুৎসিত, কদর্য। অনেক বছর আগে দিল্লির খান মার্কেট থেকে একটি বই কিনেছিলাম- ‘ডিকশনারি অব স্ল্যাং’। গালাগালের অভিধান। আমাদের নেতা-নেত্রীদের কটূক্তি সে অভিধানে নেই। কারণ গালাগালের যেটুকু মাপকাঠি, আমাদের নীতি-নির্ণায়কেরা সেসবের অনেক ওপরে। ডিকশনারিতে গালাগাল আছে; কিন্তু এই বিদ্বজ্জনরা নতুন নতুন উদ্ভাবনী মেধায় যা প্রয়োগ করে চলেছেন, তা আভিধানিক শব্দে ধরা যায় না। এই ভদ্র মহাদয়-মহাদয়েরা স্রেফ গাল দিলে না হয় তা স্ল্যাং ডিকশনারিতে জায়গা পেত; কিন্তু তারা তো সব কুশলী রাজনীতিক। ফলে গালাগালের সঙ্গে নোংরা ধর্ম ও জাত-বিদ্বেষ মিলেমিশে যে ককটেল তৈরি হচ্ছে, তা আগের কোনো ইলেকশনে শুনেছি বলে মনে করতে পারছি না।

বিরোধী দলগুলোর দুর্বলতা আছে; কিন্তু তাদের শক্তি সমন্বয়বাদ
বিরোধী দলগুলোর দুর্বলতা আছে; কিন্তু তাদের শক্তি সমন্বয়বাদ

বিরোধী দলগুলোর দুর্বলতা আছে; কিন্তু তাদের শক্তি সমন্বয়বাদ

পৃথিবীর বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ বলে কথিত ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। গরম এখন সারা দেশে ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে। জায়গায় জায়গায় দাবদাহে ইতিমধ্যেই মানুষের মৃত্যু অবধি ঘটেছে। তারমধ্যেও প্রথম দফায় যে ১০২টি আসন ভোট হয়েছে, সেখানে এখনো যা হিসাব, তাতে ভোট পড়েছে গড়ে পয়ষট্টি শতাংশ। তার চেয়ে একটু বেশিই হতে পারে। এক-আধটা রাজ্য বাদ দিলে সর্বত্রই হিট ওয়েভের মধ্যে সাধারণ লোক গরম উপেক্ষা করে যেভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজের মতপ্রকাশ করেছেন, তাতে দেশের গণতন্ত্র যে আছে, তা নিয়ে কোনো তর্ক নেই। যদিও বিরোধী দলগুলো দীর্ঘ সময় ধরে দাবি করে আসছেন যে, নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে দেশের, শুধু গণতন্ত্র নয়, বিপন্ন দেশের মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, জোট ও ধর্ম নিরপেক্ষতা।