'বাজার স্থিতিশীল রাখতে আপৎকালীন তহবিলের প্রয়োজন নেই'
দেশে নিরাপত্তা পেলে বিদেশে অর্থ পাচার অনেকাংশেই ঠেকানো সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এর জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২২মে) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত 'বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের প্রয়োগ ও প্রভাব' শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গত বছরের জুলাই-আগস্টের তুলনায় ধীরে ধীরে ভালোর দিকে যাচ্ছে। যারা বিদেশি বিনিয়োগ তুলে নিতে চেয়েছেন তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে না। শিগগিরই মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে।
তবে ডলারের দাম ক্রমশ বাড়বে বলে যারা আশা প্রকাশ করে ডলার মজুদ রাখছেন তা কাজে দিবে না বলেও জানিয়েছেন গভর্নর। ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা চালুর পরামর্শও দেন গভর্নর।
আলোচনায় মুদ্রা বিনিময় বাজার স্থিতিশীল রাখতে আপৎকালীন তহবিল ১ বিলিয়ন করার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তবে সেটি প্রয়োজন হবে না বলে মনে করেন গভর্নর।
প্রায় এক সপ্তাহ হলো আইএমএফ-এর পরামর্শে শেষ পর্যন্ত বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সময়ের মধ্যে খোলাবাজারে প্রভাব কিছুটা পড়লেও সব উৎকন্ঠাকে পেছনে ফেলে ব্যাংকে সহনশীল আছে ডলারের বিনিময় হার।
খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ে মাস্টার কার্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর সৈয়দ মো. কামাল বলেন, আমরা মার্কেট স্ট্যাবল দেখতে চাই। এই মুহূর্তে ডলারের চাহিদা যেমন কম আছে আবার ঈদে রেমিট্যান্সের কারণে ডলারের সরবরাহ বাড়বে। এতে বাজার স্থিতিশীল রাখা সহজ হবে। মাস শেষে রিজার্ভ ২.৬ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে। আর ৫০০ মিলিয়ন সাপোর্ট রাখা আছে।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ আপৎকালীন ডলার ৫০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন করার পরামর্শ দেন।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি মাহবুবুর রহমান বলেন, রেমিট্যান্স পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের কর নীতির প্রভাব পড়তে পারে। ফলে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের সহায়তা করার পরিকল্পনা থাকতে হবে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে।
এই মুহূর্তে আমদানির চাহিদা কম। তবে এলসি সমস্যার সমাধানে সরবরাহ ও যোগান ঠিক রাখতে পূর্ব পরিকল্পনার পরামর্শ দেন আরএফএল গ্রুপের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর উজমা চৌধুরী।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর বিনিময় হার ওপেন ডিক্লিয়ার করতে হবে; যেনো মার্কেটে কত স্প্রেড করছে তা পরিস্কার বোঝা যায়। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্বচ্ছ থাকতে হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে