ফারুক খানের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল: মেয়ের দাবি আইডি হ্যাকড
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী কারাবন্দি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে করা একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।
তবে এই পোস্ট দেওয়ার আধাঘণ্টা পর থেকেই তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পর পর দুইটি পোস্ট দেন। প্রথম পোস্টে স্বশস্ত্র বাহিনীর এক প্রোগ্রামে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ খানের সাথে করমর্দন করছেন তিনি। পরের দেওয়া ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘অনেক চেষ্টা করে অনলাইনে এসেছি। জেলের চার দেয়াল আমাদের নিজ সত্তার সামনে দাঁড় করায়। অনেক কিছু বলতে চাই, কিন্তু এখন সবই বলতে পারছি না।’
এতে আরও লেখা হয়েছে, এতটুকুই বলব শেখ হাসিনাকে নেত্রী মেনেছিলাম কিন্তু আজকে তার হঠকারিতার জন্যই আমাদের দলের এই পরিণতি। দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এবং সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান ব্যতীত কোনো ধরনের রাজনীতিতে ফেরা উচিত হবে না। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর চাই না, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ফেরত চাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
এই স্ট্যাটাস মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।প্রশ্ন উঠে, কারাগারে থেকে তিনি কিভাবে ফেসবুক ব্যবহার করলেন, কিভাবে মোবাইল ব্যবহার করলেন? আবার এটি তার তার পোস্ট ও ব্যক্তিগত মতামত কি না সেব্যাপারে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খান বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর আমার বাবার ই–মেইল, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকড হয়ে যায়। আজকে সকালেই আইনি সহায়তার নামে লন্ডনে অবস্থানরত দুইজনের কাছে টাকা চেয়েছে।
কানতারা খান বলেন, হ্যাকাররা বাবার মেসেঞ্জার–হোয়াটসঅ্যাপ থেকে এরকম যদি অন্য কারও কাছে মেসেজ বা কল করে প্রতারণা করতে পারে তাই সবাই সর্তক থাকবেন।
ঢাকা বিভাগীয় কারা উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কারাগারে বন্দির ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং কারাগারে বসে তার ফেসবুক চালানোর প্রশ্নই আসে না। কারাগারে বসে ফেসবুক চালানো তথ্য সঠিক নয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে