বিদেশি বিনিয়োগকারীরা হচ্ছেন শীতের অতিথি পাখির মতো
আমি কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলাম, দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বা অস্থিরতা নেই বটে। কিন্তু এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এখনও যে সেই অবস্থার কোনো উন্নতি হয়েছে তা বলা যাবে না। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। তার সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
আমরা কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না রাজনৈতিক পরিস্থিতি আগামী দিনগুলোতে কোন্ দিকে যাচ্ছে। সরকার চাচ্ছে, বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে। আর দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যারা সরকারবিরোধী অবস্থানে রয়েছে তারা চাচ্ছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন যাতে না হয়। তারা তত্ত্ববধায়ক সরকার বা এমন কোনো অন্তবর্তীকালিন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, যারা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ দল।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না কি দেশ ভয়াবহ রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তা নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ কোনো পক্ষই তাদের দাবি ত্যাগ করে সমঝোতায় আসার উদ্যোগ নিচ্ছে না। একদল তাদের দাবির পক্ষে মিছিল-মিটিং করছে। অন্যদল তাতে প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে। এই অবস্থায় দেশের রাজনীতি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এই অবস্থায় দেশ যদি রাজনৈতিক সহিংসতার দিকে ধাবিত হয় তাতেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। এই নিয়ে সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কখনো বা একই দলের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই যে বিবাদময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাকে কোনো স্বাভাবিক এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতি বলা যাবে না।
গত এক দশক ধরে জিডিপির অনুপাতে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার বাড়ছে না। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২২ থেকে ২৩ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকছে। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বৃদ্ধি না পেলে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় না। আর উৎপাদন বৃদ্ধি না পেলে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয় না। আর কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি না হলে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে বাধ্য। চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশের প্রবৃদ্ধিও বাধাগ্রস্থ হবে। যেকেনো দেশের জন্য ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়টি অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব দেশই চেষ্টা করে কীভাবে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো যায়। সরকারি খাতে যে বিনিয়োগ হয় তা মূলত অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়ন। সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা অবকাঠামোগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি খাত উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এটাই রীতি কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে ঠিকই। তবে সেই অনুপাতে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। তার অর্থ হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। গত বছর আগস্ট মাসে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। বর্তমানে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এ বছর জানুয়ারি মাসে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এটা হ্রাস পেতে পেতে জুলাই মাসে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে আসে। ব্যক্তি খাতে ঋণের এই প্রবৃদ্ধি বিগত ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জিডিপিতে ব্যক্তি খাতের অবদান প্রায় একই বৃত্তি আবর্তিত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিডিপির অনুপাতে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার কমে যাচ্ছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার ছিল জিডিপির ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। পরবর্তী বছর এটা ২৪ দশমিক ০২ শতাংশে নেমে আসে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার ছিল জিডিপির ২৩ শমিক ৭০ শতাংশ। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার ছিল ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। দেশের জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান হ্রাস পাচ্ছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশের জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ছিল ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুয়ায়ী ৯ দশমিক ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ডাবল ডিজিটে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতিকে কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে সমর্থ হলেও বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি এখনো কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি উচ্চ মাত্রায় থাকলে জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। শিল্প উৎপাদন কমে যায়।
বাংলাদেশে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের যে গতি-প্রকৃতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে এক বছরের ব্যবধানে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার ৪ শতাংশ বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। ইতোপূর্বে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ফলে আগামী এক বছরের মধ্যে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ ২৭ শতাংশে উন্নীত হবে, এটা প্রত্যাশা করা যায় না। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন হয় তা আমাদের দেশে বিদ্যমান নেই। এ ছাড়াও এ বছর রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন্ দিকে যায় তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এমন এক অনিশ্চিত অবস্থায় বিনিয়োগকারীগণ নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে মনে হয় না। তারা অনেকটা ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করতে পারেন। শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচমাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে তা যে অর্জিত হবে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে।
ব্যাংক ঋণের নামে গৃহীত এই টাকাটা কোথায় গেল সেটাই তো দেখার বিষয়। একদিকে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি কমেছে। কাজেই ব্যাংক ঋণের নামে গৃহীত অর্থ কোথায় যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে। অনেকেই অভিযোগ করেন ব্যাংক ঋণের নামে টাকা উত্তোলন করে অনেকেই সেই টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে প্রকৃত অবস্থা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তবে আমাদের নিকট এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ নেই। তাই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ব্যাংক খাতে যে আমানত সেটাই খুব একটা বাড়ছে না। পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভালোভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। অনেকেই অভিযোগ করেন, ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের যে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে সেই অর্থ নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চলে গেছে। এটা মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির একটি কারণ। ব্যাংক ঋণের নামে গৃহীত অর্থ যদি শিল্পে ব্যবহৃত না হয়ে বাজারে চলে আসে তাহলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে। আমাদের দেশের উৎপাদন খাতের পরিস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। এই অবস্থায় কম পণ্যের জন্য বেশি মুদ্রা ব্যবহার করতে হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন যদি সন্তোষজনকভাবে বৃদ্ধি পেতো তাহলে মূল্যস্ফীতি এতটা ঊর্ধ্বমুখী হবার কথা ছিল না। বৈদেশিক বিনিয়োগের মধ্যে কয়েকটি পার্ট আছে। কিছু নতুন বিনিয়োগ আসে, যাকে ফ্রেস ইনভেস্টমেন্ট বলা হয়। আবার কিছু আছে আন্তঃকোম্পানি ঋণ। আপর একটি হচ্ছে পুনর্বিনিয়োগ। অর্থাৎ কোম্পানিটি যে মুনাফা অর্জন করেছে তা সেই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা। তবে যেভাবেই বিষয়টি বিশ্লেষণ করুন না কেনো বাংলাদেশে যে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসছে তা এখনো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।
এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের কার্যকর এবং অনুকূল পরিবেশের অভাব রয়েছে। আমরা যতই বিনিয়োগ আহরণের জন্য চেষ্টা করি না কোনো বাস্তব বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা না গেলে বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আহরিত হবে না। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান মোটেও সন্তোষজনক ছিল না। বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৭তম। অর্থাৎ ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৭৬টি দেশ বাংলাদেশের উপরে ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সব দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। বিনিয়োগের প্রসঙ্গ এলেই আরও একটি বিষয় আমাদের বিবেচনা করতে হবে তা হলো প্রাতিষ্ঠানিক অভ্যন্তরীণ সুশাসন। আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানই ভালোভাবে এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় চলছে না। সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা পেতে হলে অনৈতিকতার আশ্রয় নিতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের ক্ষেত্রে আমাদের মারাত্মক দুর্বলতা রয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারী ও সেবা গ্রহীতাদের পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। এটা মোটেও বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক নয়।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সব ক্ষেত্রেই আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। এই অবস্থায় বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত মাত্রায় আশা করা যায় না। স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা নানা আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে দেশে বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারিদের তো কোনো দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নেই। তারা যেকোনো দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা হচ্ছেন শীতের অতিথি পাখির মতো। শীতের অতিথি পাখি যেমন কোনো জলাশয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং জীবনের নিরাপত্তা না পেলে আশ্রয় গ্রহণ করে না। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে পুঁজির নিরাপত্তা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ মুনাফার সম্ভাবনা না দেখলে বিনিয়োগে আগ্রহী হন না। বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের সবচেয়ে সম্ভাবনার দিকটি হচ্ছে এর বিশাল বাজার। বাংলাদেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বাস। ইউরোপ বা অন্যান্য অঞ্চলের এমন অনেক স্থান আছে যেখানে ৩/৪টি দেশ মিলেও ১৭ কোটি মানুষ নেই। বাংলাদেশের মানুষের ভোগ, চাহিদা এবং ভোগ ব্যয় করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদেরকে দলীয় স্বার্থের চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ঘুষ-দুর্নীতি সমূলে উচ্ছেদ করতে হবে। যারা বিভিন্নভাবে বিনিয়োগ কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তাদের প্রতিহত করতে হবে দলমত নির্বিশেষে। আমাদের দেশে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবে পরিণত হয় না। ফলে মানুষের মাঝে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে।
লেখক: অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক ও সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা, অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে