শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা কাজে লাগিয়ে সামাজিক পুঁজি বিকাশের এখনই সময়
শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হলে যে কোনো অসাধ্য সাধন করা সম্ভব, দেশের ছাত্রসমাজ আবারও নতুন করে সে কথাই প্রমাণ করেছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সৃষ্ট শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ১৬ বছর ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সরকারপ্রধানকে পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে- এটা কিছুদিন আগেও কেউ ভাবতে পারেনি। তাই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থী আন্দোলনের বিষয়ে নানা বিরূপ মন্তব্যসহ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে, ঐক্যবদ্ধ এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকলে যে কোনো অসাধ্য সাধন করা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল সম্পূর্ণ নির্দলীয়। দলমত নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। এবারের শিক্ষার্থী আন্দোলনের একটি বৈশিষ্ট্য ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে।
আন্দোলন চলাকালে প্রায় ১ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা যতই বেড়েছে আন্দোলন ততই বেগবান হয়েছে। বাংলাদেশের এই শিক্ষার্থী আন্দোলন অনেক দেশের জন্যই অনুকরণীয় হয়ে আছে। পাকিস্তানেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অনুকরণে আন্দোলন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের অনুকরণে স্লোগান দিচ্ছে, ‘আমি কে তুমি কে বাংলাদেশ বাংলাদেশ।’ এটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক বিরল প্রাপ্তি। বাংলাদেশের ইতিহাসে শিক্ষার্থী আন্দোলন কোনো নতুন ঘটনা নয়। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এদেশের শিক্ষার্থী সমাজ বারবার রক্ত দিয়ে তাদের দাবি আদায় করেছে। এ পর্যন্ত কোনো আন্দোলনই শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যতীত সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তবে এবারের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অতীতের যে কোনো আন্দোলনের চেয়ে ছিল ব্যতিক্রম। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় হবার পর শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষাঙ্গনে অথবা ঘরে ফিরে যায়নি। তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় অবস্থান করতে থাকে। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করে।
এমনকি বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের মতো কাজও তারা করেছে। তারা বিভিন্ন স্থানে দেয়াল চিত্র অঙ্কন করে তাদের মনের কথা, হৃদয়ের আকুতি জাতিকে জানিয়েছে। শিক্ষার্থী আন্দোলনের লেশ কাটতে না কাটতেই দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ভয়াবহ মৌসুমি বন্যা দেখা দেয়। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন-আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। খাদ্যাভাব দেখা দেয় সর্বত্র। জাতির এই দুর্দিনে আবারও মাঠে নামে শিক্ষার্থী সমাজ। তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বন্যার্তদের সাহায্যার্থে অর্থ এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করছে। অতীতেও শিক্ষার্থীদের এমন মানবিক কাজে সম্পৃক্ত হতে দেখা গেছে। এক সময় বন্যার পানি নেমে যাবে। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হয়তো বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠব; কিন্তু যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করল, রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করল। বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করল তাদের কী হবে? তারা নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাবে; কিন্তু আন্দোলন এবং তৎপরবর্তী তারা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করল তাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানোর কোনো উদ্যোগ কি নেয়া যায় না?
আন্দোলন পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা যে কাজ করেছে, তা হচ্ছে সামাজিক পুঁজি। একটি দেশের নাগরিক অথবা কোনো বিশেষ শ্রেণি বিশেষ কোনো লাভের আশা না করে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে যে কাজ করে তাকেই ‘সামাজিক পুঁজি’ বলা যেতে পারে। এক সময় গ্রামাঞ্চলে সামাজিক পুঁজি ব্যবহারের বিপুল নিদর্শন পাওয়া যেত। যাদের বাড়ি গ্রামে এবং একটু বয়সী মানুষ তারা নিশ্চয় সামাজিক পুঁজি সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত আছেন। ফসল তোলার মৌসুমে গ্রামে কৃষি শ্রমিকের প্রচণ্ড অভাব পরিলক্ষিত হতো। এমন অনেক পরিবার ছিল, যারা ফসল তোলার মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের অভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারতেন না। এ সময় দেখা যেত, যারা কখনোই ক্ষেতে কাজ করেনি অথবা কিছুটা রিল্যাক্স অবস্থায় আছেন, তারা দল বেঁধে কৃষকের ফসল তোলে দিচ্ছেন। এরা সাধারণ শ্রমিক নন; কিন্তু গৃহস্থ্যের প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিকের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হতেন। এ জন্য তারা কোনো পারিশ্রমিক নিতেন না। তবে যার ফসল তুলে দেয়া হতো, তিনি এদের খাবারের জন্য সুব্যবস্থা করতেন। সবাই বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোজনপর্বে অংশগ্রহণ করতেন।
আবার কোনো এলাকায় হয়তো একটি ব্রিজ বা কার্লভার্ট নষ্ট হয়ে গেছে সরকারি বরাদ্দ আসতে বিলম্ব হবে কিন্তু কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এমন ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষজন একজোট হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে কাজটি সম্পন্ন করতেন। এগুলোই হচ্ছে সামাজিক পুঁজি। বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই পরস্পর সহযোগিতা পরায়ন। তারা সুযোগ পেলেই অন্যের প্রয়োজনে লাগতে চান; কিন্তু আমাদের সমাজে যারা নেতৃত্ব দেন, তাদের অদূরদর্শিতার কারণে সামাজিক পুঁজিকে সংগঠিতভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। দেশের রাজনৈতিক নেতারা সাধারণত দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় স্বার্থে কাজে লাগানোর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। তারা মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র স্বার্থ উদ্ধারে সব সময় ব্যস্ত থাকেন। এক দলের কর্মীদের অন্য দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে তারা ঘটনা উপভোগ করেন; কিন্তু তারা যদি প্রতিপক্ষের সমর্থকদের প্রতি উদার আচরণ করতেন, তাহলে সবাই মিলিতভাবে সামাজিক পুঁজি ব্যবহার করতে পারতো। গ্রামের মানুষ ক্রমেই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। তারা নিজের ভালো ছাড়া কিছু ভাবতে চান না।
এভাবে সামাজিক পুঁজি বিকাশের পথ রুদ্ধ হলে আগামীতে জাতিকে বিপদে পড়তে হতে পারে। তাই সামাজিক পুঁজি যেন হারিয়ে না যায়, এ জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। সামাজিক পুঁজি বিকাশের জন্য সম্ভব সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সামাজিক পুঁজি বিকাশের জন্য সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিয়েই কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। যারা শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তারা প্রমাণ করে দিয়েছে, উপযুক্ত পরিবেশ এবং নেতৃত্ব পেলে তারা যে কোনো সাধারণ কাজও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারে। মানুষ যে কোনো কাজ তা যত ছোটই হোক না কেন করতে কোনো দ্বিধা করে না। কোনো একজন উচ্চ শিক্ষিত যুবক দেশে থেকে কোনো রেস্টুরেন্টে বেয়ারারের কাজ করতে চাইবে না; কিন্তু সেই মানুষটিই যখন বিদেশে গমন করে, তখন সে প্রয়োজনে রেস্টুরেন্টে বেয়ারারের কাজ করতেও কুণ্ঠা বোধ করে না। যেসব বাংলাদেশি মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোতে রাস্তা ঝাড়ু দেবার কাজ করেন। তারা কি দেশে থাকতে এই কাজ করতেন? অবশ্যই না। তারা বিশেষত লোক লজ্জার ভয়ে এমন কাজ করতে চাইবেন না।
বিদেশে কোনো কাজকেই ছোট করে দেখা হয় না। আমাদের দেশে যুগের পর যুগ ধরে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চলে আসছে, তা কর্মমুখী নয়। ফলে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করার পরও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা পান না। অথচ কর্মমুখী এবং কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হলে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে না ঘুরে নিজেরাই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা সংস্কারের দাবিতে যারা আন্দোলন করে অসাধ্য সাধন করেছে, তাদের জন্য দেশ ও জাতির কিছু করণীয় আছে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হলে দেশ ও জাতির কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হতে পারবে। যারা আন্দোলন করেছে, তাদের সবার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথে কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রত্যেক পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে যারা মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে পড়াশোনা করছে তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে একাধিক ‘স্টুডেন্ট ব্রিগেড’ গঠন করতে হবে। এক এক কমিটিতে ১০০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কমিটিতে মেয়ে শিক্ষার্থীদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সংকীর্ণ রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে কমিটিতে স্থান দিতে হবে। যারা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন তাদের জন্য নির্দিষ্ট হারে মাসিক ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ভাতার পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে এই অর্থ দিয়ে তাদের মাসিক হাত খরচ চলে যায়। এরা নিয়মিত তাদের বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করবে। পাশাপাশি ছুটির দিনগুলোকে বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত নানা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করবে। ফ্রিল্যান্সিং বা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই, বুটিক, ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। নবম শ্রেণি হতে বাধ্যতামূলক সামারিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রতি বছর শিক্ষা খাতের জন্য বাজেটে যে ব্যয় বরাদ্দ করা হয়, তা একটু বৃদ্ধি করা হলেই এই কার্যক্রমের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। এ ছাড়া দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জিত হচ্ছে এবং দেশের বাইরে পাচার করা হচ্ছে, তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই তা এই খাতের ব্যয় ভরনের জন্য যথেষ্ট হবে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল ক্ষমতার অধিকারী। তারা যে কোনো কাজে সফলতা প্রদর্শন করতে পারে।
তাদের সেই সৃজনশীল প্রতিভা কাজে লাগানোর জন্য কোনো উদ্যোগ-আয়োজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জাতীয় পর্যায়ে যারা রাজনীতি করেন, তাদের অধিকাংশই অত্যন্ত স্বার্থপর। নিজেদের ভালো ছাড়া তারা কিছুই বোঝেন না। পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্দোলনের সময় অসংখ্য ছাত্রছাত্রী প্রাণ দিয়েছে; কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের একজন নেতাও কি দেখানো যাবে আন্দোলনে গিয়ে তার সন্তান মারা গেছে? যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় পর্যায়ের নেতা তাদের সন্তান বিদেশে লেখাপড়া করে। যদি কেউ দেশে থাকেন তাহলেও তাদের আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে সযত্নে দূরে সরিয়ে রাখেন। কোনো জাতীয় পর্যায়ের নেতার সন্তান যদি আন্দোলনে গিয়ে মারা না যায়, তাহলে তিনি কীভাবে বুঝবেন সন্তান হারানোর বেদনা কেমন? শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের স্টুডেন্ট ব্রিগেড তৈরি করা হলে তারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। সামাজিক বিভিন্ন অপরাধ দমনেও তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবে। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং কালচার গড়ে উঠেছে। স্টুডেন্ট ব্রিগেড তৈরি করা হলে কিশোর গ্যাং কালচার অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে।
যারা স্টুডেন্ট ব্রিগেডের সদস্য হবেন তাদের জন্য অনুসরণীয় আচরণ বিধি প্রণয়ন করে দেয়া যেতে পারে। যেমন, ধূমপান না করা, ইভ টিজিং না করা, গুরুজনকে শ্রদ্ধা করা, কোনো ধরনের মাস্তানিতে যুক্ত না হওয়া। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে তাদের ব্রিগেড থেকে বাদ দেয়া যেতে পারে। এটা করা হলে তারা ব্রিগেডে অন্তর্ভুক্ত থাকার জন্য হলেও সামাজিক অন্যায় কর্মে যুক্ত হবার প্রবণতা থেকে দূরে থাকবে। দেশের কোথাও কোনো দৈব-দুর্বিপাক ঘটলে এই স্টুডেন্ট ব্রিগেডকে তাৎক্ষণিক নোটিশে সক্রিয় করে তোলা যাবে। এরা যেভাবে বন্যার্তদের জন্য সহযোগিতার, তা একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। স্কুলজীবন থেকেই শিক্ষার্থীরা যদি সামাজিক পুঁজি ব্যবহারে অভ্যন্ত হয়ে ওঠে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।
এম এ খালেক: অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি ও অর্থনীতিবিষয়ক লেখক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে