ফরিদপুরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক নন
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হরি মন্দির ও কালী মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জিত বিশ্বাস ভারতীয় নাগরিক নয় বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা জানান।
গত শনিবার রাতে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষ রবিবার ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্জিত বিশ্বাসকে আটক করা হয়। তিনি বাংলা হিন্দি মিলিয়ে কথা বলায় প্রাথমিকভাবে তাকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে ভারতীয় নাগরিক বলে প্রচার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, হরি মন্দির ও কালী মন্দির ভাঙচুরের বিষয়ে সোমবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গ্রেপ্তার সঞ্জিত বিশ্বাসের (৪৫) বাবা নিশিকান্ত বিশ্বাস (৭২) ফরিদপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আটক ব্যক্তি তার ছেলে সঞ্জিত বিশ্বাস। বাড়ি গোপালগঞ্জের কাজিয়াগঞ্জের নিজামকান্দি। সঞ্জিত মানসিকভাবে অসুস্থ।
শৈলেন চাকমা বলেন, সঞ্জিতের বাবা জানায়, সঞ্জিতের বয়স যখন ২৪ বা ২৫ তখন সে কাজের জন্য ভারত গিয়েছিলো। তবে এক সময় সে বাড়ি ফিরে আসে। প্রায় চার বছর আগে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর আর ফেরেনি। পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেনি।
তিনি বলেন, তার বাবা আরও জানিয়েছে, সঞ্জিত প্রায়ই ভারতে যেত। এ জন্য মাঝে মাঝে বাংলার সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, সঞ্জিত এখন আদালতের আদেশে কারাগারে রয়েছেন।
শৈলেন চাকমা বলেন, তদন্তের সময় কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলের কাছে দুজন ব্যক্তিকে খুঁজে পায়। একজন মন্দিরের সামনে একটি ফেলে দেওয়া খাটের উপর শুয়ে ছিলো এবং অন্যজন তার পাশে মাটিতে ছিলো। স্থানীয়রা একজনের পরিচয় শনাক্ত করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে দ্বিতীয়জন তার পরিচয় দেয়নি, তে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে পর্যায়ক্রমে বাংলা এবং হিন্দিতে কথা বলে এবং স্বীকার করে সে ভারতীয় নাগরিক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে