মহাকবি মধুসূদন পদক পেলেন কবি সুহিতা সুলতানা
মহাকবি মধুসূদন পদক পেলেন কবি সুহিতা সুলতানা। সৃজনশীল সাহিত্য (কবিতা) ক্যাটাগরিতে তাকে এ পদক দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মদিন উপলক্ষে সাগরদাঁড়ি মধুমঞ্চে যশোর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা, মহাকবি মধুসূদন পদক বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ পদক দেওয়া হয়।
মননশীল সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী এ কবিকে তার ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য যশোর জেলা প্রশাসন কর্তৃক সৃজনশীল সাহিত্য (কবিতা) ক্যাটাগরিতে মহাকবি মধুসূদন পদক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ। সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, কেশবপুর পৌরমেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডক্টর মুস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন কেশবপুর মধুসূদন একাডেমির পরিচালক খন্দকার খসরু পারভেজ, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন ও কাজী শওকত শাহী।
আলোচনার আগে যশোর শহর ও কেশবপুরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন।
নাটক মঞ্চস্থ করে উদীচী যশোর, থিয়েটার থিয়েটার ক্যানভাস। এরপর যশোর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির প্রযোজনায় ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটক ও মাগুরা সারথী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রযোজনায় ‘জীবন নদীর তীরে’ যাত্রাপালা মঞ্চায়ন হয়।
কবি সুহিতা সুলতানা যশোর সদর উপজেলার শংকরপুরে ১৯৬৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ঢাকার উপ-পরিচালক হিসেবে গ্রন্থোন্নয়ন সম্পর্কিত গবেষণাধর্মী বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বাংলা ভাষার পাশাপাশি নরওয়েজিয়ান। রুশ ও হিন্দি ভাষা চর্চা করেন তিনি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে