Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

মডার্ন আর্টের পরম্পরায় সুরঞ্জনার সীবিত কোলাজ

Shishir  Bhattacharja

শিশির ভট্টাচার্য্য

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিংশ শতকের প্রথম দুই দশকে উদ্ভাবিত ও চর্চিত কিউবিজম, ফোবিজম, কোলাজ, দাদা... মডার্ন আর্টের পরম্পরায় একবিংশ শতকের প্রথম দুই দশকে ঢাকা ও মন্ট্রিয়লে সুরঞ্জনা ভট্টাচার্য্য (১৯৬৯) যে শিল্পমাধ্যমের চর্চা করে চলেছেন, তার নাম ‘সীবিত কোলাজ’। ২০০৭ সালে দুরারোগ্য ডিস্ট্রোফি রোগে আক্রান্ত হবার কয়েক বছর পর থেকে নিত্যনতুন চারুকৃতির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক ব্যথা ও একাকিত্বকে জয় করার অস্ত্র হিসেবে সুরঞ্জনা ব্যবহার করছেন নতুন এই শিল্পমাধ্যমকে।

‘কোলাজ’ কথাটা এসেছে ফরাসি বিশেষ্য ‘ক্যল’ বা ‘আঠা’ থেকে। ‘ক্যল’ থেকে ক্রিয়াশব্দ ‘কোলে’ অর্থাৎ ‘আঠা লাগানো’ এবং এই ক্রিয়া থেকে ‘কোলাজ’ অর্থাৎ ‘আঠা লাগানো(র) কাজ’। একে ‘দেকুপাজ’ও বলা হয়। ‘দেকুপে’ বা ‘কুপে’ ক্রিয়ার অর্থ ‘কাটা’ বা ‘কাটাকুটি করা। মাতিসের ‘নীল রমণী’ দেকুপাজের উদাহরণ। ১৯১২ সালে করা ব্র্যাকের ‘ফলের ডিশ ও গ্লাস’ পাপিয়ে কোলের উদাহরণ। পিকাসোর ‘নাত্যুর মর্ত আ লা শেজ কানে’ কোলাজের উদাহরণ। ১. কোলাজ, ২. দেকুপাজ এবং ৩. পাপিয়ে কোলের মধ্যে পার্থক্য এটুকুই যে ‘পাপিয়ে কোলে’ শিল্পশৈলীতে শুধু কাগজই ব্যবহার করা হয়। পক্ষান্তরে কোলাজ ও দেকুপাজ-এ কাগজ ছাড়া অন্য উপাদান বা মেটেরিয়েল ব্যবহার করা যায়।

দেকুপাজ বা কোলাজ নতুন কোনো শিল্পমাধ্যম নয়। বহু হাজার বছর ধরে কোলাজ পূর্ব সাইবেরিয়ার শোক-সংস্কৃতির অংশ। এখানকার যাযাবর উপজাতির লোকজন চামড়া, কাপড়, শোলা বা সমজাতীয় কোনো বস্তুর রঙিন ফালি দিয়ে মৃত ব্যক্তির কবর অলঙ্করণ করত। সাইবেরিয়া থেকে সম্ভবত এই আর্টফর্ম চীনে প্রবেশ করেছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ অব্দে কাগজ আবিষ্কারের পর পুরোদমে কোলাজের চর্চা শুরু হয় চীনে। ঝাড়বাতি, জানালা, বাক্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন বস্তু অলঙ্করণে কোলাজ ব্যবহৃত হতো।

চীন থেকে এই শিল্পকৃতি যায় জাপানে। দশম শতকে আঠা লাগানো কাগজে কবিতা লিখে কোলাজ করতেন জাপানি কবিরা। কিওতোর নিশি হোগান-জি মন্দিরে নাকি এমন কিছু কোলাজ-কবিতা সংরক্ষিত আছে। ভারতবর্ষে, বিশেষ করে বাংলা অঞ্চলেও কোলাজ ছিল, যার প্রমাণ হিন্দু বিয়ের বর-কনের মাথার শোলার মুকুট, শ্রাদ্ধকারীর মস্তকাবরণ বা (চট্টগ্রামী ভাষায় ‘মাত্থইন’)।

মধ্যযুগের দ্বিতীয় পর্বে (১০০০-১৫০০) চীন থেকে সিল্ক রোড হয়ে ভেনিস এবং ভেনিস থেকে কোলাজ বা দেকুপাজ প্রবেশ করেছিলি ইউরোপে। ত্রয়োদশ শতকে মধ্যযুগের ইউরোপে কোলাজের চর্চা হয়েছে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে গথিক ক্যাথেড্রালে সোনার পাতে বিভিন্ন দামি পাথর ও ধাতু সংযুক্ত করে কোলাজ করা হয়েছে গির্জার অলঙ্করণে। অষ্টাদশ শতকে মনে করা হতো, কোলাজের উৎস সপ্তদশ শতকের ভেনিস। অষ্টাদশ শতকে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি, যেমন ষোড়শ লুইয়ের রাণী ম্যারি অঁতোয়ানেতও না কি দেকুপাজ বা কোলাজ করতেন। ঊনবিংশ শতকের শেষে ভিক্টোরীয় যুগেও কোলাজ আর্ট ফর্মের অস্তিত্ব ছিল। সুররিয়ালিস্ট শিল্পীরাও স্বপ্নবৎ দৃশ্য সৃষ্টি করতে কোলাজ টেকনিক ব্যবহার করেছেন।

কিউবিজমের মতো কোলাজও দুই শ্রেণির হতে পারে: ১. সিনথেটিক ও ২. অ্যানালিটিক। একটি বস্তুকে একাধিক ক্ষুদ্রতর অংশে বিভক্ত করে কোলাজ করলে সেটি ‘অ্যানালিটিক কোলাজ’। ক্ষুদ্রতর অংশ জোড়া দিয়ে একটি সম্পূর্ণ বস্তুর প্রতিকৃতি নির্মাণের চেষ্টাকে বলা হবে ‘সিনথেটিক কোলাজ’। একাধিক আঁকা ছবিকে কেটে বা ছিঁড়ে টুকরাগুলো জোড়া দিয়ে যে কোলাজ, তাকে বলা হয় ‘ক্যানভাস কোলাজ’। কাঠ বা ধাতুর টুকরা বা ফালি দিয়েও কোলাজ হতে পারে। কাগজ কেটে, একই ছবি বা আলোকচিত্রের একাধিক অনুলিপির ফালিসমূহ জোড়া দিয়েও কোলাজ হতে পারে।

আলোকচিত্র কেটে যে কোলাজ বা দেকুপাজ করা হয় তার নাম ফটোমোন্তাজ। ‘মোন্তাজ’ কথাটার উৎপত্তি ফরাসি ক্রিয়া ‘মোন্তে’ থেকে। ‘মোন্তে’ ক্রিয়ার অর্থ ‘উপরে ওঠা’ বা ‘গড়ে তোলা’ (যেমন ধরা যাক, বেলাভূমিতে ‘বালির সৌধ’ ওপরের দিকে গড়ে তোলা)। সিনেমাতেও এর ব্যবহার আছে (দেখুন চ্যাপলিনের ‘মডার্ন টাইমস’ ছবিতে শ্রমিকের সারি এবং ভেড়ার পালের মোন্তাজ)। কম্পিউটারের পর্দায় ফটোশপ বা ইনডিজাইনে যে কোলাজ করা হয় তার নাম ডিজিটাল কোলাজ বা ই-কোলাজ। ধাতু, পুঁতি, বোতাম, মুদ্রা ইত্যাদি যুক্ত করে সিনথেটিক বা অ্যানালিটিক ত্রিমাত্রিক কোলাজও করেন অনেকে।

বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পূর্বে, ফ্রান্সে যখন কিউবিস্ট ধারা চলমান, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানিতে তখন ‘দাদা’ আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনটি সারা ইউরোপে, এমনকি ফ্রান্সেও ছড়িয়ে পড়ে, সাগর পাড়ি দিয়ে চলে যায় আমেরিকায়। প্রচলিত শিল্পের কোনো নিয়ম না মেনে, দর্শককে আনন্দ দেবার জন্য নয়, বরং তার দৃষ্টিকে আহত করার জন্য কিংবা দর্শকের চিন্তাকে একটা প্রবল ধাক্কা দেওয়া দাদা ধারার শিল্পকর্মের উদ্দেশ্য।

বিংশ শতকের প্রথম দুই দশকে বুর্জোয়া-পূঁজিবাদীরা উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদকে বহাল রাখার অসৎ উদ্দেশ্যে এবং তাদের বিশেষ এক যুক্তিবোধের ওপর ভিত্তি করে নিরপরাধ জনগণকে যুদ্ধের ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দিয়েছিল। এই রাজনীতির প্রতিবাদে ১৯১৬ সালে জুরিখ শহরের ‘ভোলত্যার’ নামক এক ক্যাবারেতে দাদা আন্দোলনের সূত্রপাত। ভোলত্যারের ‘কঁদিদ’ উপন্যাসে সমসাময়িক রাজনীতি ও ধর্মের হাস্যকর সব চিন্তা ও আচারের অসারতার বর্ণনা আছে বটে। শিল্পবোদ্ধারা দাদা শিল্পকর্মকে ‘আর্ট’ নয়, বরং ‘অ্যান্টি-আর্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। দাদা ধারার শিল্পকর্মে কোলাজ ও দেকুপাজের ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে।

এই ধারায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে সীবিত কোলাজ। বিভিন্ন ফর্ম বা আকৃতি, রঙ ও বুনন/বয়নের (টেক্সচার) বস্ত্রফালিকে সীবন বা সেলাই করে সৃষ্টি হয় এই কোলাজ এবং এর বাংলা নামকরণ করা হয়েছে ‘(হস্ত) সীবিত কোলাজ’, ইংরেজিতে (হ্যান্ড) স্টিচড কোলাজ। কাপড় যেহেতু এই শিল্পের প্রধান উপাদান, একে ‘টেক্সটাইল আর্টও বলা যেতে পারে। পাশ্চাত্যে এবং প্রাচ্যে এই কোলাজের সীমিত চর্চা শুরু হয়েছে বছর দশেক আগে, তবে বাংলাদেশে এই কোলাজ একেবারেই নতুন এবং এই শিল্পকর্মের সূচনা করেছেন যুগপৎ ঢাকা ও মন্ট্রিয়লবাসী শিল্পী সুরঞ্জনা ভট্টাচার্য্য।

সুরঞ্জনার শিল্পকর্মে ব্যবহৃত বস্ত্রফালিগুলোর মধ্যে ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত দুই ধরনের বস্ত্রই রয়েছে। যদিও তিনি শ খানেক হ্যান্ডস্টিচে পারঙ্গম, আপাতত পরিমিতির স্বার্থে বাটনহোন স্টিচ বা বোতামঘর সেলাই, রানিং স্টিচ বা কাঁথাসেলাই ফোঁড়- এই দুইটি ফোঁড় বা স্টিচই তিনি আপাতত ব্যবহার করেছেন। কয়েকটি কোলাজে ত্রিমাত্রিক ভাব আনার চেষ্টাও হয়েছে। সীবিত কোলাজকৃতির বেশির ভাগই সিনথেটিক, তবে কিছু অ্যানালিটিক কোলাজও রয়েছে।

সুরঞ্জনার সীবিত কোলাজে কড়া রঙের ব্যবহার বিংশ শতকের শুরুতে ফোবিস্ট শিল্পধারার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তার কাজে জ্যামিতিক বস্ত্রফালির ব্যবহার কিউবিস্ট শিল্পধারার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে বটে, কিন্তু বড় দুটি পার্থক্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেই নয়। প্রথমত, কিউবিস্ট ধারায় ব্যবহৃত বেশির ভাগ ফর্ম ছিল জ্যামিতিক। দ্বিতীয়ত, কিউবিস্ট ধারায় ফর্ম দিয়ে ফিগারের পুননির্মাণের একটা চেষ্টা ছিল, সেজান থেকে পিকাসো কিংবা ব্রাক প্রায় সবার শিল্পকর্মেই। সেজান তার জ্যামিতিক ফর্ম দিয়ে স্যান্ত ভিক্তোয়ার পাহাড়ের চিত্র আঁকতে চেয়েছেন। পিকাসোর ‘মাদমোয়াজেল দাভিনিও’ ঘনকাকৃতির ফর্ম দিয়ে আঁকা কোনো কুমারী কন্যার চিত্র বটে। পক্ষান্তরে, প্রথমত, সুরঞ্জনার সীবিত কোলাজে বৃত্ত, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ইত্যাদি পরিচিতি জ্যামিতিক ফর্ম ছাড়াও রয়েছে বিচিত্র অ-জ্যামিতিক বা ফ্র্যাকটাল ফর্ম। দ্বিতীয়ত, সুরঞ্জনার সীবিত কোলাজে ফিগার নির্মাণ বা পুননির্মাণের চেষ্টা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নেই, যদিও দর্শকের কল্পনাশক্তিতে কিছু কিছু ফিগার নির্মিত হয়ে যাওয়া অবম্ভব নয়।

কিউবিজম থেকেই শুরু হয়েছিল যে মর্ডান আর্টের যুগ, কোলাজ এবং সীবিত কোলাজ আপাতত এর অন্যতম সফল পরিণতি। কাকে বলে ‘আধুনিক আর্ট’? এ প্রশ্নের উত্তর ফরাসি কবি আপোলিন্যার যেভাবে দিয়েছেন, তা অনেকটা এরকম: ‘চিত্রকরেরা এখনো প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন বটে, কিন্তু তাঁরা প্রকৃতির অনুকরণ আর করেন না। সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা কিংবা অধ্যয়নের মাধ্যমে পুনর্গঠন করা প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রতিকৃতি বা প্রতিবিম্ব নির্মাণের চেষ্টা আধুনিক শিল্পীরা সতর্কতার সঙ্গে পরিহার করেন। অতীতের মহান শিল্পীরা প্রতিটি ডিটেলের প্রতি সতর্ক মনোযোগ দিয়ে মোটাসোটা, নগ্ন নারীদের নিখুঁত প্রতিকৃতি আঁকতেন শ্রেফ দর্শককের চোখকে আনন্দ দেবার জন্য।

মডার্ন আর্ট এই সবকিছুকে প্রত্যখ্যান করে। দর্শককে খুশি করার কোনো দায় আধুনিক শিল্পীর নেই!... মডার্নিটি কেউ বেছে নেয় না, মেনে নেয়, ঠিক যেভাবে বিনা প্রশ্নে মানুষ নতুন ফ্যাশন মেনে নেয়, এটা অনেকটা সেরকম। আমি মডার্ন আর্টের অত্যন্ত কদর করি। আমার মতে, শিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে সাহসী ঘরানা এই মডার্ন আর্ট, কারণ এই আর্টে যে সৌন্দর্য নিহিত আছে, মডার্ন আর্ট তাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে এই সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নির্ধারণে আগ্রহী।’ আপোলিন্যারের মতে, দৃশ্য কিংবা ধারণাগত জগৎ থেকে ধার করা খণ্ড খণ্ড উপাদান যোগ করে কিউবিজম শিল্পধারা নতুন এক অখণ্ড অস্তিত্ব গড়ে তোলে।

সুরঞ্জনার সীবিত কোলাজগুলোর ক্ষেত্রেও একই মন্তব্য করা অযৌক্তিক হবে না। তবে যে পার্থক্যটির কথা উজানেও বলেছি, বাস্তবের ব্যক্তি বা বস্তুর সঙ্গে কমবেশি সাদৃশ্য সাধারণত কিউবিস্ট ছবির আরাধ্য। পক্ষান্তরে বিন্দুমাত্র সাদৃশ্য নয়, বরং নিকষিত বিমূর্ততাই সুরঞ্জনার লক্ষ্য। ‘রজকিনী প্রেম নিকষিত হেম, কামগন্ধ নাহি তায়!’ আরও কিছু সাদৃশ্যের কথা যদি বলতে হয়, পিকাসো, ব্রাক কিংবা আরও অনেকের কোলাজে যেমন সর্বজনবোধ্য (ইংরেজি বা ফরাসি) ভাষার ব্যবহার আছে, সুরঞ্জনার সীবিত কোলাজেও আমরা ভাষার ব্যবহার দেখি, তবে সে ভাষা বিচিত্র সব লিপিতে লেখা, যা সাধারণের বোধগম্য নাও হতে পারে। দাদা কিংবা কোলাজ আর্টের মতোই সুরঞ্জনার চারুকৃতিতে উঠে এসেছে সমসাময়িক জীবন, রাজনীতি, সমাজ ও প্রকৃতি।

ঢাকা আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ গ্যালারিতে ১৯ থেকে ২৭ এপ্রিল সুরঞ্জনার যে খান চল্লিশেক চারুকৃতি প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে এটুকু বলা যায় যে বিষয়বস্তু এবং অঙ্কনশৈলীর দিক থেকে গত শতকের প্রথম দুই দশকের কিউবিস্ট ও কোলাজ ঘরানার পরস্পরার প্রতি কমবেশি আনুগত্যের ইঙ্গিত করেও সুরঞ্জনার সীবিত কোলাজ যথেষ্ট জোর দিয়েই স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য প্রকাশ করে।

লেখক: ভাষাবিদ ও অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ