Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

অচল হাসপাতালগুলো দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা করুন

Editorial  Desk

সম্পাদকীয় ডেস্ক

সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

হাসপাতালের অভাবে অনেক রোগী চিকিৎসা পান না, অথচ ঘরের কাছে হাসপাতাল রেখে রোগী ঘোরেন দূর-দূরান্তে। এর কারণ হাসপাতাল আছে কাগজ-কলমে, সেখানকার চিকিৎসক-সহকারীরা নিয়মিত বেতনও নেন, হাসপাতালের অবকাঠামোও ঠিক আছে; কিন্তু যা নেই তা হলো ওই হাসপাতালের বাস্তবিক কোনো কার্যক্রম।

গতকাল রোববার (২০ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, দুই-পাঁচ বছর নয়; দীর্ঘ ১৮ বছরেও বগুড়ার সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ (ইনডোর) হয়নি সচল। কেন চালু করা যায়নি, সেটারও আছে নানা কারণ। তবে ‘কাগজ-কলমে’ হাসপাতালটির বহির্বিভাগ (আউটডোর) চলছে।

ছুটির দিন ছাড়া চিকিৎসক ‘নিয়মিত দেখেন রোগী’, ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সহকারীরা ওষুধও না কি রোগীকে বুঝিয়ে দেন! তবে বহির্বিভাগ চালু থাকার বিষয়টি যাচাই করতে গত বুধবার সেখানে গেলে বেরিয়ে আসে পিলে চমকানো সব তথ্য।

সরেজমিন দেখা গেছে সকাল ১০টায় হাসপাতালটির গেটে ঝুলছে বিশাল তালা। অথচ ওই সময় বহির্বিভাগের কার্যক্রম চালু থাকার কথা। আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও)-এর দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও এলাকার মানুষ তাকে কখনো দেখেননি। পাঁচজন সিনিয়র স্টাফ নার্স, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন ওয়ার্ডবয় সেখানে নিয়োগ দেয়া হলেও তারা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।

সান্তাহারের মতো বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও শিবগঞ্জের আলিয়ার হাটের আরও দুটি হাসপাতালে গিয়েও দেখা গেছে অভিন্ন ছবি। এই তিন হাসপাতালের আধুনিক নির্মাণশৈলীতে তৈরি করা ভবনগুলো ধীরে ধীরে হচ্ছে পরিত্যক্ত। দেয়ালে জন্মেছে আগাছা, খসে পড়ছে পলেস্তারা। বছরের পর বছর অবহেলা যেন সইতে পারছে না অযত্নে পড়ে থাকা অবকাঠামোগুলো। হচ্ছে, হবে করে তিন হাসপাতাল চালু করতে ইতোমধ্যে ক্ষেপণ হয়েছে দীর্ঘ সময়। হাতের কাছে সুদৃশ্য ভবনসহ হাসপাতাল থাকার পরও সুচিকিৎসার জন্য এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়ত ছুটতে হচ্ছে শহরে।

জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে এই হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম তুহিনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। তবে নির্মাণকাজ শেষ না করেই ঠিকাদার বিল তুলে কাজ বন্ধ করে দেন। এর পর দীর্ঘদিন কর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় হাসপাতালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় মাদকসেবীর আখড়ায় পরিণত হয়েছিল।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ