আমেরিকান রাজনীতি
মার্কিন নির্বাচনে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী যে কারণে পরাজিত হতে পারেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আগামী ৫ নভেম্বরে ভোট দেবেন সে দেশের নাগরিকরা। আর সেই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী কিন্তু বিজয়ী নাও হতে পারেন। মার্কিন গণতন্ত্রের আলাদা কিছু দিক রয়েছে, আর সেগুলো নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের গণতন্ত্রকে অনুকরণীয় হিসেবে দেখিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে, স্বাধীনতা অর্জনের পরে কিংবা স্বৈরশাসককে সরিয়ে দেয়ার পর গণতন্ত্র পুনর্গঠনে কোনো দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র উদাহরণ হতে পারে। আজকের ডেমোক্র্যাটরা যেখানে বহুজাতিগত গণতন্ত্রের ধারণাকে গ্রহণ করছেন, সেখানে রিপাবলিকানরা পুরোনো শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যকে পুনরুজ্জীবিত করে দেশকে আবার মহান করতে চাচ্ছেন। ফলে বহু জাতির গণতন্ত্রের ধারণা এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের ধারণা এখন সাংঘর্ষিক মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে।
থমাস ন্যাস্টের কার্টুনের গাধা ও হাতি যেভাবে মার্কিন নির্বাচনের প্রতীক হয়ে উঠল
৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে কে জিতবে? গাধা না হাতি? আপনি যদি মার্কিন নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের প্রতীক সম্পর্কে না জানেন, তাহলে ভাবতে পারেন এ আবার কেমন কথা? গাধা-হাতির প্রসঙ্গ আসছে কেন? আসলে গাধা ডেমোক্রেটদের প্রতীক আর হাতি রিপাবলিকানদের প্রতীক; কিন্তু কোনো পার্টির প্রতীক কি গাধা হতে পারে? বাঘ-হাতি হলে একটি মানানসই ব্যাপার ছিল। তাই বলে গাধা! কিন্তু সত্যিই দেড়শ বছর ধরে গাধা প্রতীকে নির্বাচন করছেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের নতুন সমীকরণ
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর ঘটনা বলছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তোলার সময় এসেছে। ট্রাম্পের সমাবেশে যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছেন, তার রাজনৈতিক বিশ্বাসই বা কী, এটা এখনো পরিষ্কার নয়। সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, ট্রাম্প নিরাপদ; কিন্তু তার সমাবেশে আসা অন্তত একজন এবং সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন; কিন্তু এ ঘটনা নিশ্চিত করেই ইঙ্গিত দিচ্ছে, নির্বাচনি বছরে অঘটনের মাত্রা বাড়বে। বিশেষ করে, যখন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অব্যাহত হুমকি ও সহিংসতার ভয় পাচ্ছেন। গত জুনের শেষ দিকে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে বেরিয়ে এসেছে, ট্রাম্পের পক্ষে সহিংসতায় সমর্থনের চেয়ে তার বিরুদ্ধে সহিংসতায় সমর্থন বেড়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানদের মধ্যে ১০ শতাংশ বা ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ট্রাম্পের বিপক্ষে সহিংসতায় সমর্থন জানিয়েছেন।