Views Bangladesh Logo

অন্তর্বর্তী সরকার

সংবিধান নিয়ে কাউকে ছেলেখেলা করতে দেয়া যাবে না
সংবিধান নিয়ে কাউকে ছেলেখেলা করতে দেয়া যাবে না

দেশ ও রাজনীতি

সংবিধান নিয়ে কাউকে ছেলেখেলা করতে দেয়া যাবে না

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।

তিস্তা কর্মসূচি নিয়ে আলজাজিরায় প্রতিবেদন
তিস্তা কর্মসূচি নিয়ে আলজাজিরায় প্রতিবেদন

দেশ ও রাজনীতি

তিস্তা কর্মসূচি নিয়ে আলজাজিরায় প্রতিবেদন

পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তিস্তাপাড়ে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নদীপাড়ের হাজারো বাসিন্দা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে তিস্তা সেতুর লালমনিরহাট পয়েন্ট থেকে কাউনিয়া অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিন কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলায় গিয়ে পথযাত্রা পৌঁছায়।

ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে
ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে

দেশ ও রাজনীতি

ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার একটি কঠিন সময়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তবে তাদের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে ছাত্র-জনতা ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এই সরকারের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশার মাত্রা অনেক উচ্চ ছিল, যা পূরণ করা স্বভাবতই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনে কিছুটা অদক্ষতা ও দুর্বলতা দেখা গেলেও, মূলত আগের সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলোকে পঙ্গু করে রেখে যাওয়ার প্রবণতার কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি সক্ষম হতে পারেনি।

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না

অর্থনীতি

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ ফেব্রুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। এটি ছিল চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) দ্বিতীয় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মুদ্রানীতি। ঘোষিত মুদ্রানীতি নিয়ে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষ আগ্রহ প্রত্যক্ষ করা গেছে। তবে সবাই ধারণা করেছিলেন প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক হতে পারে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ঘোষিত মুদ্রানীতিকে সংকোচনমূলক বলা যেতে পারে। কারণ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এটা বিগত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি। একই সময়ে শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি ব্যাপক হারে কমেছে। অর্থাৎ ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি এখন অনেকটাই মন্থর হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আহরণের হারও কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আহরণের পরিমাণ কমেছে ৭১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার

দেশ ও রাজনীতি

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও ছিল। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করে জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নিমিত্তে ৩ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের ওপর সমধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, তার মতে সংস্কার ভাবনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। দেশের জনগোষ্ঠীর প্রত্যেক নাগরিককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে জনগণকে এগিয়ে আসতেও আহ্বান জানিয়েছেন।

দুর্বৃত্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন
দুর্বৃত্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন

সম্পাদকীয় মতামত

দুর্বৃত্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন

দিন যত যাচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ততই অস্থির হয়ে উঠছে। সিনেমার ঘটনার মতো ঘটনা ঘটছে সারা দেশে। কবে এসব থামবে কেউ জানে না। গত শুক্রবার রাতে এবং শনিবার দিনভর গাজীপুরে যেসব ঘটনা ঘটল তা ছিল একেবারেই অনভিপ্রেত। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজীপুর। সেখানে হামলায় আহত সাতজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দিনভর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হামলায় জড়িতদের আওয়ামী লীগের লোক দাবি করে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে তারা। এদিকে সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে সেখানে বৈষম্যবিরোধীদের একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার দায় সরকারের ওপরেই অনেকাংশে বর্তায়: বিশিষ্ট ২৬ নাগরিক
৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার দায় সরকারের ওপরেই অনেকাংশে বর্তায়: বিশিষ্ট ২৬ নাগরিক

সমসাময়িক

৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার দায় সরকারের ওপরেই অনেকাংশে বর্তায়: বিশিষ্ট ২৬ নাগরিক

রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে দেশের বিশিষ্ট ২৬ নাগরিক বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে নির্মমতার সঙ্গে বাড়িটি ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনা–পরবর্তী একটি বিবৃতি দিয়ে এ দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার দায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরেই অনেকাংশে বর্তায়। এসব ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তারা।

সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ নয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করুন
সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ নয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করুন

অর্থনীতি

সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ নয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করুন

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্যোক্তাদের শীর্ষ চারটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জ্বালানি উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক যৌথ পত্রের মাধ্যমে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ মুহূর্তে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে শিল্প-কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পণ্য উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাতে পারে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাদের পত্রে আরও উল্লেখ করেছেন, গত ৫ বছরে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে ২৮৬ শতাংশ, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে ৬৮ শতাংশ। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়েছে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শ্রমিকদের বার্ষিক বেতন বর্ধন সুবিধা বাড়ানো হয়েছে ৯ শতাংশ। উচ্চ মূল্য দিয়েও প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করেছে। অধিকাংশ শিল্প-কারখানায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় আগামীতে শিল্প সেক্টর, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে দুরবস্থা নেমে আসতে পারে।

সরকারি গাড়ি ব্যবহারে উপদেষ্টাদেরও অনিয়ম কেন?
সরকারি গাড়ি ব্যবহারে উপদেষ্টাদেরও অনিয়ম কেন?

সম্পাদকীয় মতামত

সরকারি গাড়ি ব্যবহারে উপদেষ্টাদেরও অনিয়ম কেন?

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর গাড়িবিলাসের কথা আমরা জানি। নিজেদের দামি দামি গাড়ি থাকা সত্ত্বেও তারা যথেচ্ছভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতেন। কারও কারও নামে বরাদ্দ ছিল তিন-চারটি গাড়ি। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পরিবারের লোকজন শুধু নয়, আত্মীয়স্বজনরা পর্যন্ত সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতেন। সরকারি গাড়ি নিয়ে মন্ত্রীদের ‘বাহাদুরি’ সে সময় কুড়িয়েছিল তিরস্কার। আওয়ামী লীগ সরকার বেহিসাবে সরকারি সম্পদের লুটপাট করেছে, অপচয় করেছে- তাতে তাদের ওপর জনগণেরও ক্ষোভ ছিল প্রচণ্ড। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গণঅভ্যুত্থানে।

জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘাটতি আছে: বিএনপি
জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘাটতি আছে: বিএনপি

প্রতিবেদন

জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘাটতি আছে: বিএনপি

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৬ মাস পূর্ণ হলো বুধবার (৫ আগস্ট)। গত বছর ৫ আগস্ট  ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে টানা সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি চলে যান ভারতে।

ট্রেন্ডিং ভিউজ