অন্তর্বর্তী সরকার
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করে কানাডা
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ছাত্রচালিত বিপ্লবকে কীভাবে দেখছে কানাডা সরকার এবং নাগরিকরা?
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয় কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের বিলুপ্তি ঘটে না
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনো আড়াই মাস গত হয়নি। কাজেই এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনীতি এবং রাজনীতেতে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন কী বার্তা দিল?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ কেসস্টাডি- যারা একই সঙ্গে সরকারে ও বিরোধী দলে থেকে ‘সরকারবিরোধী দল’ নামে একটি নতুন ধারণার জন্ম দিয়েছিল। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ক্ষমতার ভাগীদার হিসেবে তারা নানাবিধ সুবিধা নিয়েছে। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে তাদের ‘স্বৈরাচারের দোসর’ বলেও আখ্যা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পরম্পরায় গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরদিন শুক্রবার (পয়লা নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
চালের মজুত বাড়ান, দাম কমান
মাছে-ভাতে বাঙালি যুগ যুগ ধরেই বারবার ভাতের সংকটে পড়েছে। কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা-খড়া; কখনো-বা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও বাঙালিকে দুবেলা দুমুঠো পেটভরে ভাত খাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হয়েছে। ভাত শুধু আর বাঙালির প্রধান খাদ্য হিসেবে নেই, গভীর অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এমন অনেককে দেখা গেছে, সারা দিন যতই ভালো খাক, একবেলা পেট ভরে ভাত খেতে না পারলেই হাহাকার শুরু করে দেয়। ভাতের অভাব বাঙালির জন্য এক মানবিক বিপর্যয়ের নাম।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করা প্রয়োজন
ছাত্রদের আন্দোলনের পর এক বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রায় তিন মাস অতিক্রম করতে চলেছে। এই সরকারের প্রতি জনপ্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে সৃষ্ট ক্ষত দূরীকরণের মাধ্যমে দেশকে টেকসই উন্নয়নের পথে ধাবিত করবে, এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা; কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমেই ফিকে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কিছু কমিশন গঠন করা হলেও সেই কমিশনের কার্যক্রম এবং অগ্রগতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব একটা জানতে পারছে না। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী চিন্তা করছে এবং সেই চিন্তার প্রতিফলন আমরা আগামীতে কতটা প্রত্যক্ষ করতে পারব, তা নিয়ে সাধারণভাবে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
যেমন আছেন হত্যা মামলার আসামি সাংবাদিকরা
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে বহু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে এখন পর্যন্ত সারা দেশে ১০৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ভাসানটেক থানায় করা ফজলু হত্যা মামলায়ই আসামি করা হয়েছে ২৫ পেশাদার সাংবাদিককে।
সুশীল রাষ্ট্র গঠনে সুশীল সমাজের সহযোগিতার আহ্বান রিজওয়ানার
পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, 'সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা নয়, আমাদের সবার জন্য'।
সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না : ওয়াকার-উজ-জামান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ হতে হবে।
সরকারের ১০০ কোটি টাকার অনুদান পেল শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের সহায়তার জন্য গঠিত জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স প্রয়োজন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তহীন কাজ, আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বাজারে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা, ঘুষ-দুর্নীতির লাগামহীন রাশ টেনে ধরা, খেলাপি ঋণ হ্রাস করা, ব্যাংকিং জগতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে বিষয়টি মানুষকে বেশি আহত করেছে তা হলো দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার। এই কলামে শুধু অর্থ পাচার এবং তা ফেরত আনা নিয়ে কথা বলব। বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন, আর গভর্নর আহসান এইচ মনসুর একজন সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ। দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ও সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে তারা দুজনই বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে গেছেন, তাই অর্থনীতির শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার প্রয়োগে যথাসময়ে যথাবিহীত ব্যবস্থা গৃহীত হবে- এই প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।