শেরপুর
হাজার কোটি টাকা ব্যয়েও কেন নাব্যতা ফেরানো যায়নি
বাংলাদেশের অনেক নদীরই খনন প্রয়োজন। অনেক নদী নাব্য সংকটে ভুগছে। ফলে দেখা যায় একদিকে শুকনো মৌসুমে সেসব নদীতে নৌ চলাচল করতে পারে না অন্যদিকে বর্ষা এলেই নদীগুলো উপচে পড়ে বন্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানা গেছে, দেশের বেশিরভাগ নদীই নাব্য সংকটে ভুগছে। দীর্ঘদিন ধরে নাব্য সংকটে ভুগছে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ। নাব্য সংকট দূর করতে ২০১৯ সালে খনন শুরু করেছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ছয় বছরের খননে পানি প্রবাহ তো বাড়ানো যায়নি, উল্টো অন্তত তিন স্থানে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে নদের গতিপথ। কোথাও অপরিকল্পিতভাবে নদের মধ্যেই ড্রেজিংয়ের বালু ফেলে, আবার কোথাও জমি দখল করার জন্য মূল প্রবাহ সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে নদীভাঙনে বাড়িঘর ও ফসলি জমি হারিয়েছে শত শত মানুষ।
সুন্দরবন ঘেঁষে অবৈধ রিসোর্ট তৈরি বন্ধ করুন
আমাদের দুর্বিনীত দুর্নীতিগ্রস্ত আচরণ কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে, তার উদাহরণের শেষ নেই। আমরা নদী-খাল ভরাট করে দখল করেছি, পাহাড় কেটে সমতল বানিয়েছি, বন-জঙ্গল কেটে সাফ করে যা ইচ্ছা তা-ই বানিয়েছি। আমাদের চরিত্রের ভেতর লোভ, অসততা আর আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে প্রচণ্ড অব্যবস্থাপনা। ফলে নিজের লাভের জন্য দেশ-জাতি-পরিবেশের কথাও আমরা মাথায় রাখি না। যে কোনো সুযোগে যে কোনো জায়গা দখলের হাত বাড়িয়ে দিই, তাতে যে নিজের পায়ের নিজে কুড়াল মারি সে কথাও খেয়াল রাখি না।