Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

ইউক্রেন সংকটে শলৎজ ও মাখোঁর রাজনৈতিক মৃত্যুর রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে

Rayhan Ahmed Tapader

রায়হান আহমেদ তপাদার

বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যেদিন লক্ষাধিক সেনা নিয়ে ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হলো, সেদিনই বিশ্বে একটি ভূরাজনৈতিক ভূমিকম্প ঘটে গেছে। তারপর দুই বছর কেটে গেছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনো চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই মহাদেশে এত বড় ও প্রলম্বিত যুদ্ধ আর কখনো হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে কোনো যুদ্ধে এত প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ আর কখনো হয়নি। রাশিয়া এখন যা করছে, তা উনিশ শতকের কায়দায় সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের একটি ক্ল্যাসিক উদাহরণ। ইউক্রেন এখন যে দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করছে,তা অতীতে অনেক দেশ ভোগ করেছে।

রাশিয়ার দিক থেকে এ যুদ্ধ কখনোই ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা, ন্যাটোর সম্প্রসারণ, রুশ ভাষাভাষীদের সুরক্ষা অথবা অন্য কোনো বানোয়াট অজুহাতের ওপর ভিত্তি করে চালানো হয়নি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনবরত বলে আসছেন, ইউক্রেন নামে আলাদা দেশ বলে কখনোই কিছু ছিল না এবং ইউক্রেনীয় পরিচয়টি একেবারেই কৃত্রিম। তিনি মনে করেন, ইউক্রেনীয় পরিচয়টি পশ্চিমাদের বানানো পরিচয়। এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য একটি স্বাধীন দেশকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া, তাদের ভূমি কেড়ে নেওয়া এবং এমন একটি জাতির ওপর আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যারা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যের মালিক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতীতে ঔপনিবেশিক শাসন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে, এমন অনেক জাতির কাছে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিঃসন্দেহে পরিষ্কার হয়ে গেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের অভিঘাত ইউরোপের বাইরেও বহুদূর পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে। এই যুদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা ও জ্বালানির দামকে প্রভাবিত করছে। সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও রাজনৈতিক অস্তিত্বশীলতা সংক্রমিত হচ্ছে। এই কম্পনপ্রবাহ সত্যিকার অর্থেই বৈশ্বিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পুতিন ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তার প্রভাব সম্প্রসারিত করছেন। তিনি আফ্রিকায় তার ভাড়াটে বাহিনী ভাগনার গ্রুপ মোতায়েন করেছেন, বিভিন্ন দেশে অভ্যুত্থান ঘটানোর মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং ইউক্রেনে ফসলের মাঠ পুড়িয়ে দিয়ে, শস্যের গোলাগুলো ধ্বংস করে ও ইউক্রেনের আমদানির নৌপথ বন্ধ করে দিয়ে কৃত্রিমভাবে ক্ষুধার হুমকি সৃষ্টি করেছেন। এসবের মাধ্যমে তিনি অর্থনৈতিক জবরদস্তি চালানোর মতো কাজ করছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের অন্তর্ভেদী চোখ দিয়ে ইউরোপের ক্রমবর্ধমান অশান্তিটাকে দেখে নেওয়া যাক। রাশিয়ার এই স্বৈরাচারী শাসক যে দুর্দান্ত একটা বসন্তকাল পার করছেন। ইউরোপীয় শক্তির কেন্দ্রে থাকা দুটি দেশ-ফ্রান্স ও জার্মানি রাজনৈতিক পচনের একেবারে শেষ স্তরে গিয়ে পৌঁছেছে। গভীর অর্থনৈতিক সংকট এই পচনকে আরও তীব্র করেছে।

ফ্রান্সের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রুশপ্রিয় চরম ডানপন্থিরা ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় বিজয় পেয়েছে। আর জার্মানিতে রুশপ্রিয় চরম ডানপন্থিরা বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের দলের চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছে। ইউরোপীয় নির্বাচন মূলত সরকারগুলোর প্রতি দেশটির জনগণের গণরায়। ফলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের ফলাফল বলছে,শলৎজ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর রাজনৈতিক মৃত্যুর রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে। গত নির্বাচনে শলৎজ কিংবা মাখোঁ, কারও দলই এমনকি ১৫ শতাংশ ভোট পায়নি। চালিয়ে যেতে বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্ব দিতে পারেননি। যদিও তারা দুজনই এটিকেই অস্তিত্বগত বিষয় বলে বর্ণনা করে গেছেন। বলা চলে, ক্রেমলিনের সেই লোকটার হাসি আরও চওড়া হলো। গত সপ্তাহে মাখোঁ ইউরোপীয় মিত্রদের একত্র করে ইউক্রেনে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠানোর একটা জোট গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনে পুতিনের সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো সেখানে ন্যাটোর প্রত্যক্ষ শক্তি বৃদ্ধি করা।

কিন্তু মাখোঁ তার নিজের রাজনৈতিক গর্দানটাকে রক্ষার জন্য মধ্যপন্থিদের নিয়ে একটা জোট গড়ার চেষ্টা করে চলেছেন। যদিও এ প্রচেষ্টা এখনো সফলতার মুখ দেখেনি। মাখোঁ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার এবং আগামী মাসে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক এ ঘোষণায় তার সরকার, রাজনীতিতে তার পরম্পরা এবং ইউরোপ ও বিশ্বে ফ্রান্সের ভূমিকা-সবকিছুই ঝুঁকিতে পড়েছে। এর মধ্যে আবার গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল,মাখোঁ পদত্যাগের পরিকল্পনা করেছেন। এদিকে ফ্রান্সের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে যে জাতীয়তাবাদী চরম ডানপন্থি মারি লো পেনের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বিজয়ের প্রকৃত মানে হচ্ছে, এ গ্রীষ্মে ফ্রান্সে তারাই সরকার গঠন করবে; আগে যেটা এককথায় অকল্পনীয় ছিল। বলা চলে, পুতিনের আনন্দের আর সীমা ধরে রাখা যাচ্ছে না। শলৎজ একজন অযোগ্য রাজনীতিবিদ, সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিন দলের অকার্যকর জোট নিয়ে গঠন করা একটা সরকার পরিচালনা করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বার্লিনে তার কর্তৃত্ব একেবারেই তলানিতে।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, জার্মানির শেয়ারবাজারের প্রধান বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, বার্লিনে ক্ষমতাসীন সরকার বেকুব। তিনি সতর্ক করে বলেন, কলহে লিপ্ত শলৎজের জোট সরকার জার্মানিকে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতি থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে নামিয়ে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। এ সতর্কতা বড় যে ব্যর্থতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে,সেটা হলো ইউরোপের অর্থনীতি প্রতিযোগিতা মূলক থাকতে সক্ষম হচ্ছে না। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে হঠাৎই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং নিজ উদ্যোগে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রবৃদ্ধির হারের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলো তাল মেলাতে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বোপরি পুতিন বিশ্বমঞ্চে একজন নায়ক হতে চান। আর তিনি অলস হয়ে বসেও নেই।

পুতিনের সাইবার-ট্রোল বিভাগ ইউরোপীয়দের মধ্যে অপতথ্য, গুজব ও প্রতারণার কার্পেট বোমা বর্ষণ করে চলেছে; কিন্তু মস্কোর এই আক্রমণ এখানেই থেমে নেই। পেন্টাগনের ভাষায়, মস্কো এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের ওপর সরাসরি আক্রমণ ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়ার সেনা গোয়েন্দা ইউনিট (জিআরইউ) বোমা হামলা ও অন্তর্ঘাতের পরিকল্পনা করেছে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে প্যারিসে। খবরে প্রকাশ, ২৬ বছর বয়সী এক রুশ সেনা প্যারিসের একটি হোটেল কক্ষে আহত হওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংসতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে তিনি বিস্ফোরক ডিভাইস নিয়ে হোটেলে উঠেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের হেফাজতে নিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী ইউরোপের মাটিতে অক্ষশক্তির ওপর প্রথম আক্রমণের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্যারিস সফরের ঠিক এক দিন আগে। রাশিয়ার সেনা গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউর লক্ষ্য দেশের ভেতরে রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত এবং দেশের বাইরে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ পশ্চিমা দেশগুলোকে ভয় দেখানো ও বিভ্রান্ত করা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশ দেশের সরকারগুলো এখন চরম ডানপন্থীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন অথবা তারা অংশীদার হয়ে আছেন। তাদের সবাই যে ক্রেমলিনের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন তা নয়, তবে কেউ কেউ তো বন্ধুভাবাপন্নই। পশ্চিমারা ইউক্রেন পরিত্যাগ করুক কিংবা ইউক্রেন ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যাক, সেটা দেখে এদের সবাই খুশি না হলেও কেউ কেউ খুশি হবেই। এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর যে সাময়িক অগ্রযাত্রা, সেটা স্থবির হয়ে গেছে। কিয়েভের জন্য অস্ত্র সহযোগিতা প্যাকেজ দেরিতে হলেও অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি সভা। সে জন্য বড় করে ধন্যবাদ তারা পেতে পারে; কিন্তু এটা পুতিনের কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বের বিষয়।

পুতিনের কাছে এখন মূল চিন্তার বিষয় সহিংসতাটাকে টেকসইভাবে টিকিয়ে রাখা, সামরিক খরচের ওপর নির্ভরশীল রাশিয়ার অতি উত্তপ্ত অর্থনীতির ইঞ্জিনকে সচল রাখা এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখা। আজ হোক কাল হোক, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তখন মস্কোর মাংসপেষণযন্ত্রের সামনে দাঁড়ানোর সামর্থ্য হারাবে কিয়েভ। যুদ্ধ যখন তৃতীয় বছরের দিকে গড়াচ্ছে, তখন আগ্রাসী ও সন্ত্রাসী শক্তির কাছে যে বার্তাটি পৌঁছে গেছে, সেটি হলো-একুশ শতকে এই আগ্রাসনকে কোনোভাবেই পুরস্কৃত করতে কিংবা কারও দ্বারা পুরস্কৃত হতে দেয়া যায় না। এর বদলে তার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা জরুরি।

এই ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের কার্যকর সমর্থন দরকার। দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং গোটা মহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এই শান্তি অর্জনের জন্য ইউক্রেন ইতিমধ্যে একটি ১০ দফা শান্তি ফর্মুলা প্রস্তাব করেছে, যেটি কিনা ইউরোপীয় ইউনিয়ন পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। এই প্রস্তাবে শুধু শত্রুতার অবসান ঘটানোর বিষয়টি উঠে আসেনি বরং তার পাশাপাশি তাতে খাদ্যনিরাপত্তা, পারমাণবিক নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা, জ্বালানি নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও মানবতাকে শক্তিশালী করা জাতিসংঘ সনদগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইউক্রেনের এই ১০ দফা শান্তি ফর্মুলাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ শান্তি প্রস্তাব বলে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি। বিশ্বের সব দেশকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে এবং ফর্মুলাটিকে কাজে পরিণত করতে সহায়তা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউক্রেন বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে একটি বৈশ্বিক শান্তি সম্মেলন করছে এবং কার্যকরভাবে এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সনদের ওপর ভিত্তি করে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা নেতারা একসঙ্গে কাজ করবেন।

বিশ্বব্যাপী সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিত্বকারী সেই প্রস্তাব তখন রাশিয়ার সামনে উপস্থাপন করা হলে রাশিয়ার তাতে সম্মতি দেওয়া ছাড়া পথ থাকবে না। রাশিয়া-ইউক্রেন সম্পর্কে আরও জটিলতা যুক্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে নিয়ে রুশ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তিন রুশ কর্মকর্তা ও ছয়জন ক্রুও নিহত হন। বিমানটিকে রাশিয়া ও ইউক্রেন সীমান্তে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এদিকে সুইডেনকে ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে তুরস্ক সম্মতি দিয়েছে। তুরস্কের পার্লামেন্টে গত সপ্তাহে বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর কংগ্রেসকে জানায় যে তুরস্কের সঙ্গে ২৩ বিলিয়ন ডলারের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। পশ্চিমারা যদি কিয়েভকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা না দেয়, তাহলে ইউক্রেন সংকট সমাধানের কোনো পথ নেই।

আবার রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ইউক্রেন পরিচালিত হোক, সেটাও পশ্চিমারা হতে দেবে না। সে কারণে এই যুদ্ধ দীর্ঘকালব্যাপী সংঘটিত হতেই থাকবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গত সপ্তাহে যেমন বলেছেন, পশ্চিমা করদাতাদের অর্থ ইউক্রেন পেতেই থাকবে।

রায়হান আহমেদ তপাদার: গবেষক ও কলাম লেখক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ