Views Bangladesh Logo

যুদ্ধাপরাধীকে দায়মুক্তি শহীদদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা: আনু মুহাম্মদ

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

'একজন যুদ্ধাপরাধীকে দায়মুক্তি' দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

তিনি বলেছেন, ‘এ টি এম আজহারুল ইসলাম ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা দলিল-প্রমাণসহ ছিল। আদালত যদি কোনো ত্রুটির কারণে আগের রায় বাতিলও করেন, তাহলেও যুদ্ধাপরাধের সত্যতা তো মুছে ফেলা যায় না'।

শনিবার (৩১ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘নাগরিক সংহতি সমাবেশে' আনু মুহাম্মদ বলেন, 'যে ব্যক্তি ইতিহাসের বিবেচনায় চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, তাকে নির্দোষ ঘোষণায় ইতিহাসকে বিকৃত এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, নির্যাতিত নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে'।

তিনি বলেন, ‘জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বর্তমান তরুণ কর্মীদের অনেকেই একাত্তরে জন্মায়নি। তারা যুদ্ধাপরাধ করেনি ঠিকই, কিন্তু তারা যদি সেই রাজনীতি ধারণ করে, তবে সেই অপরাধের দায় থেকেও তারা মুক্ত থাকতে পারে না'।

নতুন ফ্যাঁসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বলেন, পুরো সমাজে আবারও নতুন ফ্যাঁসিবাদী শক্তির নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে।

যারা ইতিহাস বিকৃত এবং বৈষম্য–নিপীড়নের রাজনীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানান
তিনি।

‘যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দায়মুক্তি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে' গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মানজুর আল মতিন ও জোটের সমন্বয়ক জাবির আহমেদ।

আনু মুহাম্মদ বলেন, গণআন্দােলনে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেখানে জনগণ নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নির্লিপ্ত, কোথাও তাদের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না। বরং হামলা-নির্যাতনের কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি বাহিনীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, নারী, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, শিক্ষকসহ যে কোনো স্তরের মানুষ যখন নিজেদের অধিকার আদায়ে কথা বলেন, তখনই তাদের ওপর হামলা হয়। আর যারা হামলা করে তারা রক্ষা পায়। কারণ, সরকারের ভেতরেই তাদের মদদদাতা রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ইসলামবিরোধী বলে প্রচারের অভিযোগ তুলে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক মুসলমান। সুতরাং, তাদের হত্যাকারীদের বিচারকে ইসলামবিরোধী বলা মানে ইসলামেরই অবমাননা করা'।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি যতেদিন থাকবে, ততদিন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই চলবে। আর সেই লড়াই হবে বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশের পথচলার ভিত্তি।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ