জার্মানির ২১তম সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ফ্রেডরিক মারৎজের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি।
সরকারের কাজ কি শুধু জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো!
দেশ ও রাজনীতি
দেশ ও রাজনীতি
সম্পাদকীয় মতামত
অন্য বছরের মতো এবারও ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাকআউট) থাকবে সারা দেশ। কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হবে।
অঞ্জনদা নেই- এই খবরটা হঠাৎ চমকে দিল। অবিশ্বাস্য। বিশ্বাস করা কঠিন যে চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন, আমাদের প্রিয় অঞ্জনদা আর আমাদের মাঝে নেই। অঞ্জনদাকে আর দেখব না আজিজ মার্কেটে, শাহবাগে; বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে-সেমিনারে।
যদিও সরকার বারবার বলছে, রমজান মাসে বাজারে কৃত্রিম সংকট বা সিন্ডিকেট তৈরির চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে; কিন্তু এমন কিছু পণ্য আছে যার দাম বাড়লেও সরকার কিছু করতে পারে না; কারণ ওসব পণ্যদ্রব্যের নির্দিষ্ট কোনো মূল্য সেখানে বাধ্যগতভাবে নির্ধারিত থাকে না; ক্রেতা-বিক্রেতার দামাদামিতেই তা তাৎক্ষণিকভাবে নির্ধারিত হয়। যেমন কলা, শসা, বেগুন, লেবু ইত্যাদি। ডাল-দুধ-ডিম-মুরগির দাম হয়তো নির্ধারিত করে দেয়া যায় একটা নির্দিষ্ট হারে, কিছু সবজি সেভাবে নির্ধারিত করে দেয়া যায় না। আমরা আশা করব সরকার এবার এদিকেও দৃষ্টি দেবে। ক্রেতার জরুরি প্রয়োজনের সুযোগ নিয়ে কোনো বিক্রেতা যেন কোনো দ্রব্যেরই অযথা মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে
হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা ছিল প্রবল। অনেকেই ভেবেছিলেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর রাজনৈতিক প্রতিশোধ অনিবার্য। ইতিহাসও সে কথাই বলে। অতীতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় দেশে সহিংসতা, সম্পদ ধ্বংস ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলার নজির কম নেই; কিন্তু ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন এক নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায় ঘটে, যার ফলে তৃণমূল পর্যায়ের সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পালিয়ে যেতে হয়, আর যারা পারেনি, তাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়। তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়, এমনকি পুলিশ বাহিনীকেও তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়, যার ফলে সেনাবাহিনীর ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায় বর্তায়।
আশির দশকে এইচ এম এরশাদ প্রেসিডেন্ট থাকাকালে একপর্যায়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশের এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হচ্ছে অপরিকল্পিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি; কিন্তু তার এই বক্তব্য সঠিক ছিল না। কারণ জনসংখ্যা তা পরিকল্পিত বা অপরিকল্পিত যাই হোক না কেন তা কখনোই একটি জাতির এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হতে পারে না। জনসংখ্যা এমনই এক উৎপাদন উপকরণ যার সংস্পর্শ ছাড়া কোনো উৎপাদন কার্য সম্পাদিত হতে পারে না। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। জনসংখ্যা যদি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য দিয়ে গড়ে তোলা না যায় তাহলে তা একটি দেশের জন্য মারাত্মক সমস্যায় পরিণত হতে পারে। আর জনসংখ্যাকে যদি জনসম্পদে পরিণত করা যায় তাহলে তা যে কোনো দেশের জন্য শ্রেষ্ঠ উৎপাদন উপকরণে পরিণত হতে পারে। কাজেই জনসংখ্যা কখনোই সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অনেক দেশের এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সেই দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা।
আজ সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫; রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর পূর্ণ হলো। যদিও এ যুদ্ধকে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধই বলা হয়; কারণ, যুদ্ধ পুরোটাই হচ্ছে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। ভ্লাদিমির পুতিন আশা করেছিলেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নিতে পারবে। তখনই অনেকে বলাবলি করছিলেন এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে রূপ নিবে। সত্যিই তাই হলো, সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর এই প্রথম রাশিয়া এমন দীর্ঘমেয়াদি এক যুদ্ধে জড়াল। ইউক্রেন দাবি করছে, এই যুদ্ধে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ৪ লাখ সৈন্য হারিয়েছে। সঠিক সংখ্যাটা অবশ্য জানা যাচ্ছে না। তাও বিবিসি ও আল জাজিরা নানা সূত্রের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া কমপক্ষে দেড় লাখ সৈন্য হারিয়েছে। ইউক্রেনের সৈন্য নিহত হয়েছে অর্ধ লাখের মতো। সৈন্য কম নিহত হলেও ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তাদের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ দেশছাড়া হয়েছে, ৫০ লাখ আভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর ইউক্রেনের ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে রাশিয়া। দুদেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত ক্ষতির কথা বাদ দিলেও বলা যায় এই যুদ্ধে বিশ্ববাসীও ভুক্তভোগী হয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে এশীয় ও ইউরোপের অনেক অঞ্চলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে অনেক। করোনা মহামারির পর এমন একটা ভয়াবহ যুদ্ধ কারও কাছেই প্রত্যাশা ছিল না। কোনো যুদ্ধই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় থাকে না।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও গণভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশনও করেছে। অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অতি সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ে অটোমেটিকেলি ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যে সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত করা হয়, সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিল, তার ওপর একটি রিভিউ পিটিশন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করা যাবে না। বাহাত্তরের সংবিধানে গণভোটের বিধান ছিল না, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯৯১ সালে তা আবার সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়। হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও গণভোটের বিধানের পুনরুজ্জীবন হলো।
আর দরিদ্র মানুষের জন্য আইনের শাসন কেবল কাগজে-কলমেই আছে; কারণ তারা পর্যাপ্ত পয়সা খরচ করে ভালো আইনজীবী নিতে পারে না। তবুও আমেরিকার গণতন্ত্র অনেক দিন ধরে এমনভাবে টিকে আছে যেন এটি এক ধরনের বিশ্বাসের অংশ। খ্রিষ্টধর্মের অনেক ধারণা আমেরিকার রাজনীতিতে ঢুকে গেছে। যেমন, আমেরিকা মনে করে তাদের মূল্যবোধ সব মানুষের জন্য এবং তারা সেসব মূল্যবোধ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চায়। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সও একই কাজ করেছে, কারণ ফ্রান্স ও আমেরিকার গণতন্ত্র দুই বিপ্লব থেকে এসেছে। আর এই বিপ্লব আলোকিত যুগের ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃরাষ্ট্রিক ঘাত-প্রতিঘাত ও সংশ্লেষণের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র গতিশীল থাকে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উপজাতি, ধর্মীয় সম্প্রদায়, বিশেষ আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য-সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, ভাষাগত পার্থক্য ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠী দেখা দেয়। রাষ্ট্রের জনপ্রকৃতিতে বিরাজ করে বৈচিত্র্য। বৈচিত্র্যর স্বীকৃতি দিয়ে, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয়- এই নীতি অবলম্বন করে সরকারকে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ জনপ্রকৃতির বৈচিত্র্যগত সমস্যার সমাধান করতে হয়। সংস্কৃতির বহুত্ববাদের (Pluralism in culture) কথা বলে জাতির ভেতরে অনৈক্য সৃষ্টি করলে জাতি টেকে না। তাতে রাষ্ট্রের অস্তিত্বের শর্তও নষ্ট হয়।
নতুন প্রশাসনিক বাস্তবতায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথম দুদিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময়ে ডিসিদের দেয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা।
কোনো মামলা নেই, নেই কোনো অভিযোগও। তারপরও কেন যৌথবাহিনীর হেফাজতে মারা যেতে হলো যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে- এ প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন নিহতের স্বজনসহ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ইটাল্লা গ্রামবাসী।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি, তৎকালীন নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। সেদিন পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।
কনফারেন্সের শিরোনামগুলো অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সময়োপযোগী। আয়োজক সংগঠনের নামও আকর্ষণীয়। সংগঠনের ওয়েবসাইট খুব ভালো ডিজাইনের এবং সুনির্মিত। যে কেউ প্রথম দেখায় বিশ্বাস করতে বাধ্য যে এটি সত্যিই একটি আন্তর্জাতিক বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠন; কিন্তু বাস্তবে এই সাইটগুলো সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ফাঁদ। প্রতি বছর প্রায় একশ কনফারেন্সের তালিকা ওয়েবসাইটে দিয়ে কনফারেন্স ফি আদায়ের নামে প্রতারণার মাধ্যমে শত শত ডলার হাতিয়ে নেয়াই হচ্ছে এ চক্রের কাজ। বিভিন্ন নামের একই ধরনের প্রায় ২০টি ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এই সংঘবদ্ধ চক্র। ভিউজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চক্রটি পরিচালিত হচ্ছে ভারত থেকে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা আছেন। এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের একজন নাগরিকেরও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতারকদের অন্যতম ওয়েবসাইট “Sciencesociety.co” বাংলাদেশি এক নাগরিকের পরিচয় রয়েছে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে।
অন্য বছরের মতো এবারও ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাকআউট) থাকবে সারা দেশ। কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হবে।
ম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রণীত প্রথম মুদ্রানীতি। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। বর্তমান বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতাকালে কেমন মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয় তা নিয়ে সবারই আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। প্রায় তিন বছর ধরে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।