এবার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ১৪ অভিনেতা-অভিনেত্রী

রাজধানীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ওপর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অভিনেতা রিয়াজ, চঞ্চল চৌধুরী, মামুনুর রশীদসহ ১৪ জন শিল্পীকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এই অভিযোগ গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার, সাজু খাদেম, আশনা হাবীব ভাবনা, সোহানা সাবা, রোকেয়া প্রাচী এবং অভিনেতা জায়েদ খান ও ফেরদৌস।

এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ২০১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, এটিএন নিউজের মুন্নী সাহাসহ ১৫ জন সাংবাদিকের নামও রয়েছে।

এ ছাড়াও শিক্ষকদের মধ্যে জাফর ইকবাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মিজানুর রহমান, মুনতাসির মামুনসহ ১৩ জনের নাম রয়েছে। এই মামলায় ইমরান এইচ সরকার এবং লাকী আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ মার্চ বাদী হয়ে এই মামলার আবেদন জমা দেন সাবেক ছাত্রদল নেতা এম এ হাশেম রাজু। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানায় এই ঘটনার বিষয়ে পূর্বে কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কি না, তা জানতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মিছিলের পথে বাধা সৃষ্টি করে। আসামিরা ছাত্র-জনতার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা এবং ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলি ব্যবহার করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে বাদীর ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে অজ্ঞাত ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করে।