পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫তম বার্ষিকী আজ
আজ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫তম বার্ষিকী। ২০০৯ সালের এই দিনে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় একদল উচ্ছৃঙ্খল সদস্য নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হয় ।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসটি উপলক্ষে আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) কয়েক শ সদস্য। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ও অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
ওই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ এবং বাকিগুলোতে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয় ।
দেশের সবচেয়ে বড় এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়াও খালাস পান ২৭৭ জন আসামি।
এ ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বিডিআর বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে