১৭ বছর বয়সী এন্ড্রিকের গোলে ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে ১৭ বছর বয়সী এন্ড্রিকের ওই একমাত্র গোলে জয়ের হাসি হেসেছে তারা। দরিভালের কোচিংয়ে এটাই ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ।
২০২৩ সালের শেষ চার ম্যাচেই জয়শূন্য। যার মধ্যে হেরেছিল শেষ তিন ম্যাচে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ড্রয়ের পর হারে সবশেষ তিন ম্যাচে; উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ছয় মাস পর অবশেষে এবার জয়ের স্বাদ পেল সেলেসাওরা।
ম্যাচে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। ১০ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া রদ্রিগোর শট রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। তিন মিনিট পর কাইল ওয়াকারের দক্ষতায় ব্রাজিলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ইংল্যান্ড। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বল নিয়ে পিকফোর্ডকে বিভ্রান্তিতে ফেললেও গোললাইনে পৌঁছানোর আগে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন ওয়াকার। পরের মিনিটেই লুকাস পাকুয়েতার দুর্দান্ত পাস থেকে বল পেয়েও ফিনিশিং করতে পারেননি ভিনিসিয়ুস।
ম্যাচের আধঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ওয়াকার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তিনি দেন হ্যারি ম্যাগুইরেকে। ২০ মিনিটে তার বদলি হয়ে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষিক্ত হন সেন্টার ব্যাক এজরি কোনসা। ৩৫ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে দারুণ সুযোগ পায় ব্রাজিল। পিকফোর্ডকে ভুল দিকে পাঠালেও পাকুয়েতার ওই শট গোলপোস্টে আঘাত করে।
বিরতির পর ইংল্যান্ড প্রথম সুযোগ পায়। অ্যান্থনি গর্ডন ছয় গজ বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে লক্ষ্যে শট নেন। ব্রাজিলিয়ান কিপার বেন্তো তার বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ৈ দেন । ৭১ মিনিটে পাকুয়েতা ও রদ্রিগোর বদলি হয়ে মাঠে নামেন আন্দ্রেস পেরেইরা ও এন্ডরিক।
একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করে ইংলিশদের বিপক্ষে ব্রাজিল টানা তৃতীয় ড্রয়ের পথে এগোচ্ছিল। কিন্তু ১৭ বছর বয়সী এন্ডরিক গড়ে দিলেন পার্থক্য। ৮০তম মিনিটে পেরেইরার পাস ধরে বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন ভিনিসিয়ুস। তার শট পিকফোর্ড ফিরিয়ে দিলেও জায়গামতো ছিলেন এন্ডরিক। বাঁ পা দিয়ে খালি জালে বল ঠেলে দেন ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলের জার্সিতে তিন ম্যাচ খেলে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন এন্ডরিক। ওয়েম্বলিতে সর্নকনিষ্ঠ পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েম্বলিতে গোল করলেন ১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সী এই খেলোয়াড়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে