Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

৩০ বছর পর জলাবদ্ধতামুক্ত হলো ২৫ হাজার বিঘা আবাদি জমি

Rezaul karim

রেজাউল করিম

শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বিলের পানি অপসারণ হওয়ায় দীর্ঘ ৩০ বছর পর হাসি ফুটেছে শার্শা সীমান্ত এলাকার পাঁচ গ্রামের মানুষের মুখে।

বছরের পর বছর বিলের পানি অপসারণ না হওয়া ও জলাবদ্ধতার কারণে ২৫ হাজার বিঘা জমিতে কোন আবাদ করতে পারতেন না এ অঞ্চলের কৃষক। এবার বোরোধান আবাদের পাশাপাশি আগামীতে সব ধরনের ফসল আবাদ করতে পারবেন বলে জানান স্থানীয়রা।

তথ্যমতে, শার্শার রুদ্রপুর সীমান্তের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা ইছামতী নদীর একটি শাখা থেকে সৃষ্টি হওয়া ১৫২টি খাল ও বিল পাড়ের মানুষের আয়ের প্রধান উৎসই ছিলো কৃষি। ভারত থেকে আসা উজানের পানি ও বর্ষা মৌসুমে সৃষ্ট পানিতে সব সময় জলাবদ্ধতা থাকায় ফসল ঘরে তুলতে হিমশিম খেতে হতো কৃষকদের।

দীর্ঘ ৩০ বছর পর এ অঞ্চলের পাঁচটি গ্রামের মানুষ ২৫ হাজার বিঘা জমিতে চাষ করে যেন তিন ফসলই ঘরে তুলতে পারেন সে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। রুদ্রপুর, দাউদখালি, ভবানিপুর, কায়বার ঠ্যাংগামারি বিলের সংযোগস্থলে নিজস্ব অর্থায়নে আধুনিক মানের সেচ পাম্প বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

এ অঞ্চলের কৃষকের দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা করে চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে দেওয়া প্রতিজ্ঞা রাখতেই চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন শেখ আফিল উদ্দিন।

শুধু তাই নয়, পানি নিষ্কাশনের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হলে রুদ্রপুর, দাউদখালি, ভবানিপুর, কায়বার ঠ্যাংগামারি বিলের কৃষকদের সাথে কাঁধে কাঁধ রেখে ধান রোপণ কাজের শুভ সূচনা করেন তিনি।

এতে দীর্ঘ ৩০ বছর পরে কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হওয়ায়, আনন্দিত হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সংসদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ অঞ্চলের মানুষ।

স্থানীয় কৃষক তাইজুল ইসলাম বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কোল ঘেঁষে বহমান ইছামতী নদী থেকে প্রতি বছর বন্যা ও বর্ষা মৌসুমের পানিতে সারা বছরই পানির নিচে থাকে এ অঞ্চলের খাল ধারের আবাদি জমি। কৃষিনির্ভর হলেও এখানকার মানুষের সারা বছর এসমস্ত খাল ও বিল থেকে মাছ ধরে আয় রোজকার বের করতে হতো। সমস্ত প্রতিকুলতা কাটিয়ে আবারও সোনালি ফসল ফলাতে পারবো আমরা।”

কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু জানান, দীর্ঘ ৩০ বছর পরে হলেও আশায় বুক বেঁধেছেন শার্শা সীমান্তের বিল পাড়ের মানুষ। শেখ আফিল উদ্দিন এমপি’র হাত ধরে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটার পাশাপাশি শার্শা উপজেলাতে ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেলো ২৫ হাজার বিঘা জমিতে। তবে, ধান চাষের পাশাপাশি এই জমিতে অন্যান্য ফসল চাষও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ