নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় সেনাবাহিনীর ২৭ সৈন্য নিহত

নাইজেরিয়ার বোর্নো রাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলায় একজন কমান্ডারসহ অন্তত ২৭ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। এই হামলায় এক কমান্ডারসহ আরও বেশ কয়েকজন সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বোর্নো রাজ্যের ম্যালাম-ফাতোরি শহরের সেনা ঘাঁটিতে আইএসডব্লিউএপি (ইসলামিক স্টেট আফ্রিকা প্রদেশ) ও বোকো হারামের সদস্যরা আত্মঘাতী হামলা চালায়। ওই হামলায় বিস্ফোরণের সঙ্গে বন্দুক হামলা চালানো হয়, যার ফলে সেনাবাহিনীর ২৭ জন সৈন্য নিহত হন।

এএফপি জানিয়েছে, আইএসডব্লিউএপির যোদ্ধারা ট্রাকে করে এসে বোর্নো রাজ্যের ম্যালাম-ফাতোরি শহরে সেনাবাহিনীর ১৪৯ ব্যাটালিয়নে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়।

দুই সৈন্য ও সেখানকার বাসিন্দারা জানান, নাইজার সীমান্তের প্রবেশদ্বারের এই ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর পাশাপাশি বন্দুক থেকে গুলিও চালিয়েছেন আইএসডব্লিউএপির যোদ্ধারা।

হামলায় বেঁচে যাওয়া এক সৈন্য রয়টার্সকে জানান, ‘জঙ্গিরা সর্বত্র গুলি চালিয়েছিল এবং আমরা তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্দুকযুদ্ধের পর আমরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের কমান্ডিং অফিসারও নিহত হয়েছেন।’

পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির বোর্নো রাজ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম এবং আইএসডব্লিউএপি প্রায়ই হামলা চালিয়ে থাকে। তারা একাধিকবার নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ করেছে, যার ফলে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বিশেষ করে, এই দুটি গোষ্ঠী উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এ ছাড়াও ২০২৩ সালের শুরু থেকেই এই অঞ্চলে গোষ্ঠীটির হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বেশ কিছু কৃষক ও জেলে প্রাণ হারিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে পশ্চিমা শিক্ষার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে এবং নিজেদের ইসলামিক আইন প্রতিষ্ঠা করতে অস্ত্র তুলে নেয় বোকো হারাম।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বোকো হারাম ও আইএসডব্লিউএপির যোদ্ধাদের সংঘাতে প্রায় ৩৫ হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।