অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তিন বিভাগীয় কমিশনারকে তলব

অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের ডিসি এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার ইউএনওকেও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনাররা এখন পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই আদেশ পাওয়ার পর বিভাগীয় কমিশনার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, পূর্বের বন্ধকৃত ইটভাটাগুলোর নাম পুনরায় বন্ধকৃত ইট ভাটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সকল অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।