মধ্য গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ৩৭
মধ্য গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলের চালানো হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। মধ্য গাজার একটি হাসপাতাল এ তথ্য জানিয়েছে।
আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা ওই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত ৩৭ জনের মরদেহ গ্রহণ করেছে।
ওই স্কুলে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত গাজার নাগরিক ফয়সাল থারি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'কেন? আমরা কী করেছি যে, তারা আমাদের বোমা মেরেছে?
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, স্কুলটি মধ্য গাজার নুসেইরাত এলাকায়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) স্কুলটির ওপরের তলার শ্রেণিকক্ষে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মধ্য গাজার নুসেইরাত এলাকায় শরণার্থী শিবিরের ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হামাসের একটি কম্পাউন্ডে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধাকে ‘নির্মূল' করেছে তারা।
পরে এ ব্যাপারে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানান, স্কুলটির ৩টি শ্রেণিকক্ষে যুদ্ধবিমান হামলা চালালে নয়জন 'সন্ত্রাসী' নিহত হয়। যেখানে ইসলামিক জিহাদ ও হামাসের প্রায় ৩০ জন লুকিয়ে ছিল।
এদিকে এ হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে ‘সম্পূর্ণ’ স্বচ্ছতা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইস্রায়েল সরকার বলেছে-তারা এই হামলায় নিহতদের নামসহ হামলার বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি তারা এই তথ্য জনসমক্ষে আনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হবে।’
ইসরায়েলের এই হামলাকে গাজা যুদ্ধে ‘বেসামরিক নাগরিকদের যে মূল্য দিতে হচ্ছে তার আরেকটি ভয়ঙ্কর উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘গাজায় যা কিছু ঘটেছে তার জন্য জবাবদিহিতার প্রয়োজন হবে।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে