ভারতে দশম আন্তর্জাতিক নৃত্য ও সঙ্গীত উৎসবে বাংলাদেশের ছয় শিল্পী
ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ চলাকালে দশম আন্তর্জাতিক নৃত্য ও সঙ্গীত উৎসবে অংশ নিলো বাংলাদেশ। সঙ্গম এলাকার ১নং সেক্টরে গঙ্গামণ্ডপের এই উৎসব ছাড়াও দিল্লি, গুজরাট, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম এবং মেঘালয়ে নৃত্য পরিবেশনার কথা রয়েছে নৃত্যশিল্পী দলটির।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক র্যাচেল প্রিয়াঙ্কা প্যারিস ছয় সদস্যের দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার দলের অন্য নৃত্যশিল্পীরা হলেন, মৌসুমী, লাবনী, রিনি, রাইসা এবং পিঙ্কি।
উত্তর প্রদেশ সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর) যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করেছে।
উৎসবের উদ্বোধনী অধিবেশনে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ও পরদিন রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কুম্ভের ১৩ হাজার আসনের গঙ্গামণ্ডপে বাংলাদেশের দলটি ধর্মীয় গল্প, কবিতা এবং সঙ্গীত ভিত্তিক গৌড়ীয় নৃত্য প্রদর্শন করে। দুদিনের এই পরিবেশনা শেষ করে চলতি মাসের শেষের দিকে ভারতের অন্য প্রদেশগুলোতে নৃত্য প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
উৎসবে অংশ নেয়া অন্য দেশগুলো হল রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, কিরগিস্তান, ফিজি, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রুয়ান্ডা।
আইসিসিআরের মহাপরিচালক কে নন্দিনী সিংলা বলেন, 'সাংস্কৃতিক যোগ কখনও থেমে থাকে না। সরকার আসবে, যাবে, রাজনীতি বদলাবে, নেতা বদল হবে, তবে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের যোগ কখনও ম্লান হয় না। এটি এমনই আবেগ। কোনো রাজনৈতিক নেতা এসে এই আবেগের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন না। যেসব দেশ দল পাঠায়, তারা নিজেদের বিমান ভাড়া দেয়। খানে আসার পরে তাদের যাবতীয় খরচ এবং প্রয়োজন আমরা মেটাই’।
অন্য দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারও এই ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েছে বলেও জানান তিনি
বাংলাদেশি দলের নেতা প্রিয়াঙ্কা পার্সিস বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে এখানে এসে মহাকুম্ভে অংশ নিতে পেরেছি। আমন্ত্রণের জন্য আমরা ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে কৃতজ্ঞ’।
দলটির ভিসা পেতে কোনো সমস্যা হয়নি বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘নানা কারণে দু-দেশের সম্পর্ক যে টানাপড়েনে রয়েছে, সেখানে মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরিতে সংস্কৃতির যে অপার ভূমিকা, এই উৎসবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে সেটাই প্রমাণিত হল। এতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন দুই পারের শিল্পীরা’।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে