আহত আরও ৭ জন আন্দোলনকারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে আহত আরও সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটে তারা দেশ ত্যাগ করেন। তারা থাইল্যান্ডে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ১ জন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ১ জন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস থেকে ৩ জন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে ২ জন।
আহতদের মধ্যে বিএমইউতে চিকিৎসাধীন আব্দুল জব্বারের মূত্রথলির পাশে এখনো বুলেট রয়ে গেছে। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আশরাফুল সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে পড়েছেন; ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় তিনি আহত হন। নিউরোসায়েন্সের এক তরুণের বাম পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে। বাকিরা সবাই গুরুতর স্নায়বিক আঘাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন হারিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪৭ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হলো। তাদের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন। সর্বশেষ খোকন চন্দ্র বর্মন রাশিয়ায় মুখের পুনর্গঠন সার্জারির প্রথম ধাপ সম্পন্ন করে ৭ মে দেশে ফেরেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, আরও ২০ জনের বেশি আহত ব্যক্তিকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহতদের বিমানবন্দরে আনা হয়। বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নাদিয়া, নুসরাত ও ইমরান।
আহতরা ও তাদের পরিবার দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। পাশাপাশি তারা চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে