গাজা যুদ্ধে নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ছয় মাসে গাজায় চলমান সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। খবর বিবিসি'র।
প্রতিবেদনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, জনবহুল এলাকায় ইসরায়েলের মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের কারণেই এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। তবে কিছু মৃত্যুর জন্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ছোঁড়া ভুল প্রজেক্টাইলও দায়ী হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান জান এগেল্যান্ড সম্প্রতি গাজা সফর শেষে সাংবাদিকদের বলেন, "পুরো এলাকা যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেকটি ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর বেশিরভাগ এলাকাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী স্তালিনগ্রাদের মতো ধ্বংসপ্রাপ্ত দেখাচ্ছে। এ এক অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয়, যেখানে প্রধানত নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী।"
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৮ হাজার ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ শতাংশ শিশু এবং ২৬ শতাংশ নারী। নিহত শিশুদের মধ্যে পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ আবাসিক ভবন বা বাসস্থান সংলগ্ন এলাকায় নিহত হয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, "বেসামরিক মানুষের ওপর এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মৌলিক নীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন।"
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং হামাস তাদের মধ্যে ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর ইসরায়েল গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনো চলমান।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে