Views Bangladesh Logo

অমর একুশে বইমেলা

মেলায় থাকছে ৭২৬টি প্রতিষ্ঠানের ১০৯২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন

দিও কয়েক মাস আগেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা আয়োজন নিয়েই শঙ্কা ছিল, আয়োজকরা বলেছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বছর স্মরণকালের সর্ববৃহৎ বইমেলার আয়োজন করছে তারা।

মেলার গতবছরের ডিজাইন প্রায় অক্ষত রেখেই এবার গতবার থেকে আরও ৪৭টি বেশি প্রতিষ্ঠানকে মেলায় জায়গা করে দিয়েছে আয়োজকরা।

মেলার আয়োজন সূত্র বলছে, এ বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৬৯১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১০৫৭টি ইউনিট এবং ৩৫ প্রতিষ্ঠানকে প্যাভিলিয়ন অর্থাৎ ৭২৬ প্রতিষ্ঠানকে ১০৯২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

গতবছর বইমেলায় মোট ৬৪২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৯৪৬টি ইউনিট এবং ৩৭টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ ছিল অর্থাৎ ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৮৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মেলা আয়োজকরা বলছেন ২০২৪-এ শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪১২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য মোট ৬৫৭টি ইউনিট বরাদ্দ ছিল সেখানে এবার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯১টি এবং মোট ইউনিট হয়েছে ৭৯৯টি।

একইভাবে শিশুতোষেও আগের বছরের তুলনায় প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিটের সংখ্যা বেড়েছে। মোট ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১১৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৩৯টি ইউনিট দেয়া হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় কম। আগের বছর ১২৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৮১টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
গতবছরে যে ডিজাইন বইমেলার আয়োজন কমিটি নিয়েছিল তা যে কোনো প্রবেশ স্থান থেকে পুরো মেলাকে সবার কাছে দৃশ্যমান করে তোলে। তাই সেই ডিজাইন পরিবর্তন না করে কিছু পরিমার্জন করেই এবার মেলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান, অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আয়োজক কমিটির মহাসচিব ড. সরকার আমিন।

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ” থিমকে সামনে রেখে আয়োজিত হতে যাচ্ছে এ বছরের একুশে বইমেলা। এই বছরের থিম কালার হলো লাল, কালো এবং সাদা। লাল প্রতিনিধিত্ব করছে বিপ্লবকে, কালো শোককে এবং সাদা প্রতিনিধিত্ব করছে শান্তিকে। অর্থাৎ বিপ্লব এবং এ সময় ঘটে যাওয়া শোককে ধারণ করে, শান্তির বাতাবরণ নিয়ে এসেছে এবারের বইমেলা।’

তিনি বলেন, এই বইমেলা সর্ববৃহৎ বইমেলা হবে কারণ ১০০টির মতো নতুন স্টল যুক্ত হচ্ছে।

রাজনৈতিক কোনো সংগঠন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবার স্টল বা প্যাভিলিয়ন পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকাশনার প্রায় সবাইকে আমরা স্টল বরাদ্দ দিতে চেষ্টা করেছি। তবে রাজনৈতিক দল বা কোনো অঙ্গ সংগঠন স্টল বরাদ্দ দেয়ার বাজে চর্চা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছি। তার পরিবর্তে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনকে বরাদ্দ দিয়েছেন বলে জানান আয়োজক কমিটির এই মহাসচিব।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ বছর গত বছর থেকেও বেশি বই বিক্রি হবে। দর্শনার্থীও হবে গত বছরের থেকে বেশি।

বাংলা একাডেমি সূত্র বলছে ২০২৪ সালে কমপক্ষে ৫৫ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে এবং দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ লাখ।

২০২৩ সালে ৮৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল এবং একুশে বইমেলায় রেকর্ড ৮২ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছিল ২০২০ সালে করোনা শুরুর ঠিক আগে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ