সাংবাদিকতার বাতিঘর গোলাম সারওয়ার
একজন ডায়নামিক সম্পাদক গোলাম সারওয়ার
চার দশকের অধিককালের সাংবাদিকতা জীবনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বনামে খ্যাত ৬ জন সম্পাদকের তত্ত্বাবধানে কাজ করেছি, প্রতিষ্ঠানতুল্য সম্পাদক তোয়াব খানের পর যার কথা বিশেষভাবে মনে পড়ে, তিনি অগ্রজ প্রতিম শ্রদ্ধেয় গোলাম সারওয়ার (১৯৪৩-২০১৮)। সারওয়ার ভাইকে প্রথম দেখি ১, রামকৃষ্ণ মিশন রোডের তদানীন্তন ইত্তেফাক ভবনে। দৈনিক ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসরে তখন প্রায় নিয়মিত লিখি। এটা খুব সম্ভবত ১৯৭৬ অথবা ১৯৭৭ সালের কথা। সম্প্রতি প্রয়াত কবি ইকবাল হাসান তখন ইত্তেফাক ভবন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পূর্বাণীর সাহিত্য সম্পাদক। দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়াও সারওয়ার ভাই কিছুকাল সাপ্তাহিক পূর্বাণীর সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্বেও ছিলেন। চীনের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা তার অনেক আগের। সে সুবাদেই বন্ধু ইকবাল হাসান একদিন আমাকে সারওয়ার ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
যদ্দুর মনে পড়ে, প্রথম পরিচয়েই আমি কথা বলি তার লেখা ছড়া নিয়ে। তিনি খুশি হয়েছিলেন। আমার লেখা ছড়া-কবিতাও পত্রিকায় পড়েছেন, সে কথাও জানান। সেদিনের সেই সামান্য পরিচয় যে একদিন গভীর অন্তরঙ্গতায় পৌঁছুবে, ভাবতেও পারিনি। এরপর বহুবার ইত্তেফাকের বার্তা কক্ষে কখনো কোনো প্রেস রিলিজ দিতে গিয়ে, কখনো রাহাত ভাইয়ের রুম থেকে বের হতে গিয়ে, চলতি পথে কত দেখা হয়েছে, কুশল বিনিময় পর্যন্তই সে দেখা-সাক্ষাৎ ছিল সীমিত।
বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের মানুষ বলে হয়তো তিনি আমাকে কিছুটা বাড়তি স্নেহই করতেন। সেটা উপলব্ধি করতাম ওই স্বল্প আলাপের মধ্যেই। কবি ইকবাল হাসান ছিলেন তার সবচেয়ে স্নেহের এবং অন্তরঙ্গতম ব্যক্তিদের একজন। বয়সের ব্যবধান প্রায় এক দশকের হলেও সম্পর্কটা ছিল অনেকটা বন্ধুর মতো। দীর্ঘকাল কানাডাপ্রবাসী ইকবাল হাসান ঢাকায় এলে উঠতেন সারওয়ার ভাইয়ের বাসায়। তাদের দুজনের অন্তরঙ্গতা কত গভীর, সেটা ২০০৮ সালে সমকালে যোগদানের পরে আরও বেশি করে উপলব্ধি করেছি।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সিনিয়রদের প্রায় সবাই জানেন দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক পদটি এক সময় কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওই হাউসে। এমনকি নির্বাহী সম্পাদকের চেয়েও পাওয়ারফুল ছিলেন বার্তা সম্পাদকরা। সেটা প্রখ্যাত সাংবাদিক আসফ উদ দৌলা রেজা ভাইয়ের আমলেই শুরু। তো, বার্তা সম্পাদক সারওয়ার ভাই ছিলেন ইত্তেফাকের বার্তা-সংক্রান্ত সব কিছুর সিদ্ধান্তদাতা। সঙ্গত কারণে আমরাও তার সঙ্গে সমীহজাত দূরত্ব বজায় রেখে চলতাম। যে কারণে কারও সঙ্গে মেলামেশা করার মতো বা ইকবাল হাসানের মতো অন্তরঙ্গতা বা ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠেনি অনেক বছরেও। ঘনিষ্ঠতার সূচনা ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পথে অথবা সরকার গঠন করে ফেলেছে, এমন দিনেই ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় সারওয়ার ভাই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিজয় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে একটি কাব্যিক লেখা লিখেছিলেন। কবিতার মতো বিশেষণের পর বিশেষণে উচ্ছলতার আবেগে প্রাণবন্ত সেই লেখাটি পড়ে আমি ফোন করেছিলাম সারওয়ার ভাইকে। তখন আমি দৈনিক জনকণ্ঠের সহকারী সম্পাদক কাম সাময়িকী সম্পাদক। তারপর থেকে যখনই দেখা হয়েছে, প্রাণ খুলে কথা বলেছেন তিনি এবং আমিও। ঘটনাচক্রে তারপরে তো তার সঙ্গে সমকালে প্রায় ছয় বছর কাটিয়ে দিলাম একসঙ্গে। কত স্মৃতি, কত অভিজ্ঞতা।
স্মৃতিজড়ানো এই কথাগুলো মনে এলো অনুজপ্রতিম কবি গিরীশ গৈরিক যখন দেশবরেণ্য সম্পাদক, লেখক গোলাম সারওয়ার ভাইয়ের জন্মদিন (১ এপ্রিল) উপলক্ষে একটি লেখার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন।
অগ্রজপ্রতিম শ্রদ্ধেয় গোলাম সারওয়ারের ৮১তম জন্মবার্ষিকীর প্রাক্কালে আমি এই গুণী মানুষটিকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আমি যখন বাংলাদেশ টেলিভিশনে চুক্তিভিত্তিতে পরিচালক বার্তা পদে যোগদান করি, তারপরে একাধিকবার সমকালে এসেছি, তার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বারবার বলতেন তোমার কন্টাক্ট কবে শেষ হবে? তুমি আবার আমার সঙ্গে কাজ করবে। তোমার মতো একটা এডিটিং হ্যান্ড আমার নিউজরুমে থাকা দরকার, যারা দ্রুততম সময়ে ভালো এডিট করতে পারে। তুমি ফিরে এসো। ততদিনে আমরা সাত রাস্তার মোড়ে নতুন নির্মাণাধীন ভবনে চলে যাব। সেখানকার কাজের পরিবেশ আরও উন্নত হবে। এসো।
সমকালে আমার জয়েন করার কথা ছিল অনেক আগেই, অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে। বসুন্ধরা সিটি মার্কেট সংলগ্ন একটি ভবনে সমকালের প্রকাশনার প্রস্তুতি চলছিল, এটা ২০০৫ সালের প্রথম দিকের কথা। আমি সিভিসহ দেখা করে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম তার সঙ্গে সমকালে কাজ করার জন্য। হয়তো তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি আমি দৈনিক জনকণ্ঠের মতো এরকম বহুল প্রচারিত জমজমাট কাগজ ছেড়ে তার সঙ্গে যাব। তিনি জিজ্ঞেস করেছেন সত্যি তুমি আসবে? আমি জবাব দিয়েছিলাম, অবশ্যই আপনি নিলে আসব; কিন্তু মে মাসে যখন কাগজ বেরোয় তখন অবাক হলাম। আমাকে আর কিছু তিনি জানাননি। সমকালের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠালগ্নে আমার যোগ দেয়া হলো না। সেই সমকালে যোগ দিলাম ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে, সম্ভবত প্রথম সপ্তাহে। তখন সারওয়ার ভাই যুগান্তরে চলে গেছেন সমকাল ছেড়ে। সম্পাদক আরেক স্বনামখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান।
অনুজপ্রতিম লেখক সাংবাদিক দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু শব্দশূন্য ফিচার সম্পাদক পদের জন্য আমার নাম প্রস্তাব করলেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খানের মাধ্যমে। জনকণ্ঠের তখন চরম দুর্দিন। ওয়ান-ইলেভেনের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তখন ক্ষমতায়। জনকণ্ঠের সম্পাদক প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুল্লাহ খান মাসুদ তখন কারাগারে। অফিসে নিয়মিত বেতন হয় না। শ্রদ্ধেয় তোয়াব ভাই তখন আমেরিকায়। মাঝিহীন নৌকার মতো অকূল সাগরে ভাসছে তখন জনকণ্ঠ পরিবার। আমরা একটি কমিটি করে অনেক কষ্টে পত্রিকাটি চালিয়ে রাখছি। গোটা ২০০৭ সাল এই অবস্থায় যাওয়ার পর যখন সমকাল থেকে এই প্রস্তাব পেলাম, তখন সবকিছু উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব ভাইকে এবং জেলখানায় আতিকুল্লাহ খান মাসুদকে জানিয়ে আমি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়ে চলে গেলাম সমকালে।
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে আবেদ ভাই সমকাল ছেড়ে চলে গেলেন আবার ফিরে এলেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। সারওয়ার ভাই আমাকে দেখে কিছুটা অবাকই হলেন; কিন্তু মুখে কিছু বললেন না। কিছুদিন বেশ দূরত্ব ছিল; কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা এত ভালো করে করেছিলাম, যা ছিল অভাবনীয়। বাংলাদেশের এমন কোনো বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, যাদের লেখা ছাপা হয়নি। সম্ভবত তিন দিনে তিনটি পর্বে প্রায় ৪০ পৃষ্ঠার বিশেষ সংখ্যা বেরিয়েছিল। সদ্য নোবেল পাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আকবর আলী খানসহ বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতি বিশ্লেষক, এমনকি সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান দৈনিক প্রথম আলো ছাড়া কোথাও লেখেন না, তার কাছ থেকেও লেখা সংগ্রহ করে আনলাম এবং আমি যতদিন সমকালে ছিলাম হাবিবুর রহমান আমাদের প্রতিটি বিশেষ সংখ্যায় লিখতেন এবং সেটা আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই।
আমার কার্যক্রমে দিন দিন সারওয়ার ভাইয়ের সন্তুষ্টি আমি টের পেলাম। একদিন সারওয়ার ভাই বললেন, তোমার ফিচার বিভাগের কাজটা ৫টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়, তুমি কি মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় আমার সঙ্গে একটু বসতে পারো নিউজ রুমে? কিছু কপি দেখে দেবে। আমি সানন্দ্যে রাজি হয়ে গেলাম। তিনি তার সামনে জমা রিপোর্ট থেকে কিছু কিছু রিপোর্ট আমাকে দিতেন এডিট করার জন্য। যেমন একটি রিপোর্ট ১২০০ শব্দের মধ্যে করবেন সেটি ২ হাজার শব্দের লেখা হয়েছে ৮০০ শব্দ কমিয়ে দ্রুততম সময় হেডলাইন করে দিতে হবে। প্রথম দিন দুটি বড় রিপোর্ট এডিট করেছিলাম। তিনি বললেন ভাষাগত দুর্বলতা দূর করবে এবং রিপোর্টটির মেদ ঝেড়ে ফেলে দেবে।
আমার এডিট করা কপি দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলেন আমার মুখের দিকে। বললেন, ‘নিউজরুমে আগে কাজ করেছ’। বললাম ডেস্কে কাজ করেছি দৈনিক বাংলায়। কয়েকদিন কাজ করার পরে একদিন শাহেদ চৌধুরী এবং সবুজ ইউনুসকে বললেন, ‘নাসিরকে নিউজ রুমে নিয়ে আসলে কেমন হয়।’ শাহেদ চৌধুরী বললেন, ‘নাসির ভাই তো ভালো বাংলা লেখেন, ভালোই তো হয়।’ সবুজ বললেন, ‘কবিতার হাত, নাসির ভাই তো অনেক দিন জনকণ্ঠে কলাম লিখেছেন, মন্দ হবে না।’
এর সপ্তাহখানেক পরে অফিসে গিয়ে একদিন বিকেলবেলা চিঠি পেলাম আমাকে ফিচার সম্পাদক থেকে পদোন্নতি দিয়ে অ্যাসোসিয়েট এডিটর পদবী দেয়া হয়েছে। বেতনও কিছু বেড়েছে। ১৪ আগস্ট আমি অবাক হয়ে গেলাম, যখন সারওয়ার ভাই বললেন, ‘১৫ আগস্টের লিড তুমি লিখবে।’ যেই কথা সেই কাজ। তিনি এত খুশি হলেন কবিতার ইনটু দিয়ে সেই প্রধান প্রতিবেদন পড়ে। অত্যন্ত সুন্দর ট্রিটমেন্ট দিয়ে ছেপেছিলেন এরকম মাঝে মাঝে আরও দুই একটি প্রতিবেদন তিনি আমাকে দিয়ে করিয়েছিলেন।
যে কোনো কারণেই হোক আমার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা কেউ হয়তো তাকে দিয়েছিলেন, যে কারণে তিনি আমাকে সমকালের প্রতিষ্ঠালগ্নে নেননি। আমার মেধা প্রতিভা সম্পর্কে বহুদিন তার মনে যে দ্বিধা কিংবা জড়তা ছিল, তা যেন দিনে দিনে কেটে গিয়ে বিপরীত অবস্থান তৈরি হয়ে গেল। রাজনৈতিক মহলে আমার সংযোগ সম্পর্কে তার ধারণা ছিল না। জোট শাসনের পাঁচ বছর বইটি পড়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। আমি তখন সেন্সর বোর্ডের মেম্বার, এশিয়াটিক সোসাইটির মেম্বার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বাংলা বিভাগের প্রথম শ্রেণি পাওয়া ছাত্র এর সব কিছু দিনে দিনে তার চোখের সামনে উন্মোচিত হতে থাকলে তার মধ্যে আমি বিপুল মুগ্ধতা লক্ষ্য করি। ২০০৯ সালে এক মন্ত্রী তার বাড়িতে সারওয়ার ভাইকে দাওয়াত করেছিলেন মন্ত্রীর অন্য বন্ধুদের সঙ্গে ডিনারের জন্য। সারওয়ার ভাই আমাকেও নিয়ে গেলেন সঙ্গে। বললেন, ‘তোমার লেখা কয়েকটি বই নিয়ে চলো দুই-একজনকে দিবে।’ আমি ‘জোট শাসনের পাঁচ বছর’ এবং আমার ‘কবিতা সংগ্রহ’ নিয়ে গিয়েছিলাম তিন কপি।
মন্ত্রীর সঙ্গে আমার অনেক আগের পরিচয়। তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন। ড. হাছান মাহমুদ তখন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। আমার বইটি টেবিলে দেখে নেড়েচেড়ে বললেন বাকি কপি আছে একটি কপি দেয়া যাবে, জোট শাসনের পাঁচ বছর আর একটি কপি বাকি ছিল। তাকে উপহার দিলাম। অনুষ্ঠানে অনেকের সঙ্গে আমার পরিচয় দেখে সারওয়ার ভাই খুব খুশি হলেন। এরপরে বাকি দিনগুলো অত্যন্ত আনন্দে কেটেছে। অনেক বড় মানুষেরও ছোটখাটো সীমাবদ্ধতা থাকে।
একটা কারণে মনের মধ্যে অভিমান ছিল, মনে মনে সিদ্ধান্ত নিই সমকাল ছেড়ে দেবো সুযোগ পেলে। সারোয়ার ভাই তখন আমেরিকায় মেয়ের বাসায়। ফোনে তাকে জানালাম যে আমি চলে যাচ্ছি। তিনি বাধা দিয়েছিলেন। তারপরও আমি চলে যাই দৈনিক বর্তমানের যুগ্ম সম্পাদক কাম ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে। রাহাত খান ভাই সেখানে উপদেষ্টা সম্পাদক। সারোয়ার ভাই ক্ষুব্ধ থাকার কথা ছিল; কিন্তু আমি যখন এক বছর পর বিটিভির পরিচালক (বার্তা) হয়ে চলে যাই তিনি অভিনন্দন জানিয়েছিলেন টেলিফোনে।
সমকালে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি কি ডায়নামিক একজন সম্পাদক তিনি। যাকে বলে সার্বক্ষণিক সম্পাদক। প্রতিটি রিপোর্ট তিনি নিজে দেখতেন, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন। দ্রুততম সময় হেডলাইন করতেন, অনেক সময় কাব্যিক হেডলাইন করে ফেলতেন মুহূর্তের মধ্যে। যখন যেখানে যেতেন মাথার মধ্যে থাকত পত্রিকা। তোয়াব খানের পরে এরকম সম্পাদক আমি আর দেখিনি। তিনি আজ নেই; কিন্তু আমার মতে অনেকের মনে অম্লান হয়ে আছে তার অসামান্য দক্ষতা আর সংবাদপত্রের টিম তৈরি করার আশ্চর্য স্মৃতি।
লেখক: কবি ও সাংবাদিক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে