Views Bangladesh Logo

কলেজ শিক্ষার্থীদের মারামারি ঠেকাতে সমঝোতা চুক্তি!

Amin Al  Rasheed

আমীন আল রশীদ

কটা অদ্ভুত খবর চোখে পড়ল। রাজধানীর নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সেন্ট্রাল রোড এলাকায় অবস্থিত ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ এবং আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে। গত ২৩ এপ্রিল এই তিন কলেজের অধ্যক্ষ পর্যায়ে আলোচনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মনে করছে যে, প্রাথমিকভাবে এ ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে এই তিন কলেজসহ ধানমন্ডি এলাকার আরও দুটি কলেজ মিলে সমঝোতা চুক্তি অনুসরণ করলে সংঘাত এড়ানো যাবে।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এড়াতে তারা নিজেদের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি করবেন। একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে, সেখানে এই এলাকার দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও কলেজের ঊর্ধ্বতনরা আছেন। এখানে সংশ্লিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। এই তিন কলেজের সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজও যুক্ত হবে। আশা করি এই চুক্তিনামা মেনে চললে সংঘাত হবে না।’ (ইত্তেফাক, ২৪ এপ্রিল ২০২৫)।

গত ২২ এপ্রিল ‘তুচ্ছ ঘটনাকে’ কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারী, সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। একপর্যায়ে সিটি কলেজের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায় ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী। একই ঘটনা ঘটেছিল গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর। এদিন আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের একপর্যায়ে আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্ন হলো, এই ধরনের ঘটনা কী বার্তা দেয়? কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াবে আর সেটা ঠেকাতে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে- এর চেয়ে লজ্জার কী হতে পারে? এই শিক্ষার্থীরা স্কুলে কী শিখেছে? পরিবারে কী শিক্ষা পেয়েছে এবং এখন যেখানে পড়ছে সেখানেইবা তারা কী শেখে? তারা যে নিয়মিত পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আক্রান্ত হয়- তার দায় কি শিক্ষকরা এড়াতে পারেন? কলেজ প্রশাসনের দায়িত্ব কী? এই ধরনের একটি সংঘাতপূর্ণ পরিবেশে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেড়ে উঠছে তারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উন্নয়নে কী ভূমিকা রাখবে বা তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ বা কী? এই ধরনের সংঘাত কি শুধুই প্রেমঘটিত কারণে ঘটে নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে? শুধুই কি শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, নাকি এর সঙ্গে বহিরাগতরাও, বিশেষ করে বিবদমান রাজনৈতিক পক্ষগুলোও জড়িয়ে যায়?

সবশেষ সংঘর্ষ
গণমাধ্যমের খবর বলছে, গত ২১ এপ্রিল ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে অশালীন ছবি তোলার অভিযোগ ওঠে সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এর জেরে পরদিন সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে সিটি কলেজে গিয়ে হামলা চালায়। পরে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরাও সংঘবদ্ধ হয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। উভয় পক্ষের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। তারা পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে দুদিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। আবারও তারা মারমুখী হয়ে উঠলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বেলা আড়াইটার দিকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও আক্রমণ করা হয়। এর মধ্যে সিটি কলেজের একটি নামফলক খুলে নেয় ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী। তারা সিটি কলেজের প্রধান ফটকেও ভাঙচুর চালায়। এর আগে ১৫ এপ্রিলও এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সময় উভয় কলেজের শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষ নতুন নয়
গত ২৩ এপ্রিল সমকালের একটি খবরে বলা হয়, গত আট মাসে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত ১১ বার সংঘর্ষ হয়েছে। তবে সবশেষ হামলা ও ভাঙচুরের পর ঢাকা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এফ এম মোবারক হোসাইন বলেছেন, ‘ছাত্র নামের কিছু সন্ত্রাসী সিটি কলেজে অতর্কিত হামলা করেছে। রমজানের আগেও এই কলেজের স্থাপনায় হামলা হয়েছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাউশি, ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ দায়িত্বশীলদের প্রতি আমাদের আহ্বান, যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’

এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে রাজধানীতে বিভিন্ন কলেজের ছাত্ররা যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তা বাংলাদেশ তো বটেই, সম্ভবত বিশ্বের ইতিহাসেই বিরল। ঘটনার সূত্রপাত ‘ভুল চিকিৎসায়’ একজন ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে হামলা চালায় পুরান ঢাকায় অবস্থিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। এ সময় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর রেশ ধরে সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালানো হয়। তিন কলেজের শিক্ষার্থীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ডেমরা এলাকা। এর আগের দিন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি (বুটেক্স) এবং এর সংলগ্ন পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন।

কেন এই সংঘর্ষ?
১. ঢাকার এই তিনটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুদিন পরপরই যে এই ধরনের মারামারি হয় তা নয়, বরং ঢাকার কলেজ সংলগ্ন নিউমার্কেটের দোকানদারদের সঙ্গেও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সাধারণত জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বাহাস থেকে মারামারির সূত্রপাত হয়- যা অনেক সময় বিরাট আকার ধারণ করে। কখনো নারী ক্রেতাদের সঙ্গে কোনো কোনো বিক্রেতার অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়েও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকানদারদের সংঘর্ষ হয়েছে।


২. গত বছরের ১৯ নভেম্বর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্রের একটি বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে সিটি কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীর হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে পরদিন বেলা ১১টার দিকে সিটি কলেজের একদল শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের দুটি বাস ভাঙচুর করে। পরে ঢাকা কলেজের ছাত্ররাও জোটবদ্ধ হয়ে সিটি কলেজে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। অর্থাৎ পুরোটাই নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জের তথা নিজেদের সেরা ভাবার মানসিকতা।


৩. অনুসন্ধান বলছে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ এবং এর কাছেই সেন্ট্রাল আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মারামারির সূত্রপাত হয় প্রেমঘটিত কারণে।


বলা হয়, ঢাকা কলেজে যেহেতু ছাত্রী নেই, তাই তারা সিটি ও আইডিয়াল কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বিষয়টা জানাজানি হয়ে গেলে বা সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হলে অথবা ঢাকা কলেজের কোনো ছাত্র এসে সিটি বা আইডিয়ালে প্রেম করছে এবং ঢাকা কলেজের সেই ছাত্র সিটি বা আইডিয়ালের কোনো ছাত্রের সঙ্গে এ নিয়ে তর্কে জড়িয়েছে মানেই হলো সেটির পরিণতি হাতাহাতি। আর ঢাকা কলেজের কোনো ছাত্র যখন মার খেয়ে ক্যাম্পাসে যায় তখন সেখান থেকে তার বন্ধু ও সহপাঠীরা দল বেঁধে সিটি বা আইডিয়ালে গিয়ে মারধর করে। ভাঙচুর চালায়।


৪. আরেকটি কারণ ছাত্র রাজনীতি। সব কলেজেই কমবেশি ছাত্র রাজনীতি আছে। অনেক সময় রাজনৈতিক বিভেদও আন্তঃকলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের নেপথ্যে ভূমিকা রাখে। যেহেতু কলেজ দুটি পাশাপাশি অবস্থিত, ফলে ফুটপাতে চলাফেরা, বাসে ওঠা-নামার মতো সামান্য ঘটনায়ও এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে- যার পেছনে থাকে ইগো এবং আধিপত্য বিস্তারের মানসিকতা। একই কারণে সিটি ও আইডিয়াল কলেজ এবং ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।


৫. শিক্ষার্থীদের কিছু অংশ মারামারি এবং সংঘর্ষকে তাদের ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যম হিসেবে দেখে। এ ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


৬. শিক্ষার্থীরা প্রায়ই কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় নানা ইস্যুতে জড়ো হয়ে যায় এবং তাতেও অনেক সময় ছোটখাটো সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ঢাকা কলেজ সংলগ্ন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়।


৭. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া কোনো কোনো বিষয়ও অনেক সময় উত্তেজনা ছড়ায় যা শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ উসকে দেয়।

সমাধান কী?
কিছুদিন পরপরই ঢাকার কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় খোদ পুলিশ বিভাগও বিরক্ত। রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সবাই মনে করছি, এসব সংঘর্ষ নিছক কোনো একদিনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর স্থায়ী সমাধান দরকার। আমরা চাই না এমন ঘটনায় কেউ প্রাণ হারাক বা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হোক। আমরা চেষ্টা করছি কলেজগুলোকে একত্র করে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে।’ (বণিকবার্তা, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)।

প্রশ্ন হলো, কীভাবে এর স্থায়ী সমাধান হবে? সমঝোতা চুক্তি করে? এই ধরনের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে যেরকম যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন তা কখনো দেখা যায়নি। গত ২৩ এপ্রিল তিন কলেজের অধ্যক্ষরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে যে বৈঠক করলেন সেটি এর আগে দেখা যায়নি। ফলে এটি অন্তত ভালো লক্ষ্মণ যে, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ যৌথভাবে সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান চাচ্ছে। তবে এই ধরনের চুক্তি কোনো ভালো বিষয় নয়। কেননা এটিকে মনে হচ্ছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। যেন যুদ্ধরত দুটি দেশ কোনো চুক্তিতে উপনীত হচ্ছে অথবা কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সরকার চুক্তি করছে। কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মারামারি ঠেকাতে চুক্তি করতে হবে- এর চেয়ে লজ্জার কী হতে পারে?

ফলে শুধু সমঝোতা চুক্তি নয়, বরং ঠিক কী কী কারণে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা এই ধরনের সংঘর্ষে জড়ায় তা চিহ্নিত করতে হবে। সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আসল রোগ ধরা না গেলে তিন বেলা প্যারাসিটামলে রোগ সারবে না। ক্যান্সার হয়ে গেলে তার চিকিৎসা ভিন্ন।

দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষের ভেতরে বাইরের শক্তিগুলো যুক্ত হয় বলে অভিযোগ আছে। সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে যে, বাইরের শক্তিগুলো কেন ও কীভাবে যুক্ত হয়। এখানে যদি রাজনৈতিক বিষয়-আশায় থাকে তাহলে বিষয়টার সুরাহা করতে হবে রাজনৈতিকভাবে।


দেশে অস্থিতিশীলতা বজায় থাকলে যাদের সুবিধা, সেরকম কোনো পক্ষ শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষে বাতাস দেয় কি না- তাও খতিয়ে দেখা দরকার।

সর্বোপরি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে মারামারি, আধিপত্য বিস্তার বা ক্ষমতা প্রদর্শনের প্ল্যাটফর্ম নয়- সেটি শিক্ষার্থীদের যেমন বুঝতে হবে, শিক্ষকদের বুঝাতে হবে এবং তার চেয়ে বেশি অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে যে, তার সন্তান কলেজে গিয়ে কী করে, কাদের সঙ্গে মেশে এবং তার জীবনবোধ কীভাবে তৈরি হচ্ছে।

আমীন আল রশীদ: সাংবাদিক ও লেখক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ