Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

ভীতি-অনিশ্চয়তাময় রাজনৈতিক অস্থিরতার বছরে শেখ হাসিনার পতন

Kamrul  Hasan

কামরুল হাসান

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০২৪ সাল ছিল খুবই আলোচিত-সমালোচিত। কিন্তু প্রায় ১৬ বছরের টানা ক্ষমতা ভোগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি এবং ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণে সম্ভবত স্বাধীনতার পরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলোর একটি হয়ে উঠেছে। সংস্কারে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হবে নাকি পুরোনো রাজনীতিই নতুন মোড়কে আসবে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা না গেলেও লণ্ডভণ্ড রাজনৈতিক পরিমণ্ডল কীভাবে এগোবে- তা নির্ভর করবে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার এবং আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তিগুলোর ওপরেও।

বিদায়ী বছরের শুরুতেই বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের সমমনা বিভিন্ন জোট-দল এবং বাম ঐক্যজোটের বয়কটের মাঝেও ২৯ দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন ও ভোট গণনা বিতর্ক শেষভাগে কোটা আন্দোলন থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার গুঞ্জন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও ধর্মীয় রাজনীতির উল্লম্ফনসহ নানা ঘটনা ২০২৪ সালকে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখবে।

বছর শুরু সমালোচিত নির্বাচনে

৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ২৯৮টিতে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। এর ২২২টিতেই জিতে দুই তৃতীয়াংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজয়ী আসনগুলোর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি একজন করে। নির্বাচিত জাতীয় পার্টির ১১ জন ও কল্যাণ পার্টির একজনও জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে। তাদের আসনগুলো থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিজয়ী ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা।

দলগতভাবে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত অন্য ২৮টি রাজনৈতিক দলের ২৪টি থেকে একজনও জেতেননি ওই নির্বাচনে। তাদের একজন বাদে অন্য সবাই হারান জামানতও।

বিএনপিসহ ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বর্জন করা এ নির্বাচনে যেখানে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছিলো, সেখানে পরের একঘন্টার মধ্যেই ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনের এই অফিসিয়াল ফিগার নির্বাচনটি নিয়ে দেশে-বিদেশে
সমালোচনা হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাজনৈতিকায়নে শেখ হাসিনার পতন

গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতৃত্বে কোটাবিরোধী বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর মাত্র এক মাস পাঁচ দিনেই পতন ঘটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের।

১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা এই আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। মধ্য জুলাইয়ের পর ছাত্রদের ওপরে গুলি চললে রাস্তায় নামেন অসংখ্য সাধারণ মানুষও। ১৬ জুলাই রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ এবং চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী ওয়াসিমসহ ছয়জন নিহত হলে সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের এই আন্দোলন রাজনৈতিকরূপ নেয়। ৩ আগস্ট পরিণত হয় সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে। ৪ আগস্ট শুরু ‘অসহযোগ আন্দোলন’ এবং ওইরাতে ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরদিন ৫ আগস্টের ‘ঢাকা মার্চ’ কর্মসূচিতে জনঅংশগ্রহণ বাড়তেই থাকে। প্রবল গণআন্দোলনের মুখে দুপুরের আগেই পদ ও দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। গণভবন, সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে অসংখ্য মানুষ। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে আগুন, আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে দেয়া হয় আগুন।

এর আগে ২০২১ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট হলে ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ৬ জুন সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) পুনর্বহালে আদালতের দেয়া রায় বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্ররা। তবে ১ জুলাই থেকে মূলত আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির হিসেবমতে, ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের সাথে সংঘাতে নিহত হন অন্তত ৭৭২ জন, যার মধ্যে ৫ আগস্ট একদিনেই মারা যান ২৯৪ জন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদ ও দেশ ছাড়লে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৭ জনকে নিয়ে শুরু হলেও ২০ ডিসেম্বর এ এফ এম হাসান আরিফ মারা যাওয়ায় বর্তমান উপদেষ্টা ২৩ জন, যাদের তিনজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক।

জামায়াতকে নিষেধাজ্ঞা এবং প্রত্যাহার

২৯ জুলাই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসে ১৪ দল। ১ আগস্ট নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকার পতনের পর ২৮ আগস্ট ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ভিন্ন অবস্থান, আওয়ামী লীগ নিয়ে শঙ্কা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি অনড় থাকলেও কখনো দেরিতে নির্বাচনের পক্ষে, কখনো সংস্কার শেষে নির্বাচনের পক্ষে মতামত দিয়ে যাচ্ছে জামায়াত।

নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দলগুলোর এ তাগাদা ও নানামুখী আলোচনার মাঝেই দেড় বছরের মধ্যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না- সেটিই এখনকার জোরালো প্রশ্ন। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার নিষেধাজ্ঞা না দিলে এতে কোনো বাধা নেই।

তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরাসহ কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বিচারের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে আসছে।

চাঙ্গা বিএনপি, সাংগঠনিক ভঙ্গুরতায় আওয়ামী লীগ

প্রায় ১৬ বছর পরে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সরকার পতনে বিএনপির মাঝে অতি আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে। দেশজুড়ে নানা অপকর্মের জন্য আঙ্গুল উঠছে দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের দিকেও। এর মাঝেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন কমিটি গড়ছে সাংগঠনিকভাবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সক্রিয় হয়ে ওঠা বিএনপি।

অন্যদিকে সাংগঠনিক ভঙ্গুরতার মুখে আওয়ামী লীগ। রাজনীতির মাঠ থেকে কোনো আগাম সতর্কতা ছাড়াই আকষ্কিভাবে বলয়বহিভূত হিসেবে নিজেদেরকে খুঁজে পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দেশের প্রাচীনতম দলটির নেতাকর্মীরা। উদ্বেগ ও আতঙ্কে জীবনযাপনের পাশাপাশি হামলা-মামলার চাপে হতাশ এবং পুরোপুরি দিক-নির্দেশনাহীনও তারা।

গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা বা দেশছাড়া হওয়ায় শীর্ষনেতাদের নিয়েও রয়েছে নানা শঙ্কা। দেশে অবস্থানরতরাও এখনও আত্মগোপনে। সবমিলে আওয়ামী লীগে চরম নেতৃত্বশূন্যতা এবং দলগত বিপর্যস্ততা এনে দিয়েছে ২০২৪ সাল।

ধর্মীয় রাজনীতির উল্লম্ফন

বিদায়ী বছরের শুরু এবং শেষের দিকের রাজনৈতিক আবহ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্নমুখী। আওয়ামী লীগের সেক্যুলার রাজনীতির বিপরীতে অর্ধবছরেই সরকার পতনে উল্লম্ফন ঘটছে ধর্মীয় রাজনীতির। এটিকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন সেক্যুলার রাজনীতি ও নাগরিক সমাজের বড় অংশ।

বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে যে, জামায়াতের নেতৃত্বে নতুন ইসলামী জোট গঠনের উদ্যোগও নেয়া হতে পারে। কয়েকটি ইসলামী দল ও আলেমদের সঙ্গে বৈঠক এবং সম্ভাব্য জোটের রূপরেখা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে দলটি। জামায়াতের সঙ্গে এই জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস এবং আরও কিছু ইসলামী ছোট দল। তবে মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বিরোধিতাসহ জামায়াতের অতীত কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন বিরোধী দল ও সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ইতিহাস এ উদ্যোগের সাফল্যকে জটিলতর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে জামায়াতের নেতিবাচক ভূমিকা এখনও বিতর্কের কেন্দ্রে। তাই দলটিসহ ইসলামী রাজনীতির এই আকষ্মিক উল্লম্ফনের স্থায়িত্ব এবং প্রভাব নির্ভর করবে জনগণের সমর্থন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ওপরে। আবার জামায়াতবিরোধী ইসলামী ধারার অন্য দলগুলো জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে রয়েছে সতর্ক অবস্থানে। তারা বলছে, আকিদাগত আপত্তির কারণে জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলার পক্ষে দলগুলো।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্য কয়েকটি দলও ইসলামী দলগুলোর ঐক্য গড়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা প্রথমে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা এবং এরপর জামায়াতের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা করছে। সর্বশেষ, জামায়াত ও ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে মতবিনিময় সভা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত জোট গঠনের ঘোষণা আসেনি।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরেও ইসলামকেন্দ্রিক নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কথা শোনা যাচ্ছে।

আসছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নতুন রাজনৈতিক দল

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল খুব শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। বলেছেন, অরাজনৈতিক ফোরাম হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুটি পক্ষই কাজ করবে। ফোরাম দুটি থেকে যে কেউ নতুন দলে যোগ দিতে পারবেন। নতুন রাজনৈতিক দল নতুন নামে আসবে বলেও জানান তারা। তবে নামটি এখনো নিশ্চিত করেননি।

নতুন যেকোনো রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানাতে চায় রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সরকারের ছত্রছায়ায় কোনো রাজনৈতিক দল হলে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশকিছু দলের নেতারা।

তারেকের দেশে ফেরার গুঞ্জন, খালেদার বিদেশে যাবার

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সাজা বাতিলসহ বেশকিছু মামলা প্রত্যাহার হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রবল আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

অসমর্থিত সূত্র বলছে, নতুন বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে তারেক রহমান লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরতে পারেন। প্রস্তুতি হিসেবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, এমনকি তার জন্য বাড়িও খোঁজা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন বলেও জানাচ্ছে সূত্রটি।

চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই। তবে ঠিক কোনদিন তিনি যাবেন, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে ‘বিশ্বসেরা’ বাংলাদেশ

২০২৪ সালের ‘বর্ষসেরা দেশ’ হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করেছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও বর্ষসেরা দেশ নির্বাচনে ধনী, সবচেয়ে সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ স্থানের অধিকারী- এমন সব বিবেচনায় না নিয়ে বরং গত ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে, সেই বিচারে নির্বাচন করা হয়েছে। সেরা দেশ বাছাইয়ে দ্য ইকোনমিস্টের সংবাদদাতাদের মধ্যে জোরালো বিতর্ক হয়েছে বলেও উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বর্ষসেরা দেশ নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ এবং রানার্সআপ সিরিয়া। তবে চূড়ান্ত তালিকায় ছিল পাঁচটি দেশ। অন্য তিনটি দেশ হলো- পোল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আর্জেন্টিনা।

রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত ৮৮

বছরজুড়ে (১১ মাসে) রাজনৈতিক সহিংসতার চিত্র তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। রাজনৈতিক দলগুলোর বিশেষত পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের ৫৯৭টি সংঘর্ষে মারা যান ৮৮ জন, আহত হন অন্তত পাঁচ হাজার ৬০৩ জন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ