Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানি

সমস্যার মূলে হাত দিন

Rased Mehedi

রাশেদ মেহেদী

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ত প্রায় এক যুগ ধরে দেখা যাচ্ছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যিনিই দায়িত্ব নিচ্ছেন, তার প্রথম প্রতিশ্রুতি হচ্ছে টেলিযোগাযোগ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে লাভজনক করা হবে। এবারও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক সেই একই ঘোষণা দিয়েছেন। বিশেষ করে বিটিসিএল, টেলিটক এবং টেশিশ- এই তিনটি কোম্পানির ওপর বেশ চড়াও হয়েছেন। লাভজনক না হলে এসব কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনবেন, সে ঘোষণাও দিয়েছেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোতে বেসরকারি বিনিয়োগ গ্রহণ করার স্পষ্ট ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

এর আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা একাধিক মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী একইভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত এসব কোম্পানির জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ খুঁজেছেন; কিন্তু কেউই এসব কোম্পানির কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেননি। কারণ তারা কেউই সমস্যার মূলে হাত দেননি কিংবা হাত দিতে সমর্থ হননি। বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর কঠোর বক্তব্যেও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর রুগণ অবস্থা কিংবা লোকসানের প্রকৃত কারণ উঠে আসেনি।

প্রতিমন্ত্রীকে তিনটি কোম্পানি নিয়ে বেশ চিন্তিত দেখা যাচ্ছে। কোম্পানি কিন্তু আরও তিনটি আছে। এগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, বাংলদেশ কেবল শিল্প লিমিটেড এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি। এ তিনটি কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি (বিএসসিসিএল) লাভে থাকার কথা বলা হয়; কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটা এই কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিশেষ দক্ষতার কোনো ফল নয়। কারণ দেশে সাবমেরিন কেবল দিয়ে পাইকারি ব্যান্ডউইথের বাজার এতদিন একমাত্র বিএসসিসিএলের দখলেই ছিল। ফলে লাভ না করার কোনো কারণই ছিল না; কিন্তু তারপরও কোম্পানির অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে এ কোম্পানিও ভূমিপথ ব্যবহার করে পাইকারি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা প্রতিষ্ঠান আইটিসিগুলোর (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্টেরিয়াল কেবল কোম্পানি) কাছেই বাজার হারিয়েছে। এখন বেসরকারি খাতে সাবমেরিন কেবল কোম্পানি আসেছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে বিএসসিসিএলের হিসাবের খাতায় একটি বড় প্রভাব পড়তেই পারে। অন্যদিকে সরকারি নানা সুবিধা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেডকে। এ সুবিধাগুলো সরিয়ে বাজারে সমান সমান প্রতিযোগিতায় ফেললে লাভ দূরে থাক, এ কোম্পানির অস্তিত্ব সত্যিই সংকটে পড়তে পারে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চরিত্র ভিন্ন প্রকৃতির। ফলে এ কোম্পানির আয়-ব্যয়ের হিসাবেও অন্য পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।

এবার প্রতিমন্ত্রী যে তিনটি কোম্পানি নিয়ে চিন্তিত, সেই তিনটি কোম্পানি প্রসঙ্গে আসি। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) দেশের বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ কোম্পানি। এই কোম্পানির দেশজুড়ে বিস্তৃত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক রয়েছে। বলা যায়, দেশের টেলিযোগাযোগ ট্রান্সমিশন ব্যবস্থার মেরুদণ্ড এখন পর্যন্ত বিটিসিএল। আবার দেশের ভেতরে পাইকারি এবং খুচরা উভয় বাজারে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে বিটিসিএল। এর বাইরে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে, ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ, ডোমেইন হোস্টিং, ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিজড সার্কিট বা আইপিএলসি সেবার লাইসেন্স আছে এ কোম্পানির। এ কোম্পানিই দেশে প্রথম সফলভাবে ওটিটি কলিং অ্যাপ ‘আলাপ’ চালু করে। ব্যবসার এত সুযোগের পরও এই কোম্পানি লাভজনক নয়; কিন্তু কেন?

বিটিসিএলের মতো কোম্পানির সংকটের মূলে রয়েছে এর আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন (এওএ)। এই ‘এওএ’ হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পরিচালনার মূল ভিত্তি। টেলিযোগাযোগ খাতের সব রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিই একই ধরনের ‘এওএ’ দিয়ে পরিচালিত হয় এবং ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব। এসব কোম্পানির বোর্ডে একাধিক মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব কিংবা উপ সচিবও থাকেন। দুটি চেম্বার থেকে দুজন প্রতিনিধি থাকেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক থাকেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যই বিটিসিএলের বোর্ডের সদস্য।

অন্যদিকে আপনি প্রতিবেশী ভারতের রাষ্ট্রীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) দিকে তাকান। সেখানে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এমডি একই ব্যক্তি। বর্তমানে যিনি এই পদে আছেন প্রভীন কুমার পুরওয়ার। টেলিযোগাযোগ খাতের ফিন্যান্স অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিএসএনএলের শীর্ষ কর্মকর্তার দায়িত্বে এসেছেন। তিনি ভারত সরকারের পোস্টাল অ্যান্ড টেলিগ্রাফ ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে যথেষ্ট পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েই এ পদে এসেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকেই স্পষ্ট। আরও দেখা যায়, বিএসএনএলের বোর্ডের অন্য সদস্যরাও টেলিযোগাযোগ, অর্থনীতি, বাজার ব্যবস্থাপনা, নীতি গবেষণা, প্রভৃতি ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। বাংলাদেশে বিটিসিএল অনেকটাই বিএসএনএলের মতোই কোম্পানি; কিন্তু দুটি কোম্পানির বোর্ড গঠন ও ব্যবস্থাপনায় বিশাল ব্যবধান।

অবশ্য কেউ কেউ চট করে বলতে পারেন, গেল অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকেই তো বিএসএনএল প্রায় দেড় হাজার কোটি রুপি লোকসানের হিসাব দিয়েছে। তবে এ উদাহারণ দেওয়ার আগে এটাও মনে রাখতে হবে গত অর্থবছরে প্রায় ২০ হাজার ৬৯৯ কোটি রুপি রাজস্ব আয় করেছে। মূলত কোম্পানির যে লোকসানি দেখানো হচ্ছে, সেটি কোম্পানির নতুন সেবা সম্প্রসারণে ব্যয় হিসেব করার কারণে। এই হিসাবটা আমরা পাচ্ছি, এর কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি হলেও বিএসএনএল প্রতি প্রান্তিকে আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করে। আর আমাদের বিটিসিএলের আয়-ব্যয়ের হিসাব আগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় মোটামুটিভাবে পাওয়া যেত। এখন তাও পাওয়া যায় না। প্রতি প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের তো প্রশ্নই ওঠে না।

আবার দেখুন ভারতের বিএসএনএলকে ভেঙে টুকরো টুকরো করা হয়নি। এই কোম্পানি একদিকে টেলিযোগাযোগে ট্রান্সমিশন সেবা দেয়, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে, মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবা দেয়, ডাটা সেন্টার এবং ক্লাউড সেবা দেয়। এই প্রতিষ্ঠানের নিজেদেরই সাবমেরিন কেবল আছে, কেবল শিল্প কারখানা আছে। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত এই কোম্পানি সার্বিকভাবে একটি ডিজিটাল সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে।

অথচ আমাদের দেশে সাবমেরিন কেবল সংযোগ বিটিসিএলের একটি প্রকল্প হিসেবেই নেওয়া হয়। পরে এটি নতুন একটি পৃথক কোম্পানি করা হয়। একইভাবে টেলিটকও বিটিসিএলের একটি প্রকল্প হিসেবেই শুরু হয়ে পরবর্তী সময়ে পৃথক কোম্পানি হয়। বিটিসিএলের গ্রাহকদের জন্য ল্যান্ডফোনের হ্যান্ডসেট তৈরির প্রয়োজনেই টেলিফোন শিল্প সংস্থা টেশিশের জন্ম। বাংলাদেশ কেবল শিল্প কোম্পানিরও সবচেয়ে বড় ক্রেতা বিটিসিএল। খুব যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে বেশ স্পষ্ট হয়, অপ্রয়োজনীয়ভাবে পাঁচটি পৃথক কোম্পানি করার কারণেই টেলিযোগাযোগ খাতে বিটিসিএল দৃঢ় ভিত্তি হারিয়েছে।

খুব ভালো করে ভেবে দেখুন, পাঁচটি কোম্পানির অর্থ পাঁচটি আমলতান্ত্রিক বোর্ড। এই বোর্ডগুলোর নিয়মিত পরিচালনার জন্য ব্যয় পাঁচগুণ বেশি। অন্যদিকে পাঁচ টুকরো হওয়ার কারণে মূল কোম্পানি ক্রমাগত রুগণ হয়ে পড়া। আগেই বলেছি, বর্তমানে যে আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন আছে, সেটা দিয়ে কোম্পানিগুলোতে অদক্ষ ও অপেশাদার ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কিছুদিন পর পরই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিতে একজন করে শিশু বোর্ড চেয়ারম্যান আসেন। বোর্ডের দায়িত্ব নিয়ে তাদের প্রথম বক্তব্য হয়, আমি তো ‘টেলিযোগাযোগ খাতে শিশু, কয়টা দিন সময় দিন সেক্টরটা আগে বুঝে নিই’। বোর্ড চেয়ারম্যান এবার সেক্টর বোঝার জন্য একের পর এক বিদেশে টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন কনফারেন্সে যান। এরপর তিনি হঠাৎ করেই শিশু থেকে টেলিযোগাযোগ খাতের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ হয়ে যান। কারও কারও দক্ষতা এত বেশি প্রকট হয়ে ওঠে যে, এক দিনে বোর্ড মিটিং ডেকে, একই দিনে টেন্ডারের টেকনিক্যাল এবং ফিন্যান্সিয়াল ইভ্যালুয়েশন করে, একই দিনে পছন্দের কোম্পানিকে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে সবাইকে হতবাক করে দেন! এরপর হুট করে অন্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে বদলি হয়ে যান। নতুন আর একজন শিশু বোর্ড চেয়ারম্যান যোগ দেন।

প্রতিমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ, আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশনের এই দুর্বলতা দ্রুত দূর করার ব্যবস্থা নিন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোতে পেশাদার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিন। এ জন্য প্রথমত, বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে সেক্টরে কমপক্ষে ১৫-২০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে, এমন ব্যক্তিদের নিয়োগের ব্যবস্থা করুন। পাঁচটি কোম্পানিকে একীভূত করলে খুব ভালো; কিন্তু বাস্তবতার বিচারে এ কাজটি এ মুহূর্তে কিছুটা কঠিন। তবে পাঁচটি কোম্পানিকে একই বোর্ডের অধীনে সহজেই নিয়ে আসা যায় এবং এর মাধ্যমে একীভূতকরণ কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। ফলে পাঁচটি কোম্পানির পরিচালন ব্যয় কমবে, সেবাদানের সক্ষমতা এবং বিস্তৃতি দুটোই বাড়বে।

দ্বিতীয়ত, বিগত বছরগুলোতে এই কোম্পানিগুলোতে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে বার বার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিটিসিএলের প্রকল্প থেকে জাপানের মতো দেশ ঋণের টাকা ফেরত নিয়ে গেছে। তারপরও অনিয়মের অভিযোগ থেমে থাকেনি। টেলিটক এত বছরেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি। বিএসসিসিএল, কেবল শিল্প, টেশিশ ঘিরেও বার বার গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনেও অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই অনিয়মের অভিযোগ বার বার কেন উঠছে, সে বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্তের জন্য একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করুন। যেখানে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, নীতি গবেষক এবং আইন বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অনিয়ম প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন, যেন ভবিষ্যতে কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা হয়, একই প্রকল্প ভিন্ন ভিন্ন নামে গ্রহণের মতো প্রহসন না হয়, প্রকল্প ব্যয় যৌক্তিক হয়, এবং কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কোম্পানি যেন জিম্মি না হয়ে যায়।

তৃতীয়ত, কোম্পানির জনবল কাঠামোতে হাত দিন। সময়ের বাস্তবতায় যেসব পদ অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে সেগুলো বাদ দিন এবং সময়ের চাহিদায় যেসব পদ প্রয়োজন, সেগুলো সৃষ্টি করুন। স্মার্ট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যায় না, এমন জনবল নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাদ দেয়ার ব্যবস্থা নিন।

চতুর্থত, কোম্পানিগুলোর স্মার্ট গ্রাহকসেবা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে ব্যবস্থা নিন। ২০১৮ সালের পর বিটিসিএলে স্মার্ট সেবা ব্যবস্থপনা গড়ে তোলার একটা প্রচেষ্টা দেখা গেছে। গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে অ্যাপ চালু হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ এবং সমাধানের উদ্যোগে দেখা গেছে। তবে গত এক বছরে বিটিসিএলের সেই স্মার্ট সেবা ব্যবস্থাপনা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়তে দেখা গেছে। অবশ্যই দ্রুততম সময়ে গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ এবং শতভাগ হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একজন উদ্যমী মানুষ, মেধাবী মানুষ। দিন-রাত পরিশ্রম করেন। আশা করি, তিনি সঠিক ও সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোতে পেশাদার ও স্মার্ট ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।

লেখক: সাংবাদিক ও টেলিযোগাযোগ-তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশ্লেষক

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ