বাংলাদেশ-ভারত আকাশপথে কমছে যাত্রী, শঙ্কিত এয়ারলাইন্সগুলো
জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি আশঙ্কাজনক হারে ভারতগামী যাত্রী কমছে আকাশপথেও। বাংলাদেশে খুব একটা আসছেন না ভারতীয়রাও।
সর্বশেষ বাংলাদেশিদের কেবলমাত্র চিকিৎসাসহ জরুরি অবস্থাতেই ভিসা দেয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার। ফলে যাত্রীসংখ্যা আরও কমার শঙ্কায় দুদেশেরই উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো। কমপক্ষে ৫০ শতাংশ যাত্রী না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এমনকি আকাশপথে যাতায়াত ফের বন্ধের শঙ্কাও করছেন কর্মকর্তারা।
মূলত বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তাদের বড় অংশেরই ভরসা আকাশপথ। উড়োজাহাজে স্বল্প সময়ে যাতায়াতে রোগীদেরও কম ধকল পোহাতে হয়। তাই উড়োজাহাজ বন্ধ থাকলে বাংলাদেশ থেকে যারা চিকিৎসার প্রয়োজনে ভারতমুখী যাত্রীদের খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হবে। দুদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত আগস্টে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে বন্ধ ছিল সব ধরনের ভারতীয় ভিসা পরিষেবা। বন্ধ হয়ে যায় আকাশপথে বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগও। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ কিছুটা ছন্দে ফিরলে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলোতে ফের কাজ শুরু হয়। ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল আকাশপথও। কিছুদিন আগেই দিল্লি-ঢাকা রুটে ফের পরিষেবা চালু করে এয়ার ইন্ডিয়া।
কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানান, আপাতত বাংলাদেশিদের শুধু চিকিৎসা এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
এই ভিসা সীমিতকরণের ফের প্রভাব পড়েছে দুদেশের উড়োজাহাজ চলাচলেও।
কর্মকর্তারা জানান, যাত্রী সংকটে বন্ধের উপক্রম বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট চলাচল। ঢাকা-কলকাতা রুটে যাতায়াত বন্ধ রেখেছে নভোএয়ার। ইউএস বাংলাও গুটিয়েছে চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটের উড়োজাহাজ।
সাধারণত ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের দিল্লি, মুম্বাই এবং চেন্নাই থেকে ঢাকাগামী তিনটি দৈনিক উড়োজাহাজ রয়েছে। কলকাতা থেকে ঢাকা যেতেও রয়েছে দৈনিক দুটি ফ্লাইট। দিল্লি থেকে ঢাকায় সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চললেও বাকিগুলো বন্ধ। ঢাকা-দিল্লি রুটে আপাতত প্রতিদিন মাত্র দুটি ফ্লাইট চালু রয়েছে ভিস্তারা এবং এয়ার ইন্ডিয়ারও।
এই ধারা চলতে থাকলে শিগগির দুদেশের আকাশপথের যোগাযোগ দুমাসে দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধের শঙ্কা এয়ারলাইন্সগুলোর।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে