সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে প্রতি ৬ জনের প্রায় ১ জন শিশু : ডব্লিউএইচও
২০২২ সালে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ১৬ শতাংশ শিশু সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে যা চার বছর আগে ১৩ শতাংশ ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। বিশ্বের ৪৪টি দেশের ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। সংবাদ সংস্থ এএফপি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
ইউরোপ বিষয়ক ডব্লিউএইচও’ আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রতিবেদনটি সাইবার বুলিং এবং সহিংসতাকে মোকাবেলায় আমাদের সকলের সজাগ হওয়ার একটি আহ্বান। যখন যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটুক না কেন।’
‘স্কুল পড়–য়া শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্য আচরণ’ শীর্ষক সমীক্ষা অনুসারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ১৫ শতাংশ ছেলে এবং ১৬ শতাংশ মেয়ে অন্ততপক্ষে একবার সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
জাতিসংঘের এ সংস্থা উল্লেখ করেছে, মহামারিটি কিশোর-কিশোরীদের একে অপরের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সহকর্মী সহিংসতার ভার্চুয়াল রূপগুলো বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় লকডাউনের চলাকালে তরুণ সমাজ ক্রমবর্ধমানভাবে ভার্চুয়াল হয়ে উঠে।’
এতে আরো বলা হয়, অন্যান্য বুলিং সামান্য বৃদ্ধি পেলেও অনেকাংশে স্থিতিশীল রয়েছে।
গত কয়েক মাসে ১১ শতাংশ ছেলে ও মেয়ে অন্ততপক্ষে দুই বা তিনবার স্কুলে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। চার বছর আগে এই হার ছিল ১০ শতাংশ।
বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এক্ষেত্রে বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা এবং পোল্যান্ডে ছেলেদের হাতে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা ঘটে। স্পেনে সবচেয়ে কম এ ধরনের ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
সমীক্ষাটি ইউরোপ, মধ্য এশিয়া এবং কানাডা জুড়ে ৪৪টি দেশের ২ লক্ষ ৭৯ হাজার শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে