কোনো রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন সমীচীন হবে না
বীর মুক্তিযোদ্ধা জেড আই খান পান্না। প্রবীণ আইনজীবী। আইনি সহায়তা সংস্থা ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্রের’ চেয়ারম্যান। বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও গণঅভ্যুত্থানে তার বলিষ্ঠ অবস্থান উল্লেখ করার মতো। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও ছাত্রদের হয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বিষয়ে ‘ভিউজ বাংলাদেশ’-এর মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাসান শাহাদাত তৌহিদ।
ভিউজ বাংলাদেশ: ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
জেড আই খান পান্না: তারা কখনো বলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, কখনো বলে ছাত্রসেনা অভ্যুত্থান। একেকসময় একেকটা বলে। এদের কথা বলার কোনো তাল খুঁজে পাই না। দিস ইজ কিলিং- এতে কোনো সন্দেহ নেই; কিন্তু এটা একাত্তরের কাছে কিছুই নয়। একাত্তরের পর আর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ভিউজ বাংলাদেশ: প্রথমে ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন, তারপর একদফা। এটা কি তাদের কৌশল?
জেড আই খান পান্না: এটা তাদের সুকৌশল হতে পারে। তাদের টার্গেট কি তারা জানে, আমি তো আর জানবো না। আমি দেখছি, কোটা। একটা দেশের একটা অনির্বাচিত সরকারও যদি থাকে, সেটা হটাবার জন্য এই যে ছেলেগুলো নামছে, তাদের কেউ কি চিনত? এদেরকে কি কোনো রাজনৈতিক দল চিনত? চিনত না। এদের আহ্বানে কেন সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ নামল? এই যে আন্দোলনটা হয়েছে, এটা হওয়া উচিত ছিল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে। না বিএনপি, না জামায়াত, না আওয়ামী লীগ- কেউই এটা বুঝলো না যে, তরুণ প্রজন্মের নাটটা কোথায়?
এমন কোনো আন্দোলন নেই, যে আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলাম না আমি। এই আন্দোলনেও কিন্তু মোটামুটি আমি জড়িত ছিলাম। নিজে বলেছি, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি কোটার বিরুদ্ধে। কেননা, আমি কোনোদিন কোটার জন্য সার্টিফিকেটের জন্য বা লাইসেন্স পাব, পারমিট পাব, বেনিফিট হবে এটার জন্য যুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ করেছি, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের কলোনি আর থাকবে না, পুরোপুরি স্বাধীন হবে। সেজন্য সবাই লড়াই করেছি। আর আমাদের স্বাধীনতা হুট করে বাহান্নতে আসেনি, চুয়ান্নতেও আসেনি, ঊনসত্তরেও আসেনি। একাত্তরে এসেছে।
নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার শপথ। ছবি: প্রেসিডেন্টশিয়াল প্রেস উইং
ভিউজ বাংলাদেশ: বাংলাদেশ কোনদিকে যাচ্ছে?
জেড আই খান পান্না: সম্ভাবনা বলতে, নৈরাজ্যের ভেতর দিয়ে দুটি পক্ষের ঐতিহাসিকভাবে লাভ হয়। একটি হলো বামদের, আরেকটি হলো মৌলবাদীদের। এটা চিরন্তন সত্যের মতো। নৈরাজ্যের ভেতর থেকে বামদের বিপ্লব শুরু হয় সাম্যবাদী লাইনের অথবা মৌলবাদীদের উত্থান ঘটে। কোনটির লাভ হবে সেটা বলছি না। যাই হোক, এখন তো একটি সরকার আসছে। আমি মনে করি, তার মৌলিক দায়িত্ব হলো, যত দ্রুত সম্ভব এখন একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে গণতান্ত্রিকভাবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে পাওয়ার হ্যান্ডওভার করা, তাতে যেই আসুক। নৈরাজ্যের ভেতরে একটি সরকার আসছে। সেই সরকার কী রূপরেখা দেবে।
এই গভর্নমেন্টের লেজিমিটি (বৈধতা) হওয়া পর্যন্ত। লেজিমিটি বললাম এ কারণে যে, পিপলস উইনস পিপলস পার্টি-এ যদি ধরি, অন্যথ্যায় কোনো লেজিমিটি নেই। কারণ তাকে কে দিয়েছে? ফরমাললি তো কেউ দিতে হবে তাকে। প্রেসিডেন্ট ডেকে দিছে? কে চয়েজ করল? প্রেসিডেন্ট? তার চয়েজ করার এখতিয়ার আছে? তাহলে? ড. ইউনূসকে অ্যাপয়েনমেন্ট দিল কে? আমার প্রশ্ন, আমি জানি না কে দিছে? বলবে একটা বোগাস কথা জনগণ দিছে, ছাত্ররা দিছে। তো কত পার্সেন্ট আছে ছাত্র?
আর এমনই ছাত্র যে, ছয় সমন্বয়ক হারুনের ভাতের হোটেলে ছিল, ওখানে বসে লিখিত স্টেটমেন্ট দিল যে, তারা উইথড্র করল, তাই না? তার প্রেক্ষাপটে আমরা কিছু আইনজীবী মুভমেন্ট করলাম। মামলা করলাম। জেল কিন্তু আমরাও খাটছি, টর্চার কিন্তু আমরাও সহ্য করেছি। কিন্তু কোথাও কিন্তু একটি সাইন নিতে পারেনি। সেই অ্যাটিচিউট আমাদের ছিল না। যাই হোক, সংবিধানে হাত দিয়ে তাদের লাভ নেই। আইনে হাত দিতে হবে। হ্যাঁ, সংবিধানের কিছু কিছু জায়গা পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে; কিন্তু কোনো রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন সমীচীন হবে না।
ভিউজ বাংলাদেশ: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অনেক কথাবার্তা চলছে।
জেড আই খান পান্না: পুলিশের কনফিডেন্স আনতে হবে। পোশাক পরিবর্তন করলেই হবে না। আপনি এদের যে আইন শেখাচ্ছেন, সেটা ব্রিটিশের সিপাহী বিদ্রোহ কন্ট্রোল করার আইন। আপনি মোটিভেশন করেন যে, এটা স্বাধীন দেশ, এখানে তোমার কর্তব্য পেটানো না। তোমার কাজ জনগণের সুরক্ষা। এভাবে মোটিভেট করলে কিন্তু তারা ঠিকই পরিবর্তন হবে। পোশাক দিয়ে কিছু আসে যায় না। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে হাফপ্যান্ট পরা পুলিশ আমি দেখেছি। লাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়াতো।
এই আমলে পোশাক পরিবর্তন হয়েছে আর গুলি করে। গুলি করার তো কতগুলো আইন-কানুন আছে, সেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকতে হবে যে আদেশ দেবে, সেখানে একটি লাল পতাকা দিতে হবে যে, এর পরে আর আগাবে না ইত্যাদি। দূরে কোথায় আবু সাঈদ কি করতেছে না কি দেখাইতেছে তারে ঠাস ঠাস গুলি করে দিল- এটাতো নিরস্ত্র মানুষের সাথে যুদ্ধ করা। এটা অন্যায়। সিপাহী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে যে পুলিশি আইন, দণ্ডবিধি আইন এবং ফৌজদারি আইন। সেই আইনগুলো আমি পরিবর্তন করলাম না, পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করলাম, এটা কোন কথা হলো?
ভিউজ বাংলাদেশ: ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক মতবিরোধ রয়েছে; কিন্তু শেখ হাসিনার বিষয়ে তারা একমত, কারণ কী?
জেড আই খান পান্না: এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। শেখ হাসিনা কি ওখানে গিয়ে কোনো পাবলিক মিটিং করছেন? না কি জনগণের কাছে আপিল করছেন যে, আমাকে এই করেছে, ওই করছে। বাংলাদেশের প্রতি ইন্ডিয়ার একটা দুর্বলতা আছে। কারণ, একাত্তরে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে তারা। ভীষণ দুর্বিষহ অবস্থায় বর্ডার খুলে দিয়ে রাখছে তারা। মিয়ানমার রাখেনি তো। তা ছাড়া যেহেতু একটি দেশ ছিলাম আমরা ভারত, পাকিস্তান, বার্মা, শ্রীলংকাসহ অখণ্ড ভারত। সবার প্রতি অবচেতনভাবে হলেও একটি টান কিন্তু আছে। এখন রাশিয়া যদি ইন্ডিয়ার ওপর আক্রমণ করে আমি আতঙ্কিত হবো না? দুঃখিত হবো না? ভূমিকম্পে কলকাতা নগরীর মানুষ মারা গেলে আমি আতঙ্কিত হবো না?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ঢাকার শাহবাগে বিজয় মিছিল । উইকিপিডিয়া
ভিউজ বাংলাদেশ: অনেকে বলে, একাত্তরে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সহযোগিতা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত?
জেড আই খান পান্না: যারা বলে তারা রাজাকার। তা ছাড়া বলব কি? যেহেতু পাকিস্তান ভারতের শত্রু। আমরা তখন পাকিস্তানের শত্রু। দ্যাটস হোয়াই- এনিমি এনিমি ইজ দ্য বেস্ট ফ্রেন্ড। এই পলিসি তো হইতেই পারে।
ভিউজ বাংলাদেশ: ভারত একাত্তরে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমেরিকাও তো পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছে— এ প্রশ্নও তো তাহলে এসে যায়।
জেড আই খান পান্না: আচ্ছা আমি উল্টাভাবে জিজ্ঞেস করি- একাত্তরে পাকিস্তানিরা এ দেশের ওপর অত্যাচার করছে ১ লাখ হোক, ৩ লাখ হোক আর ৩০ লাখ হোক। করছে তো। এটাতো চিরন্তন সত্য। যদি করেই থাকে, তখন কেন এই যে আমেরিকা, চীন, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ, এরা কেন এটা প্রতিরোধ করেনি? কেন মুসলমান মারা যায়নি? তখনো তো ৮৮ শতাংশের ওপরে মুসলিম আমাদের এখানে। এরা স্বীকৃতি দিল কবে? ১৫ আগস্টের পর।
ভিউজ বাংলাদেশ: বাঙালি জাতীয়তাবাদ বনাম ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জাতীয়তাবাদ নিয়ে কথা হয়। এ নিয়ে আপনার ব্যাখ্যা কী?
জেড আই খান পান্না: বাঙালির জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদ। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জন্য না। এটা কমন জায়গায় আসা উচিত। এখানে চাকমারা যুদ্ধ করছে, মংরা করছে, বংরা করছে, গারোরা করছে, মণিপুরি-খাসিয়ারা করছে। খাসিয়া একজন তো তৃতীয় বৃহত্তম মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার। এটা বাদ দিয়ে সর্বজনীন একটা জাতীয়তাবাদ হতে পারে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হতে পারে। জিয়াউর রহমান একটু পরিবর্তন করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ করেছিলেন। এর অর্থ এই না যে, আমি জিয়াউর রহমানের সমর্থক। তিনি যে কিছু কিছু ভালো কাজ করছেন, সেটাতো আমাকে স্বীকার করতেই হবে। তিনি যুদ্ধ করেছেন। আমি যদি বলি, তিনি যুদ্ধ করেননি- এটা তো মিথ্যা কথা। কিছু কিছু ভালো কাজ করেছেন, কিছু কিছু খারাপ কাজও করেছেন।
ভিউজ বাংলাদেশ: তিনটি কারণে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি করছেন অনেকে। প্রথমত, বাংলাদেশকে নিয়ে এই গানটি রচিত হয়নি। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক গানটির রচয়িতা না, তৃতীয়ত, এই গানটির সুর নকল করা।
জেড আই খান পান্না: ধরলাম রবিঠাকুর বাংলাদেশি নন, বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে এটা লেখা বা নকল করা। এখন সেটার কারণে আমি সৌদি আরব থেকে গান আমদানি করব? পাকিস্তান থেকে করব- ‘পাক সার জামিন সার বাদ’। কী করব? নতুন করে গান লিখব? যে গান আমাকে একাত্তরে উজ্জীবিত করছে, একাত্তরের যুদ্ধে ছিল, তাহলে এখন থাকলে সমস্যা কোথায়? মুক্তিযুদ্ধে যে সবাই সচেতনভাবে গেছে, তা নয়। একটা অংশ গেছে নিবেদিত হয়ে, আরেকটা অংশ গেছে ঠেইকা, আরেকটি অংশ গেছে এমনিও জিতবে, ওমনিও জিতবে। সুযোগসন্ধানী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস। ছবি: এএফপি
ভিউজ বাংলাদেশ: মাজার ভাঙাভাঙি নিয়ে কী বলবেন?
জেড আই খান পান্না: এই যে ওহাবিরা মাজার ভাঙতেছে, কার মাজার ভাঙতেছে? হিন্দুদের না তো, মুসলমানদের মাজার ভাঙতেছে। এ দেশে যারা সুফিজম, সুফিরা নিয়ে আসছেন ইসলাম, তাদের মাজার ভাঙতেছে। ওহাবিরা ব্রিটিশদের সৃষ্টি। অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সৌদি আরবের আবদুল ওয়াহাবকে দিয়ে এটা সৃষ্টি করা হয়েছে। তার অনুসারীরা এটা শুরু করছে। তারা একসময় এটেম নিয়েছিল যে রাসূলের (সা.) মাজারও ধ্বংস করে দেবে। সে সময় ব্রিটিশরা আবার বলল যে, এটা করতে যেও না, সব মুসলমানের তোপে পড়বে। ব্রিটিশরা তো খুব সেয়ানা, বেনিয়ার জাত। যে কারণে তারা মদিনায় এটা ভাঙতে যায়নি। ইতিহাস খুঁজলে এটাও পাবেন, ইয়াজিদ তো মুসলিম, ইয়াজিদ তো কাবাঘরের এক-তৃতীয়াংশ ভেঙে ফেলেছিল।
অন্যদিকে, গাজী টায়ারস, আরএফএল পুড়িয়েছে কারা? আরএফএলের মালিক নাকি আহমদিয়া-কাদিয়ানি। তাহলে জিন্নাহ কী ছিল? জিন্নাহও তো আহমদিয়া। তারা তো বলছে, আমরা মুসলিম। মুসলিম বলার পরে আমাকে আঘাত করার কোনো রাইট আছে? মুসলিম না বললেও তো আঘাত করার কোনো অধিকার নেই। তাদের উৎখাত করতেই আরএফএল পুড়িয়ে দিয়েছে। গাজী টায়ারস ফ্যাক্টরির ভেতরে কাজ করছিল বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ভেতরে কতজন পুড়ে মারা গেছে, তা তো জানা নেই। এত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, তাহলে কেন আসেনি? এখন তো দেশে ইমারজেন্সি নেই। শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্রও নেই। তাহলে কার স্বৈরতন্ত্র এখন চলছে? নিশ্চয়ই কারও স্বৈরতন্ত্র চলছে। না হয় কেন গণমাধ্যমে আসবে না? কেন আমি জানতে পারব না, আমার দেশের সম্পদ পুড়িয়ে দিয়েছে। তারপর আশুলিয়া শ্রমিকদের অবস্থা দেখ। এই গার্মেন্টসগুলো যদি বন্ধ হয়ে যায়। আমি বলি, শেখ হাসিনা তো পালিয়ে যেতে পেরেছেন। এরা কিন্তু চান্দে গিয়েও সুযোগ পাবে না, এই গার্মেন্টেসগুলোর যদি কোনো কিছু হয়। মঙ্গলগ্রহে গিয়েও থাকতে পারবে না।
ভিউজ বাংলাদেশ: বাংলাদেশ কী অসাম্প্রদায়িক দেশ?
জেড আই খান পান্না: না, মেজরিটি মুসলিম এটা সত্য; কিন্তু মুসলিম দেশ না। দেশ কি মানুষ যে, এটার ধর্ম থাকতে হবে। ধর্ম তো মানুষের জন্য। একটি কথা বলি, আমরা খাবারের বেলায় হালাল-হারাম বুঝি; কিন্তু রুজির বেলায় হালাল-হারাম এটা খুঁজি না। আমাদের উচিত, রুজির বেলায় হালাল-হারাম খোঁজা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে