হবিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরও ২২ জনকে বিএসএফের ‘পুশইন’
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে আবারও বাংলাদেশিদের পুশইনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে তারা ২২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে জোরপূর্বক হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গার দেবরাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। সীমান্তটি রেমা বিওপির আওতাভুক্ত এবং ৫৫ বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন।
গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পরে সকালে বিজিবির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবাইকে আটক করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিরা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৮ জন নারী এবং ৫ জন শিশু রয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৮০ বছর বয়সী জহর আলী, শিশুসহ একাধিক নারী-পুরুষ—যারা বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম থেকে এসেছেন বলে জানায় বিজিবি।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন— নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের জহর আলী (৮০), মো. আরিফ (১৯), মো. আসাদুল (৩০), মোছা. আছিয়া বেগম (৬০); মণ্ডলগোড়া গ্রামের মো. আশরাফুল (৩৫), মোছা. জাহানারা (৩০), মোছা. কাকলী (১০), মোছা. আশরাফি (৬); উলিপুর উপজেলার স্বাধীনগ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম (৩৫), মোছা. আফরোজা (২৪); কাশিপুর গ্রামের মো. এ. হামিদ (৪২), মোছা. রেহানা বেগম (৪০), মো. সুজন (২২), মোছা. হাসি খাতুন (১৮), মোছা. পারভিন বেগম (২১), মো. শাহিনুর (৩), মো. হাসানুর (৭), মো. নাজরুল ইসলাম (৫০), মোছা. ফাতেমা বেগম (৪৭), মো. ইমরান হোসেন (২৩), মোছা. সাবিনা (২০), ও মো. ইসমাইল হোসেন (২)।
৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এর আগে মাত্র তিন দিন আগেই, ২৬ মে একইভাবে বিএসএফ ১৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইন করে। এমন ঘটনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে