হামজা-শমিতদের আগমন জাতীয় স্টেডিয়ামে উৎসবের অপেক্ষায় ফুটবল ভক্তরা

আগামী ১০ জুন ঢাকার ঐতিহাসিক জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এই ম্যাচকে ঘিরে দেশে বইছে ফুটবল উৎসবের আমেজ। এর আগে, ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর সংস্কার শেষ করে ফিরছে ফুটবল, ফিরছে স্টেডিয়ামের প্রাণ।

প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছেন হামজা চৌধুরী, শমিত সোম ও ফাহমিদুল ইসলাম। এর মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজার অভিষেক হয়েছিল গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। এবার তিনি প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলবেন। কানাডাপ্রবাসী শমিত ও ইতালিপ্রবাসী ফাহমিদুল অভিষেকের অপেক্ষায়।

এই ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। সংস্কারের পর নতুন রূপে সাজানো স্টেডিয়ামেও যুক্ত হয়েছে আধুনিক সব সুবিধা—ডিজিটাল স্ক্রিন, উন্নত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, নতুন ফ্লাডলাইট, আন্তর্জাতিক মানের প্রেসবক্স ও আরামদায়ক গ্যালারি। মাঠ প্রস্তুতের শেষ পর্যায়ে আছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প উঠিয়ে নিলেই কয়েক দিনের মধ্যে বাফুফের কাছে মাঠ হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) প্রস্তুতির কোনো ত্রুটি রাখছে না। ম্যাচটিকে উপভোগ্য করতে চলছে বড় আয়োজন। অনলাইনে (tickify.live) শনিবার রাত থেকে শুরু টিকিট বিক্রি। সাধারণ গ্যালারির টিকিট ৪০০ টাকা, সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। থাকবে ফ্যান জোন, লেজার শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশেষ বাস ও মেট্রোরেল সুবিধা।

বাফুফের সহ-সভাপতি ও বিপণন প্রধান ফাহাদ করিম বলেন, ‘হামজা-শমিতদের মতো মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের দিয়ে আমরা একটি স্মরণীয় ম্যাচ উপহার দিতে চাই। ফুটবলের ইতিহাসে এমন ম্যাচ এর আগে হয়নি।’

এই প্রজন্মের ফুটবলারদের নিয়ে দেশের ফুটবলে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। এরই মধ্যে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক জাতীয় দলের স্পনসর হয়েছে। ‘দৌড়’ কিট স্পনসর এবং রবি, মলটেনসহ একাধিক কো-স্পনসর যুক্ত হয়েছে সিঙ্গাপুর ম্যাচে। ফুটবলে যে নবজাগরণ শুরু হয়েছে, তা নতুন ইতিহাস গড়বে বলেই বিশ্বাস করছেন ভক্তরা।