বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে আরও দক্ষ কর্মী নেয়ার আহ্বান আসিফ নজরুলের
সৌদি আরবের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বাড়ানোর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রোববার (৪ মে) রিয়াদে সপ্তম বিশ্ব পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইন বৈঠকে সৌদি আরবের মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আবুথনাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর আওতায় নিওম, রেড সি, কিদ্দিয়া, গ্রিন রিয়াদ, আমালা, দিরিয়াহ, রোশানের মতো মেগা প্রকল্প এবং এএফসি এশিয়ান কাপ (২০২৭), উইন্টার এশিয়ান অলিম্পিক (২০২৯), ওয়ার্ল্ড এক্সপো (২০৩০) ও ফিফা বিশ্বকাপের (২০৩৪) মতো বৈশ্বিক ইভেন্টে কর্মসংস্থানের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে ওয়ার্ক ভিসা ইস্যুর আগে চাকরির প্রাপ্যতা এবং নিয়োগকর্তার সক্ষমতা যাচাইয়ের প্রস্তাব দেন উপদেষ্টা আসিফ। এছাড়া সৌদি আরবে যাওয়ার আগেই কর্মীদের জন্য অনলাইনে চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যবস্থা এবং পুরুষ ও নারী কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স চালুর সুপারিশ করেন তিনি।
উপদেষ্টা সৌদি কর্মকর্তাদেরকে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান। একইসঙ্গে সৌদি আরবগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য এক বা একাধিক টিটিসি নির্দিষ্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সৌদি আরবকে আশ্বস্ত করেন, সকল নারী গৃহকর্মী ভিসা পাওয়ার আগে এক মাসের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবেন এবং ভিসা ইস্যুর দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ শেষে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে।
এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং কর্মসংস্থান উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন সৌদি ভাইস মিনিস্টার। অপরদিকে সৌদি আরবে অবস্থানরত অনিবন্ধিত বাংলাদেশি কর্মীদের সমস্যা সমাধানে একটি যৌথ ওয়ার্ক টিম গঠন করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা আসিফ।
গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সৌদি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে টিমটি গঠনের সিদ্ধান্ত
নেয়া হয়।
এছাড়া সম্প্রতি পররাষ্ট্র দপ্তরের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অবৈধ কর্মী ও নিয়োগে অনিয়মের সমস্যা সমাধানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। উভয় পক্ষ আশাবাদী যে, এসব উদ্যোগ ক্রমাগত সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই বৈঠকের পাশাপাশি ৭ম বিশ্ব পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সম্মেলনে প্যানেল স্পিকার হিসেবে অংশ গ্রহণ করে উপদেষ্টা নিরাপদ অভিবাসন ও নৈতিক নিয়োগ পদ্ধতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে