গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত
ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং ট্যাঙ্কের গোলাগুলিতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ছয় শিশুসহ আরও ১৯ জন।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা তিনটি বিমান হামলা ছাড়াও গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরে ট্যাঙ্কের গোলা বিস্ফোরণে গণহত্যা চালায়। ১৯ জন নিহত ছাড়াও আহত হন ৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে জানান, গাজা শহরের উত্তরে জেইতুনের একটি বাড়িতেই বোমার মারাত্মক আঘাতে সাতজন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু এবং ১০ জন আহত হন।
‘নিহত এই লোকেরা কী অপরাধ করেছে?’ পরিবারটির সদস্য আবদুল্লাহ শালদান বলেন, যার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ‘তারা তাদের ঘরে ঘুমাচ্ছিল, তারা বেসামরিক লোক, যাদের হামাস বা প্রতিরোধের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই’- বলেন তিনি।
এএফপিটিভির ভিডিও ফুটেজে অন্ধকারে টর্চ এবং মোবাইল ফোনের আলোয় ধ্বংসস্তূপের সন্ধান করা হচ্ছে, যেখানে একজন অল্প বয়স্ক ছেলে ‘বাবা’ বলে মরিয়া হয়ে কাঁদছিল।
বাসাল জানান, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান শহর খান ইউনিসে আরেকটি হামলায় তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত এবং ২৬ জন বাস্তুচ্যুত লোক আহত হয়েছেন, যারা আঘাতপ্রাপ্ত বাড়ির কাছে তাঁবুতে বসবাস করছিলেন।
নিহত একজনের বোন উম্মে মুহাম্মদ আবু সাবলা এএফপিকে বলেন, ‘আমি দ্রুত সেখানে ছুটে আসি এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বহন করতে দেখেছি’।
‘আমাদের পুরো জীবনটাই দুঃখের। তারা আমাদের সবাইকে মেরে ফেলুক, যেন আমরা এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারি’- বলেন ৬২ বছর বয়সী সাবলা।
বাসাল জানান, মধ্য গাজা উপত্যকার নুসিরাতে একটি বাড়িতে আরেকটি হামলায় চারজন এবং রাফাহ অঞ্চলের দক্ষিণ সীমান্তে ট্যাঙ্কের আগুনে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় কমপক্ষে ৪৪, ০৫৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এ তথ্যকে নির্ভরযোগ্য মনে করে যা জাতিসংঘও।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে