Views Bangladesh Logo

ভারি বর্ষণ-ভূমিধস ও বন্যায় উত্তর-পূর্ব ভারতে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে টানা ভারি বর্ষণে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসাম, অরুণাচল প্রদেশ ও উত্তর সিকিম।

গত দুই দিনে এই দুর্যোগে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এবং সড়ক, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহব্যবস্থা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শুক্রবার (১ জুন) নিহতদের মধ্যে আসামে ৫ জন এবং অরুণাচলে ৯ জন রয়েছেন। অরুণাচলের ইস্ট কামেং জেলায় একটি গাড়ি ভূমিধসে নদীতে পড়ে গেলে একই পরিবারের ৭ সদস্যের মৃত্যু হয়।

উত্তর সিকিমে ভূমিধসের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় দেড় পর্যটক লাচেন ও লাচুং এলাকায় আটকা পড়েছেন। ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। ফলে নিখোঁজ ৮ পর্যটকের সন্ধান কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করতে হয়েছে। নিখোঁজরা সবাই একটি পর্যটক দলের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গাড়ি লাচেন-লাচুং মহাসড়ক থেকে ১ হাজার ফুট নিচে নদীতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। আহত ওড়িশার স্বয়ম সুপ্রতিম নায়ক ও সৈরাজ জেনা বর্তমানে গ্যাংটকের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মাঙ্গান জেলার পুলিশ সুপার সোনম দেচু ভুটিয়া জানিয়েছেন, লাচেনে ১১৫ জন এবং লাচুংয়ে ১ হাজার ৩৫০ জন পর্যটক আটকা পড়েছেন। রাস্তা বন্ধ থাকায় তাদের হোটেলেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক ফিরেছে, তবে পানির লাইন ও যোগাযোগব্যবস্থা এখনো ব্যাহত। টানা বৃষ্টি ও সম্ভাব্য মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কায় উদ্ধার কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।

নতুন করে কোনো পর্যটন অনুমতি দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ এবং পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এদিকে, দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর আসামে রেড অ্যালার্ট এবং অরুণাচলে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। মেঘালয়, মণিপুর ও মিজোরামেও সতর্কতা জারি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ