সুবর্ণচরে সাবেক এমপি মান্নানের প্রকল্প উদ্বোধনে হামলা, অনুষ্ঠান পণ্ড
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের একটি বিপণিকেন্দ্র ও আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হামলার মুখে পণ্ড হয়ে গেছে। স্থানীয় যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার হারিছ চৌধুরীর বাজার এলাকায় ‘সুবর্ণ সিটি’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবদুল মান্নান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে অনুষ্ঠানস্থলে এসে কয়েক মিনিট অবস্থান করে তাঁর গ্রামের বাড়ি রামগতিতে চলে যান। ঠিক তার আগমুহূর্তে, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান (অশ্রু), শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাওয়ার্দীসহ ১৫–১৬ জন দলীয় কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালান। তারা মূল গেটের তোরণ ভেঙে ফেলে ও চেয়ার ভাঙচুর করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
হামলার সময় চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের চিত্রগ্রাহক আবদুর রাজ্জাক হামলাকারীদের ভিডিও ধারণ করতে গেলে তিনিও আক্রান্ত হন। তাঁর হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় এবং তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে ক্যামেরাটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনার সময় অনুষ্ঠানস্থলের পাশে চর জব্বর থানার একদল পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের থামানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, পুলিশ চোখের সামনে ঘটনার সবকিছু দেখলেও নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা আতিকুর রহমান বলেন, “এখানে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা হচ্ছিল, তাই স্থানীয় নেতারা প্রতিরোধ করেছেন।”
অন্যদিকে চর জব্বর থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া বলেন, “ওখানে কোনো হামলা হয়নি। বিএনপির একটি পক্ষ মিছিল করেছে, তাই অনুষ্ঠান হয়নি।” তবে পুলিশের সামনেই হামলা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এ রকম হওয়ার কথা নয়।”
এ ঘটনায় আয়োজক পক্ষসহ সংবাদকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতা ও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে