গাজায় ড্রোন হামলায় ত্রাণকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে অংশ নেবে অস্ট্রেলিয়া
গাজায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় এক অস্ট্রেলীয়সহ সাতজন ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্তে 'স্বচ্ছতা' আনতে চায় অস্ট্রেলিয়া। এ জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করতে একজন বিশেষ উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেবে দেশটি।
এ ব্যাপারে শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের ত্রাণকর্মীরা কীভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন তার বিস্তারিত জবাব চায় অস্ট্রেলিয়া।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৪৩ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক লালজাওমি "জোমি" ফ্রাঙ্ককম ছাড়াও ব্রিটিশ, ফিলিস্তিনি, পোলিশ এবং মার্কিন-কানাডিয়ান নাগরিক রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত যত হামলা চালিয়েছে সেই সম্পর্কে তথ্য যথেষ্ট নয় এবং অস্ট্রেলিয়ান সরকার তদন্ত পর্যবেক্ষণ করার জন্য নিজস্ব ‘উপযুক্ত যোগ্য ব্যক্তি’ চায়।
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সরকার একজন বিশেষ উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেবে। যার সঙ্গে ইসরায়েলিদের কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছি আমরা। যেন প্রক্রিয়াটির যথার্থতা সম্পর্কে আমাদের পরামর্শ দেয়া যায়।
পেনি ওং বলেন, ‘আমরা যে কোনো তদন্তের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই।‘
তিনি আরও বলেন, বিশেষ উপদেষ্টা নিয়োগে দেয়ার বিস্তারিত ‘খুব শীঘ্রই’ ঘোষণা করা হবে।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণকর্মীদের হত্যার ঘটনায় তারা দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। তবে ইসরায়েলের এই বিরল স্বীকারোক্তি ওই ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বানকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
ত্রাণকর্মী হত্যাকাণ্ডের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ ফোনালাপ শুরু হয়।
ওই ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে ত্রাণকর্মী এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় ইসরায়েলকে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে বলে হোয়াইট হাউস। সেইসঙ্গে ইসরায়েল-গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নীতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয়া হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে