Views Bangladesh Logo
author image

আবদুল গাফফার রনি

  • বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক

  • থেকে

বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক

২০৩০ সাল: এআই বিপ্লব না কী মানবজাতির অশনিসংকেত
 ২০৩০ সাল: এআই বিপ্লব না কী মানবজাতির অশনিসংকেত

২০৩০ সাল: এআই বিপ্লব না কী মানবজাতির অশনিসংকেত

মানবজীবন কি যন্ত্রের দাসত্বে চলে যাচ্ছে? এক সময় এ নিয়ে সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে কত দ্বিধা ছিল, খোদ বিজ্ঞানীরাও ছিলেন সন্দীহান; কিন্তু চোখের পলকে বদলটা ঘটে গেলে। ২০০০ সালের পৃথিবী আর এখনকার পৃথিবীর মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভারসাম্য অর্জিত না হলেও, আক্ষরিক অর্থেই পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। আর এই অসাধ্য সাথন করেছে স্মার্টফোন নামের ছোট্ট যন্ত্রটি ।

চন্দ্রজয় আর এআইয়ের সাফ্যলের সঙ্গে রয়েছে শঙ্কাও
চন্দ্রজয় আর এআইয়ের সাফ্যলের সঙ্গে রয়েছে শঙ্কাও

চন্দ্রজয় আর এআইয়ের সাফ্যলের সঙ্গে রয়েছে শঙ্কাও

বিখ্যাত জাপানি উপন্যাস ‘দ্য থ্রি বডি প্রবলেম’–কল্পকাহিনি হলেও অতি কল্পনার চেয়ে এখানে বিজ্ঞানকে উপস্থাপন করা হয়েছে নিখুঁতভাবে। এ কাহিনিতে দেখা যায় দেখা যায়, ভিনগ্রহের একটা সভ্যতা পৃথিবীর সন্ধান পেয়েছে। তাদের দুর্বৃত্ত রাজা আক্রমণ করে মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দখল করে নিতে চায় পৃথিবীর উর্বরভূমি। জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা যোজন-যোজন এগিয়ে মানুষের চেয়ে; কিন্তু তাদের গ্রহটা আমাদের মতো স্থিতিশীল নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় সেখানে নিত্য ঘটনা। তাই পৃথিবীর সন্ধান পাওয়ার পর রাজার মনে হয়েছিল, যদি পৃথিবীতে সরিয়ে নেওয়া যায় তাদের সভ্যতা, তাহলে বড়সড় বিপর্যয় ছাড়া দীর্ঘদিন শান্তিতে বসবাস করতে পারবে তাদের উত্তর প্রজন্ম। যেহেতু ভূসভ্যতা অতটা উন্নত নয়, তাই সহজেই মানুষকে পরাজিত করে এ ধরাধাম দখল করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়; কিন্তু সাবধান করে দিয়েছিলেন তাদের রাজবৈজ্ঞানিক— তিনি হিসাব করে দেখেছিলেন, পৃথিবীতে তাদের নভোযান পৌঁছুতে সময় লাগবে চারশ বছর।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নৈতিকতার সংকট
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নৈতিকতার সংকট

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নৈতিকতার সংকট

ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানব কি সত্যিই সত্যিই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে? সাম্প্রতিক প্রযুক্তি জগতের কিছু ঘটনা কিন্তু আশঙ্কা তৈরি করছে। বিজ্ঞানের কাজ দানব তৈরি নয়, বিজ্ঞানীরা সেটা করেনও না; কিন্তু বিজ্ঞানের দান যখন বেনিয়া শাসকদের কুক্ষিগত হয়, তার ফল কী হতে পারে, সেটা পৃথিবী ১৯৪৫ সালেই চাক্ষুস করেছে, হিরোসিমা নাগাসাকিকাণ্ডে। বিজ্ঞানের দান যখন, অসৎ, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যায়, তখন সেটাকে যেনতেন উপায়ে বাজারজাত করতেই তারা বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠেন, তাতে নিজেদের ট্যাকের ঝুলি ফুলে-ফেঁপে উঠলেই হলো, অন্যের মান-সম্মান ধুলোয় মিশল কি না, কিংবা ‘তুচ্ছ’ কিছু প্রাণ ঝরে গেল কি না, সে নিয়ে ভাববার অবকাশ বা ইচ্ছা কোনোটাই ওই দুর্বৃত্তদের থাকে না। শুধু টাকা চাই তাদের, খ্যাতি চায়, আরাম-আয়েশ চায়। শুধু চায় আর চায়।