ডেঙ্গু প্রতিকারে টিকার দিকে না তাকিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় নজর দিতে হবে
আমাদের দেশে ডেঙ্গু আসলে নতুন রোগ না, পুরোনো রোগ। সেই ২০০০ সাল থেকেই আমরা ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করছি; কিন্তু গত কয়েক বছরে এর প্রকোপ বা ব্যাপকতা বাড়ছে। ২০২৩ সালে প্রায় তিন লাখের ওপরে আক্রান্ত ছিল, মারা গেছে ১৭ হাজারের বেশি; কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে, এটা জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে, মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এক সময় আমরা মনে করতাম, ডেঙ্গু মৌসুমি রোগ। এ রোগ শুধু বৃষ্টি-বাদল বাড়লেই বা বর্ষার সময়ই হয় কিন্তু সে ধারণা ভুল। এখন এটা শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই হচ্ছে কম আর বেশি। এ বছর শুরুতে তেমন ছিল না; কিন্তু ঠিক এই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে এর মাত্রা অনেক বেশি। আক্রান্তও অনেক বেশি। হাসপাতালে যারা ভর্তি হচ্ছেন, তাদের মধ্যে বিভিন্ন জেলা শহর ও মফস্বলের রোগীই বেশি। এর আগে আমরা মনে করতাম এটি শুধু শহরের রোগ; কিন্তু গত দুই-তিন বছরে দেখা যাচ্ছে গ্রামেও এ রোগের বিস্তার অনেক বেশি। কারণ এখন গ্রামেও পানি জমে থাকছে, গুঁড়িগুঁড়ি পানি হলে জমে থাকছে আর ডেঙ্গুসহ সব ধরনের মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও উপদ্রব বাড়ছে। গ্রামের মানুষ মশারি তেমন ব্যবহার করে না বা ডেঙ্গু নিয়ে তেমন সচেতনও না। সে কারণেও বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা গ্রামে ও মফস্বলে। আর একটি কারণ হলো ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের কারণে রেল বাস-ট্রাক ও বিভিন্ন প্রকার মোটর গাড়িতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে এডিস মশা ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম-গঞ্জ-শহরে। আর তাতেই বিস্তার লাভ করছে এই রোগ। আর আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ।