Views Bangladesh Logo
author image

আফসান চৌধুরী

  • গবেষক ও কলামিস্ট

  • থেকে

আফসান চৌধুরী: গবেষক ও কলামিস্ট
সাংবাদিক উর্মি রহমান আপা স্মরণে
সাংবাদিক উর্মি রহমান আপা স্মরণে

সাংবাদিক উর্মি রহমান আপা স্মরণে

এ মাসের ১৪ তারিখে উর্মি রহমান আপা চলে গেলেন কলকাতার কোনো এক হাসপাতালে। কিছুদিন ধরেই লড়াই চলছিল ক্যান্সারের সঙ্গে, অবশেষে মৃত্যু। আমি জানতাম রোগের কথা; কিন্তু শুনেছিলাম রোগ সামাল দিয়েছেন তিনি। শেষ কথা কী হয়েছিল, কবে হয়েছিল এসব ভেবে এখন আর কী হবে? প্রিয় মানুষটি আর নেই। মনের ভেতরটা কষ্টে আছে সদ্যপ্রয়াত মানুষের স্মৃতির ভারে। যাদের প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে চিনি তারা তো যাবেই। আমি নিজেও এমনি করে কারও জন্য কেবল স্মৃতি হয়ে যাব। তবু মন তো ক্যান্সারের মতোই একটি রোগ, কারও কথা শোনে না, নিজের গতিতে চলে।

চারিদিকে কষ্ট; বন্যায় ভাসলো দেশ, এমনকি ক্রিকেট বিজয়
চারিদিকে কষ্ট; বন্যায় ভাসলো দেশ, এমনকি ক্রিকেট বিজয়

চারিদিকে কষ্ট; বন্যায় ভাসলো দেশ, এমনকি ক্রিকেট বিজয়

ওই অঞ্চলটা আমার পূর্বপুরুষের ভিটামাটি। কয়েকশ বছর আগে তারা আসেন এই অঞ্চলে মোগলদের পড়ন্ত বেলায় বহুদূর থেকে। এখানেই তাদের ব্যবসা, জমিদারি, পরিবার, বংশবৃদ্ধি- সব ঘটে; কিন্তু শত খানেক বছর আগে পরিস্থিতি একটু পাল্টাতে থাকে। লেখা পড়া শেখাটা তখন জমিদারি চালানোর চেয়ে বেশি লাভজনক হয় ইংরেজ আমলের মাঝ পথে এসে। জমিদারি ব্যবস্থা যে কোনোদিনই অর্থনৈতিকভাবে সফল ছিল না, সেটা ইতিহাসের ছাত্ররা বাদে কেউ বেশি বলে না। বড়লোক জমিদারগুলোও টাকা কামাত নানা ধরনের তেজারতিতে, সেটা সুদের ব্যবসাই হোক বা লবণের। আমার পূর্বপুরুষরা যেতে থাকে চাকরিতে, ওকালতিতে ও শিক্ষায়। আর এসব তো গ্রামের পেশা নয়, তাই সবাই শহরমুখী মানে কলকাতামুখী হয়।

এখন খরচ করাই যেন ঈদের মূল আনন্দ
এখন খরচ করাই যেন ঈদের মূল আনন্দ

এখন খরচ করাই যেন ঈদের মূল আনন্দ

এতদিন পর এ বয়সে এসে ঈদের দিকে তাকালে অনেক পর্যায় দেখতে পাই। দেশ-বিদেশে অনেক সময় দেখতে পাই। দেশের বাইরেও কয়েকটা ঈদ কাটিয়েছি। ছেলেবেলার ঈদের কথা বলতে গেলে ৫০ দশকের ঈদের কথাই মনে পড়ে। আমার জন্ম ১৯৫২ সালে, টিকাটুলিতে। এটা গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে, আমার স্মৃতি ১৯৫৫-এর আগে নেই। তার মানে তিন বছর বয়স থেকে আমার স্মৃতি আছে। তো তিন বছর বয়স থেকে যা মনে পড়ে, তা হলো, পাড়াগুলো পরিবারের মতো ছিল। লোকজন যে নস্টালজিক হয়ে বলে, আহা, আগে পাড়াগুলো কত সুন্দর ছিল, সেসব না। বিষয়টি হচ্ছে আগে পাড়াটা অর্গানিক ছিল। এখন তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে গেছে। আগে তো সেরকম ছিল না।