Views Bangladesh Logo
author image

আমীন আল রশীদ

  • সাংবাদিক, গবেষক ও কলাম লেখক

  • থেকে

আমীন আল রশীদ একজন সাংবাদিক, গবেষক, কলাম লেখক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা। বর্তমানে তিনি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল নেক্সাস টেলিভিশনের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর হিসেবে কর্মরত। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য আমীন যুক্তরাজ্যের থমসন ফাউন্ডেশনের সাউথ এশিয়ান ইনকোয়ারার অ্যাওয়ার্ড, দুর্নীতি দমন কমিশন ও টিআইবি পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি সম্মাননা পেয়েছেন। ‘জীবনানন্দের মানচিত্র’ বইয়ের জন্য পেয়েছেন ‘কালি ও কলম পুরস্কার ২০২১। আমীন আল রশীদ একজন সংবিধান গবেষক। সংবিধান, সংসদ, রাজনীতি, গণমাধ্যম ইত্যাদি বিষয়ে তিনি ১৫টি বইয়ের লেখক ও সম্পাদক।
স্বাধীনতার ঘোষণা-বিতর্ক এখনো কতটা প্রাসঙ্গিক?
স্বাধীনতার ঘোষণা-বিতর্ক এখনো কতটা প্রাসঙ্গিক?

স্বাধীনতার ঘোষণা-বিতর্ক এখনো কতটা প্রাসঙ্গিক?

দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছর পরেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছিলেন- তা নিয়ে বিতর্ক করা কতটা সমীচীন এবং অর্ধশতাব্দী পরেও এই ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে না ওঠা তথা এরকম একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিতর্কের অবসান করতে না পারা রাজনৈতিক ব্যর্থতা কি না এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি একটি বড় ধরনের লজ্জা কি না- সে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। নেই বলেই স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষক বিতর্ক নিয়ে নতুন করে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইপিআর ট্রান্সমিটারের সাহায্যে যে স্বাধীনতার ঘোষণা সারা দেশে সম্প্রচারের জন্য পাঠিয়ে দেন, সেটিই স্বাধীনতার প্রথম তথা আনুষ্ঠানকি ঘোষণা। পরদিন ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটি স্পষ্টতই ছিল বঙ্গবন্ধুর পক্ষে।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক কি ভুল সময়ে মারা গেলেন?
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক কি ভুল সময়ে মারা গেলেন?

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক কি ভুল সময়ে মারা গেলেন?

জীবনের সোনালি সময় কেটেছে যে ক্যাম্পাসে, মৃত্যুর পরে সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হলো না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। শুক্রবার জুমা নামাজের পরে রাজধানীর ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়েছে আজিমপুর কবরস্থানে।

কথিত ‘তৌহিদী জনতা’ই কি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ‘কাল’ হবে?
কথিত ‘তৌহিদী জনতা’ই কি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ‘কাল’ হবে?

কথিত ‘তৌহিদী জনতা’ই কি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ‘কাল’ হবে?

পোশাক নিয়ে এক ছাত্রীকে হেনস্তার দায়ে বুধবার (৫ মার্চ) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মোস্তফা আসিফ অর্ণবকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে কথিত ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে একদল লোক শাহবাগ থানায় গিয়ে হট্টগোল করেন- যার কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তারা অর্ণবের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন।

দেশে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা কতটা যৌক্তিক?
দেশে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা কতটা যৌক্তিক?

দেশে গৃহযুদ্ধের শঙ্কা কতটা যৌক্তিক?

বলা হয়, মানুষ যখন বিদেশে থাকে তখন তার কাছে দেশ অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। সে তখন দেশকে অনেক বেশি ফিল করে, মিস করে। প্রবাসে থাকা ‍কবি মুজিব ইরমের একটি কবিতার লাইন: ‘পরদেশে থাকি করি নিজ দেশে বাস।’

‘মব ডেভিলদের’ থামান
‘মব ডেভিলদের’ থামান

‘মব ডেভিলদের’ থামান

দায়িত্ব নেয়ার পরদিন থেকে মব ও আন্দোলন মোকাবিলা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাতে সফলতা যে খুব একটা নেই, তার সর্বশেষ উদাহরণ অমর একুশে বইমেলা। সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে ‘বিতর্কিত’ লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখার অভিযোগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একদল বিক্ষুব্ধ লোকের রোষানলে পড়েন শতাব্দী ভব নামে একজন লেখক। পুলিশের সাহায্যে মেলা থেকে বের করে নেয়া হয় তাকে। এ সময় প্রকাশ্যে লেখককে ক্ষমা চাইতে হয়। এর পরপরই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় স্টলটি। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, সাময়িক বন্ধের পর স্টলটি খুলে দেয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে টাস্কফোর্সের সভার পরে। গণমাধ্যমের খবর বলছে, তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা দেখে সব্যসাচীর স্টলে ভিড় করে একদল লোক। লেখক শতাব্দী ভব তখন সেখানেই বসেছিলেন।

৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল
৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল

৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল

৩২ নম্বরের রাস্তা ধরে একটু পশ্চিমে এগোলেই চোখে পড়ে মানুষের ভিড়। রাস্তার দুপাশের ফুটপাতে অসংখ্য মানুষ। অনেকেই উত্তর দিকে মোবাইল ফোন তাক করে আছেন। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করছেন। আরেকটু কাছে যেতে এক্সক্যাভেটরে দালান ভাঙার শব্দ। ভবন গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ধুলো উড়ছে। কিছু কাঠ জ্বলছে। ফলে ধুলো আর ধোঁয়ায় একাকার। ভবনটিকে ঘিরে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ-তরুণসহ নানা বয়সী মানুষ। তাদের অনেকের পোশাক আর জুতার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, তারা এসেছিলেন ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে। কৌতূহলবশত এখানে এসেছেন দেখতে যে, কীভাবে একটি ঐতিহাসিক ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।