Views Bangladesh Logo
author image

আমীন আল রশীদ

  • সাংবাদিক, গবেষক ও কলাম লেখক

  • থেকে

আমীন আল রশীদ একজন সাংবাদিক, গবেষক, কলাম লেখক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা। বর্তমানে তিনি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল নেক্সাস টেলিভিশনের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর হিসেবে কর্মরত। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য আমীন যুক্তরাজ্যের থমসন ফাউন্ডেশনের সাউথ এশিয়ান ইনকোয়ারার অ্যাওয়ার্ড, দুর্নীতি দমন কমিশন ও টিআইবি পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি সম্মাননা পেয়েছেন। ‘জীবনানন্দের মানচিত্র’ বইয়ের জন্য পেয়েছেন ‘কালি ও কলম পুরস্কার ২০২১। আমীন আল রশীদ একজন সংবিধান গবেষক। সংবিধান, সংসদ, রাজনীতি, গণমাধ্যম ইত্যাদি বিষয়ে তিনি ১৫টি বইয়ের লেখক ও সম্পাদক।
‘মব ডেভিলদের’ থামান
‘মব ডেভিলদের’ থামান

‘মব ডেভিলদের’ থামান

দায়িত্ব নেয়ার পরদিন থেকে মব ও আন্দোলন মোকাবিলা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাতে সফলতা যে খুব একটা নেই, তার সর্বশেষ উদাহরণ অমর একুশে বইমেলা। সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে ‘বিতর্কিত’ লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখার অভিযোগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একদল বিক্ষুব্ধ লোকের রোষানলে পড়েন শতাব্দী ভব নামে একজন লেখক। পুলিশের সাহায্যে মেলা থেকে বের করে নেয়া হয় তাকে। এ সময় প্রকাশ্যে লেখককে ক্ষমা চাইতে হয়। এর পরপরই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় স্টলটি। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, সাময়িক বন্ধের পর স্টলটি খুলে দেয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে টাস্কফোর্সের সভার পরে। গণমাধ্যমের খবর বলছে, তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা দেখে সব্যসাচীর স্টলে ভিড় করে একদল লোক। লেখক শতাব্দী ভব তখন সেখানেই বসেছিলেন।

৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল
৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল

৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল

৩২ নম্বরের রাস্তা ধরে একটু পশ্চিমে এগোলেই চোখে পড়ে মানুষের ভিড়। রাস্তার দুপাশের ফুটপাতে অসংখ্য মানুষ। অনেকেই উত্তর দিকে মোবাইল ফোন তাক করে আছেন। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করছেন। আরেকটু কাছে যেতে এক্সক্যাভেটরে দালান ভাঙার শব্দ। ভবন গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ধুলো উড়ছে। কিছু কাঠ জ্বলছে। ফলে ধুলো আর ধোঁয়ায় একাকার। ভবনটিকে ঘিরে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ-তরুণসহ নানা বয়সী মানুষ। তাদের অনেকের পোশাক আর জুতার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, তারা এসেছিলেন ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে। কৌতূহলবশত এখানে এসেছেন দেখতে যে, কীভাবে একটি ঐতিহাসিক ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

অমর একুশে বইমেলা: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই নিয়ে এবার কী হবে?
অমর একুশে বইমেলা: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই নিয়ে এবার কী হবে?

অমর একুশে বইমেলা: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই নিয়ে এবার কী হবে?

বাঙালির প্রাণের মেলা ও প্রাণের উৎসব বললে যে দুটি আয়োজনের কথা আমাদের চোখে ভাসে, তার একটি অমর একুশে বইমেলা- যেটি প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে চলে বাংলা একাডেমি এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। অন্যটি পয়লা বৈশাখ। পয়লা বৈশাখের কিছু আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে মতভিন্নতা থাকলেও বইমেলার প্রশ্নে কোনো বিভক্তি নেই। কেননা এই আয়োজন ও উৎসবের সঙ্গে কোনো ধর্ম বা রাজনীতির গন্ধ নেই। বইমেলার ভেতরে মাঝে-মধ্যে কিছু রাজনৈতিক গন্ধ ছড়ানো হলেও বা যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদের কিছু প্রভাব থাকলেও সামগ্রিকভাবে বইমেলাকে দল-মত-ধর্ম ও বয়স নির্বিশেষে সব মানুষের প্রাণের মেলা বলে স্বীকার করে নিতে কারো দ্বিধা নেই। এমনকি একুশের চেতনায় গড়ে ওঠা এই আয়োজনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব বললেও ভুল হবে না।

পঁচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি কীভাবে পাস হয়েছিল ‘বাকশাল’
পঁচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি কীভাবে পাস হয়েছিল ‘বাকশাল’

পঁচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি কীভাবে পাস হয়েছিল ‘বাকশাল’

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দুর্ভিক্ষ এবং জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি নতুন ধরনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু এগোতে থাকেন- তিনি যেটিকে বলতেন ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’- সেই বিপ্লব কায়েমের অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংসদে পাস হয় সংবিধানের বহুল আলোচিত (এবং বিতর্কিত) চতুর্থ সংশোধনী বিল। যে সংশোধনীর মধ্য দিয়ে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলেই সংবিধানের মূলনীতি বদলে যাবে এটি ভাবার কোনো কারণ নেই
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলেই সংবিধানের মূলনীতি বদলে যাবে এটি ভাবার কোনো কারণ নেই

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলেই সংবিধানের মূলনীতি বদলে যাবে এটি ভাবার কোনো কারণ নেই

সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপক্ষেতার বদলে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র রাখার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

সংস্কারের ‘ষড় ক’ এবং অর্থনৈতিক সংকটের পদধ্বনি
সংস্কারের ‘ষড় ক’ এবং অর্থনৈতিক সংকটের পদধ্বনি

সংস্কারের ‘ষড় ক’ এবং অর্থনৈতিক সংকটের পদধ্বনি

সংস্কার বলতে আপনি কী বোঝেন- সেটি নির্ভর করে আপনি কে, আপনার পেশা কী, আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস ও মত কী, কোন দলের সমর্থক এবং সর্বোপরী দেশ নিয়ে আপনার ভাবনা কী- তার ওপর। একজন রিকশাচালক সংস্কার বলতে যা বোঝেন, একজন রাজনীতির অধ্যাপকের কাছে সংজ্ঞাটি হয়তো সেরকম নয়। আবার জুলাই অভ্যুত্থানে যে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো সক্রিয় ছিল, তাদের সবার কাছেও সংস্কারের সংজ্ঞা এক নয়। যেমন বিএনপি সংস্কার বলতে বোঝে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযাগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ। তাদের কাছে সংস্কার মানে প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটবঞ্চিত মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং দেশকে একটি গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত করা; কিন্তু সংস্কার প্রশ্নে জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় বিএনপির দীর্ঘদিনের ভোট ও জোটসঙ্গী জামায়াতের অবস্থান ভিন্ন। তারা মনে করে, আগে সংস্কার তারপরে নির্বাচন। অর্থাৎ নির্বাচন তাদের কাছে এক নম্বর অগ্রাধিকার নয়।