Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo
author image

ড. আতিউর রহমান

  • অর্থনীতিবিদ
  • সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই
ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই

অর্থনীতি

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই

অর্থনীতিবিদ হিসেবে সব সময়ই আমি শুধু তত্ত্ব চর্চায় আটকে না থেকে গুণমুখী উন্নয়ন চিন্তাগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে যুক্ত থাকতে সচেষ্ট হয়েছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকেই সব সময় আমার গবেষণার কেন্দ্রে রেখেছি। গণমানুষের কল্যাণে অর্থনীতি চর্চাকে প্রাসঙ্গিক করার সুযোগ সবার জীবনে আসে না। তবুও সব সময়ই আগ্রহ ছিল নীতিনির্ধারণের সুযোগ পেলে এই গবেষণার অভিজ্ঞতাগুলো বাস্তবে কাজে লাগাব। ১৯৯০-এর দশকের একেবারে শেষদিকে একবার সুযোগ এসেছিল জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়। প্রায় দুবছর সময় পেয়েছিলাম ‘জনতা ব্যাংক জনতার ব্যাংক’ স্লোগানের আলোকে ‘ঘরে ঘরে জনতা ব্যাংক’ এবং কৃষক ও খুদে উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক লেনদেনের সুযোগকে অবারিত করার। পাশাপাশি ব্যাংক সেবাকে আরও গণমানুষের কাছাকাছি নেওয়ার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা চালু করে তরুণদের যুক্ত করতে সচেষ্ট হই। সে সময় ওই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীসহ সব ব্যাংকারই যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন অংশগ্রহণমূলক ও মানবিক ব্যাংকিং চালু করতে তা এক কথায় ছিল অনন্য। তাই ব্যাংকটি সব সূচকেই বাংলাদেশের এক নম্বর ব্যাংকে পরিণত হতে পেরেছিল।

লাগামহীন মূল্যস্ফীতির হাত থেকে সুরক্ষা দিতে হবে
লাগামহীন মূল্যস্ফীতির হাত থেকে সুরক্ষা দিতে হবে

অর্থনীতি

বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

লাগামহীন মূল্যস্ফীতির হাত থেকে সুরক্ষা দিতে হবে

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবানুগ বলে উল্লেখ করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান। তবে তিনি আরও বলেছেন, এই প্রস্তাবনাগুলোকে আরও ন্যায়ানুগ করার সুযোগ রয়েছে।

তারুণ্যের চোখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা
তারুণ্যের চোখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা

বিশেষ লেখা

সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

তারুণ্যের চোখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা

সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে যে অল্প কিছু দেশ, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হওয়ার পরও পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়। সমস্ত শান্তিপূর্ণ আলোচনা ব্যর্থ হয়, যার ফলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের নামে ১৯৪৭ সালে সৃষ্টি হওয়া পাকিস্তান ছিল একটি কৃত্রিম রাষ্ট্র। পূর্ব পাকিস্তান ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের একটি প্রদেশ। অসাম্য ও অবিচারের কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্র দুই টুকরো হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।

শিল্পেই আমাদের ভবিষ্যৎ
শিল্পেই আমাদের ভবিষ্যৎ

শিল্প

শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

শিল্পেই আমাদের ভবিষ্যৎ

রপ্তানি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ। আমাদের অর্থনীতি এখন যে রূপ নিয়েছে, তা আসলে ভারতের উন্নয়নের যে ধারা সেটি নয়। আমাদের উন্নয়নের ধারাটি হচ্ছে কার্যত সনাতনি। ম্যানুফ্যাকচারিং খাত নির্ভর ধারা। যেসব দেশ উন্নত হয়েছে, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন তারা মূলত ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের ওপর ভর করেই উন্নত হয়েছে। পূর্ব এশীয় দেশগুলো যেমন সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এগুলোকে ইস্ট এশিয়ান মিরাকল বলা হয়। এসব দেশও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে গুরুত্ব দিয়ে রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কৌশল রচনা করে চলেছে।

আমাদের পণ্য রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে
আমাদের পণ্য রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে

অর্থনীতি

সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

আমাদের পণ্য রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে

বাংলাদেশের রাপ্তানি বাণিজ্যের আর একটি সীমাবদ্ধতা হচ্ছে আমরা সীমিতসংখ্যক দেশকে কেন্দ্র করেই বাণিজ্য বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছি। আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর অতিমাত্রায় নিভরশীল হয়ে পড়েছে। অথচ আরও অনেক দেশ ও অঞ্চল আছে যেখানে চেষ্টা করলেই আমাদের তৈরি পণ্য রপ্তানি করা যায়। পূর্ব ইউরোপীয়দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি চমৎকার সুযোগ রয়েছে। রাশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এ জন্য আমাদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো পণ্য রপ্তানির বাজার অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আশার কথা জাপানসহ নয়া ডেস্টিনেশনে রপ্তানির পরিমাণ হ্রাস বেশ বাড়ছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান

নিবন্ধ

মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান

যে অঞ্চল নিয়ে আজকের বাংলাদেশ সেখানে ভাষা-বিতর্কের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তা সত্ত্বেও ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে আছে বেশির ভাগ বাঙালির কাছে। তবে এই আন্দোলনের ব্যাপ্তি ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সময়টিকেই ঘিরে বলে বেশিরভাগ গবেষকদের লেখায় উঠে এসেছে। এই আন্দোলনকে নিছক বাংলা ভাষার মর্যাদার লড়াই মনে করলে সবটা বলা হবে না। ১৯৪৮ সালের শুরু থেকেই এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান। পূর্ব-বাংলার উদীয়মান মধ্যবিত্ত শ্রেণির একজন প্রতিনিধি হিসেবে নেতৃত্ব দিলেও তার সঙ্গে গভীর সংযোগ ছিল এদেশের কৃষক, শ্রমিক ও নিম্নমধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষের। তাই তো একুশে ফেব্রুয়ারির গণবিস্ফোরণের প্রথম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ১৯৫৩ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আরমানিটোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় তিনি উচ্চারণ করেছিলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার দাবিতে ছিল না, সেটা ছিল আমাদের জীবন-মরণের লড়াই। আমরা মানুষের মতো বাঁচতে চাই। আমরা খাদ্য চাই, বস্ত্র চাই, আশ্রয় চাই, নাগরিক অধিকার চাই। আমরা কথা বলার অধিকার চাই, শোষণমুক্ত সমাজ চাই।’ (‘সিক্রেট ডকুমেন্টস’, প্রতিবেদন নং ৪৭, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩)।