একাত্তরের প্রশ্নে আমাদের এক থাকতেই হবে
একাত্তরের প্রশ্নে আমাদের এক থাকতেই হবে
একাত্তরের প্রশ্নে আমাদের এক থাকতেই হবে
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু একটা অধিকার বঞ্চনার কথা নয়, চাকরিতে এ অধিকার বঞ্চনা ছাড়াও এসব ছাত্রছাত্রী আরও অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্ষমতাসীন দলের আনুকূল্যে থাকা ছাত্রদের দ্বারা গণরুম কালচারের মাধ্যমে তারা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে নরীদের প্রতি বোডি শেমিং, নিগ্রহ, লাঞ্ছনা, নির্যাতন, ধর্ষণের দ্বারা। এভাবে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, নাগরিক অধিকার হরণ ও বাকস্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে বহিঃপ্রকাশ ঘটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের। ফলে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে একসময় দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে দেশের ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। গণঅভ্যুত্থানের একপর্যায়ে গণভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি থেকে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার ফলে কার্যত দেশে কোনো সরকার ছিল না। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের শপথের মাধ্যমে সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে।