নতুন বছরে কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সংস্কার হবে
নতুন বছরে কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সংস্কার হবে
নতুন বছরে কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সংস্কার হবে
আফ্রিকান সিনেমা সম্পর্কে যদি আপনার ভালো ধারণা থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই সেনেগাল চলচ্চিত্রকার এবং ঔপন্যাসিক ওসমানি সেম্বেনেকে চিনেন। তাকে বলা হয় আফ্রিকার সিনেমার জনক। সমসাময়িক আরও কজন চলচ্চিত্রকারকে আপনি চিনবেন- মালির সোলেইমান সিসে, নাইজেরিয়ার উমারু গান্ডা এবং মৌরিতানিয়ার মেড হোন্ডোকে। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল। এতসব উজ্জ্বল নক্ষত্রের ভিড়ে সেনেগালের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কবি জিব্রিল ডিওপ মামবেটি স্পষ্টতেই আলাদা। তাকে বলা হয় ‘আফ্রিকার জাঁ-লুক গদার’। যদি তিনি নিজে কখনো গদারের সঙ্গে দেখা করেননি।
মহামারির প্রতিক্রিয়া বুকে নিয়ে, হলিউডের চলচ্চিত্র কর্মীদের চলমান ধর্মঘট সত্ত্বেও, ৪৮তম টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ) অনুষ্ঠিত হলো ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই এগারো দিনে আমি মোট ২৬টি ছবি দেখেছিলাম। ‘স্বপ্নদর্শী’ শিরোনামে একটি আলোচনাচক্রেও অংশ নিয়েছিলাম। আমার মূল আগ্রহের জায়গা ছিল এশিয়া অঞ্চল নিয়ে। অন্য দেশেরও দুটি ছবি দেখেছিলাম।
আমার তারুণ্যে যে একটা চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কে জানতাম, তা হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের কথা। এখনো স্মৃতিতে ঝলঝল করে ছবি দেখার জন্য পাবলিক লাইব্রেরির খোলা চত্বরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। নতুন বিল্ডিং তুলবে বলে পাবলিক লাইব্রেরির পুরোনো বিল্ডিংটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। উৎসবের মূল ভেন্যু এখন জাতীয় জাদুঘর। নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেদ করে ঢুকতে হয় বলে সেখানে আর তেমন ভিড় হয় না। চলচ্চিত্র প্রেমিকরা স্বতন্ত্র প্রজাতির মানুষ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা ছবি দেখবে, মাঝে মঝে গালগল্প করবে এই তাদের স্বভাব।